<p>বয়স ৩৮ হওয়ায় ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার প্রশ্নটা প্রায় সময় শুনতে হয় মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদকে। ফর্মে না থাকলে তো অনেকে এক ধাপ এগিয়ে বলেই দেন বাংলাদেশি ব্যাটারের এখন অবসর নেওয়া উচিত। তার আর দেওয়ার কিছু নেই, তরুণদের জন্য জায়গা ছেড়ে দেওয়া উচিত।</p> <p>কিন্তু যাদের জন্য পদ ছাড়তে বলা হয় তার কি প্রস্তুত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে অবশ্য তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হয়েছেন তরুণরা। তাই তো বুড়ো বয়সেও দায়িত্বটা নিয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারের গোধূলিলগ্নে এসে দেখাচ্ছেন বুড়ো হাড়ের ভেলকি।</p> <p>এতটাই ভেলকি দেখাচ্ছেন যে ক্যারিয়ারের সেরা সময়টাই যেন কাটাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচে ফিফটি করেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৯৮ রানের ইনিংসটি ধরলে সর্বশেষ ৪ ম্যাচেই ফিফটি করেছেন তিনি। সিরিজে তার ইনিংসগুলো হচ্ছে- ৫০*, ৬২, ও ৮৪*। যেন সমালোচকদের জানান দিলেন ফুরিয়ে যাননি তিনি।</p> <p>সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কও মাহমুদ উল্লাহর জন্য ‘পয়া’ মাঠ। এখানে ৫ ম্যাচ খেলে প্রতিটিতেই ফিফটি পেয়েছেন তিনি। আজ সর্বশেষ ফিফটি পাওয়ার ম্যাচে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন রেকর্ড ৩২১ রানের সংগ্রহ। প্রতিপক্ষের মাঠে তাদের বিপক্ষে যা সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ডটিও ছিল এই মাঠেই। ২০১৮ সালে ৩০১ রান করেছিল বাংলাদেশ।</p> <p>রেকর্ড গড়তে মাহমুদ উল্লাহকে অবশ্য যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন জাকের আলি অনিক। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনে মিলে বাংলাদেশের হয়ে গড়েছেন রেকর্ড ১৫০ রানের অপরাজিত জুটি। আগের সর্বোচ্চ জুটিতেও ছিলেন মাহমুদ উল্লাহ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২০১৮ সালে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে করেন ১২৮ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত মাহমুদ উল্লাহর ৮৪ রানের বিপরীতে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন জাকের। ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ১৩৩.৩৩ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজান মাহমুদ উল্লাহ। অন্যদিকে ৫ চার ২ ছক্কা হাঁকান উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকের।</p> <div style="text-align:center"> <figure class="image" style="display:inline-block"><img alt="33" height="600" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/Bhanu/lklkk.jpg" width="1000" /> <figcaption>তৃতীয় উইকেটে ১৩৬ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত এনে দেন মিরাজ-সৌম্য। ছবি : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট</figcaption> </figure> </div> <p>এর আগে ধবলধোলাই এড়ানোর লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই জোড়া ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলীয় ৯ রানের সময় আউট হন তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস। দুজনই মারেন ‘ডাক’। পরের গল্পটা অবশ্য সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজের।</p> <p>তৃতীয় উইকেটে ১৩৬ রানের জুটি গড়ে প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরান সৌম্য-মিরাজ। ছড়ি ঘোড়ানোর আগে অবশ্য ওভারেই ‘ডাক’ মেরে আউট হতে পারতেন সৌম্য। স্লিপে আলজেরি জোসেফের বলে বাঁহাতি ওপেনারকে জীবন দেন ব্র্যান্ডন কিং।</p> <p>ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের ওপর চড়াও হওয়ার কাজ শুরু করেন মিরাজ। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে শুরুর ধাক্কা সামলিয়ে নেন তিনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরে তাকে সঙ্গ দেন সৌম্যও। তবে শেষটা দুজনেরই ভালো হয়নি। আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তারা। সৌম্যর ৭৩ রানের বিপরীতে  ৭৭ রানে রান আউট হন মিরাজ। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার পথে ৮ চার ও ২ ছক্কায় সিরিজে দ্বিতীয় ফিফটির ইনিংসটি সাজান বাংলাদেশের অধিনায়ক মিরাজ। অন্যদিকে ৪ ছক্কা ও ৬ চারে সিরিজে প্রথম ফিফটির ইনিংস সাজান সৌম্য।</p>