<p style="text-align:justify">মহাসড়ক প্রস্ততকরণের জন্য ভাঙা পড়বে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মামদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। জমি অধিগ্রহণ শেষে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ৬ লেনের কাজ চলমান রয়েছে। </p> <p style="text-align:justify">অভিযোগ উঠেছে, সড়কের পাশে থাকা স্কুলটি স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার শঙ্কার কথা জানিয়েছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।</p> <p style="text-align:justify">জমি অধিগ্রহণে মাধ্যমে স্কুলের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য প্রধান শিক্ষক মনিরা বেগম সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। এরপরও স্থানান্তরের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।</p> <p style="text-align:justify">জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। সড়কের ২০৯ কিলোমিটারের পাশে থাকা ৩৫টি প্রাইমারি স্কুল আছে। যা ভূমি অধিগ্রহণের কারণে ভাঙা হবে। এই তালিকায় প্রথমে রয়েছে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত মামদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯৩৯ সালে নির্মিত স্কুলটিতে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২১২ জন ও শিক্ষক আছেন ৭ জন।</p> <p style="text-align:justify">সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কের প্রস্ততকরণের কাজ এগিয়ে চলছে। যেকোনো সময় ওই স্কুলে উচ্ছেদ অভিযান হতে পারে। কিন্তু এখনও মামদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থানান্তরের কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সময় মতো জমি অধিগ্রহণসহ স্কুল পুনঃনির্মাণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।</p> <p style="text-align:justify">প্রধান শিক্ষক মনিরা বেগম কালের কণ্ঠকে জানান, স্কুলের পুরো ৩৫ শতাংশ জমি অধিগ্রহণে চলে গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্কুল স্থানান্তরের কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উচ্ছেদের আগেই অনুরূপ আরেকটি স্কুল নির্মাণ করতে হবে। আমরা চাই না শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হোক।</p> <p style="text-align:justify">শরীফা বেগম জানান, আমার সন্তান এই স্কুলে পড়াশোনা করে। স্কুল উচ্ছেদের খবরে আমরা শঙ্কিত। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা যেন ক্ষতি না হয়, সেজন্য স্কুলটি স্থানান্তরের দাবি জানাই।</p> <p style="text-align:justify">শফিকুল ইসলাম ও উজ্জ্বল মিয়া নামের প্রাক্তন দুই শিক্ষার্থী জানান, ভূমি অধিগ্রহণের পর স্কুল স্থানান্তরসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আমরা চাই উচ্ছেদের আগেই যেন এ ব্যাপারে দৃষ্টি দেওয়া হয়।</p> <p style="text-align:justify">রায়পুরা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন ভূঁইয়া জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। স্কুলের জন্য জমি অধিগ্রহণ ও পুনঃনির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাশ চলবে। এর আগে স্কুল ভাঙতে দেওয়া হবে না। সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের (সওজ) প্রকৌশলীকে এ ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।<br />  </p>