<p>দুনিয়াতে সম্পদ সবার প্রয়োজন এবং সবার প্রিয় বস্তু। অথচ দুনিয়া ও আখিরাতে সম্পদের তুলনায় দ্বিনি জ্ঞানের মূল্য অনেক বেশি। আর দ্বিনি জ্ঞান সবচেয়ে বেশি উপকারী ও উত্তম। আলী (রা.) বলেন, সম্পদের চেয়ে জ্ঞান উত্তম। জ্ঞান আপনাকে রক্ষা করে আর আপনি সম্পদকে রক্ষা করেন। অর্থ ব্যয় করলে কমে যায় আর জ্ঞান ব্যয় করলে বৃদ্ধি পায়।<br /> (সহিহুত তারগিব, হাদিস : ৮২)</p> <p>ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেন, অনেক দিক থেকে সম্পদের চেয়ে দ্বিনি জ্ঞানের মর্যাদা বেশি। (ইবনে আসাকির, তারিখ দিমাশক ৫০/৫৭১; গাজালি, ইহইয়া উলুমুদ্দিন ১/১৭-১৮)</p> <p>যেমন :</p> <p>ক. ইলম তথা দ্বিনি জ্ঞান নবীদের রেখে যাওয়া বাণী, আর সম্পদ হলো ধনীদের মিরাস।</p> <p>খ. নিশ্চয়ই ইলম তার মালিককে পাহারা দেয়, কিন্তু সম্পদ মালিককে পাহারা দেয় না, বরং মালিককে তার সম্পদ পাহারা দিতে হয়।</p> <p>গ. সম্পদ ব্যয় করলে কমে যায়, আর দ্বিনি জ্ঞান ব্যয় করলে বৃদ্ধি পায়।</p> <p>ঘ. সম্পদের মালিক মারা গেলে তার থেকে সম্পদ পৃথক হয়, আর ইলম তার মালিকের সঙ্গে কবরে প্রবেশ করবে।</p> <p>ঙ. সম্পদ মুমিন-কাফির ও ভালো-মন্দ সবাই অর্জন করতে পারে। কিন্তু উপকারী ইলম মুমিন ছাড়া কেউ অর্জন করতে পারে না।</p> <p>চ. সম্পদ মানুষকে অবাধ্যতা, অহংকার ও হিংসার দিকে নিয়ে যায় আর ইলম মানুষকে বিনয় ও আল্লাহর ইবাদতের দিকে নিয়ে যায়।</p> <p>ছ. সম্পদের মালিকের দরিদ্র হওয়ার ভয় আছে, কিন্তু ইলমের মালিকের দরিদ্র হওয়ার ভয় বা সম্ভাবনা নেই।</p> <p>জ. নিশ্চয়ই ইলম মানুষকে আল্লাহর দিকে ধাবিত করে আর সম্পদ মানুষকে দুনিয়ার দিকে ধাবিত করে।</p> <p>ঝ. সম্পদশালী মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর দ্বিনি জ্ঞানের অধিকারী মহান আল্লাহর সাক্ষাতের আশা করে।<br />  </p>