<p>বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আমাদের সহযোগিতা করতে চায়। আমরাও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক গভীর করতে চাই। পরিবেশ ও জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপের ভিত্তিতে আগামী দিনে দুই দেশে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে।</p> <p>আজ বুধবার (১৫ মে) যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ডোনাল্ড লু’র নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন তিনি। প্রতিনিধি দলে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর চিফ অফ স্টাফ নাথানিয়েল হাফ্ট, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক কাউন্সিলর আর্তুরো হাইন্সসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।</p> <p>সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ার জন্য বিনামূল্যে রিয়াল টাইম স্যাটেলাইট ডেটা অফার করার পরিকল্পনা করেছে। এর মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা, দূষণ এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হবে। বাংলাদেশ প্রযুক্তি হস্তান্তর, সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্মার্ট এগ্রিকালচার এবং সবুজ ও জলবায়ু প্রযুক্তির অগ্রগতি, অর্থায়নে সহায়তা কামনা করা হয়েছে। এ সকল লক্ষ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠিত হবে। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের কল্যাণ নিশ্চিতে প্রকল্প বাস্তবায়নে আরো আলোচনা করা হবে।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে তারা কীভাবে আমাদের সহযোগিতা করবে সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। আমি আশাবাদী, যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনায় তারা আমাদের চাহিদার কথা মাথায় রাখবে। আলোচনায় পরিবেশগত ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।’</p>