<p style="text-align:justify">করোনাকাল থেকে ভিসা পেতে বিভিন্ন দূতাবাসে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে বাংলাদেশী ভিসা প্রার্থীদের। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে আমেরিকায় পড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর ৫-৬ মাস পর ভিসার সাক্ষাৎকারের তারিখ দেয়া হচ্ছে। </p> <p style="text-align:justify">এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে দুইটি পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। একটি ঢাকাস্থ আমেরিকান দূতাবাসের বিশেষ ব্যবস্থা সুপার ফ্রাইডেতে চেষ্টা করা। এই দিনে শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকারের তারিখ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্যটি আমেরিকার যে বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে পড়তে যেতে ইচ্ছুক সেখানকার দায়িত্বরত কর্মকর্তা বা ডিএসওর সঙ্গে কথা বলে ভিসা সাক্ষাৎকারের পর ক্লাস শুরুর তারিখ নেওয়া। <br />  <br /> বুধবার (১০ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ইএমকে সেন্টারে প্রি-ডিপার্চার ওরিয়েন্টেশন (পিডিও) সেশনের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকার এডুকেশন ইউএসএ টিম। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে ভিসা সাক্ষাৎকারের তারিখ নিয়ে এসব পরামর্শ দেয়া হয়।</p> <p style="text-align:justify">যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সেলর স্টিফেন ইবেলি সাংবাদিকদের বলেন, 'অনেক সময় এম্বাসি সাক্ষাৎকারের তারিখ দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু তারিখের পর। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেবো, 'ডিএসও'তে কথা বলার জন্য। তারা যেনো দূতাবাসের সাক্ষাৎকারের পর প্রোগ্রাম শুরুর তারিখ নেয়। আর আমাদের দূতাবাস সাক্ষাৎকারের তারিখ নিয়ে যে ব্যাকলক, তা কাটিয়ে ওঠার জন্য ‘সুপার ফ্রাইডে’ চালু করেছে। যাতে এই দেরি কাটিয়ে ওঠা যায়। এজন্য ফেসবুক পেজে নজর রাখতে হবে। আর ডিএসওতে কথা বলে ক্লাস শুরুর তারিখ এম্বাসির সাক্ষাৎকারের পর নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেবো। আশাকরি এটা শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক হবে।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি আরো বলেন, 'আমাদের দেশে ৪ হাজার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলোকে সমৃদ্ধ করেছে। দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করছে। গত বছর বাংলাদেশ থেকে ১৩ হাজার ৫৬৩ জন শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে গেছেন, যা এযাবতকালের রেকর্ড। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পাঠানোর তালিকায় ১৩তম দেশে উত্তীর্ণ হয়েছে বাংলাদেশ। আগের বছরের তুলনায় শিক্ষার্থী পড়তে যাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে ২৮ শতাংশ যা বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ।</p> <p style="text-align:justify">অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কনস্যুলার সেকশন, এডুকেশনইউএসএ, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক ভর্তি কর্মকর্তা, বর্তমান এবং সাম্প্রতিককালে পড়াশোনা শেষ করেছেন এমন শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার সময় শিক্ষার্থীরা যে ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক, সাংস্কৃতিক এবং জীবনযাত্রার পার্থক্যের মুখোমুখি হবে সে বিষয়ে অনুষ্ঠানে পরামর্শ দেওয়া হয়।</p> <p style="text-align:justify">অনুষ্ঠানে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশে এডুকেশন ইউএসএর পরামর্শমূলক পরিষেবা এবং রেফারেন্স দেশের বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে আমেরিকান সেন্টার, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস, গুলশানের এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টার ফর পাবলিক সার্ভিস অ্যান্ড আর্টস এবং চট্টগ্রামে আমেরিকান কর্নার। যেখানে প্রশিক্ষিত উপদেষ্টারা তথ্য দেন। একই সঙ্গে তারা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ব্যক্তিগত পরামর্শমূলক পরিষেবাও দেন। এডুকেশন-ইউএসএ রেফারেন্স লাইব্রেরি এবং দূরবর্তী পরামর্শ পরিষেবা খুলনা, সিলেট এবং রাজশাহীর আমেরিকান কর্নারেও পাওয়া যাবে।<br />  </p>