<p>আমাদের দেশে সঠিক মানের সুষম খাবারের অভাবে অনেক মানুষের স্বাস্থ্য খুব চিকন। চিকন স্বাস্থ্যের জন্য অনেকেই অনেক জায়গায় অবহেলা ও অবজ্ঞার শিকার হয়ে থাকে। এই বঞ্চনা থেকে মুক্তির জন্য অনেকেই মোটা হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়া অবলম্বন করে থাকে। আজকের প্রতিবেদনে জানাব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন ১০টি খাবারের কথা। যেগুলো খেলে আপনার ইচ্ছানুযায়ী বাড়াতে পারবেন স্বাস্থ্য। চলুন, তাহলে জেনে নেওয়া যাক।</p> <p>১। কিসমিস</p> <p>মোটা হওয়ার জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী ও কার্যকর খাবার হচ্ছে কিসমিস। কিসমিস আঙুর ফলের শুকনা রূপ। যা তৈরি হয় সূর্যের তাপ অথবা মাইক্রোওয়েভ ওভেনের সাহায্যে। কিসমিস সহজেই হজমযোগ্য। ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, জিংক, লৌহ, ফ্লোরাইড, পটাশিয়াম, ফোলাট, নিয়াসিন, কোলিন, ভিটামিন বি-৬ এবং রিবোফ্লাবিন জাতীয় পুষ্টিগুণ রয়েছে কিসমিসে। যা রাতে ১ গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে শরীরের শক্তি, ওজন বৃদ্ধি ও মোটা হওয়া নিশ্চিত।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="যেসব ব্যায়ামে কমবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/23/1727091691-073f0e59821972fbba5e6cf04ac89942.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>যেসব ব্যায়ামে কমবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/09/23/1428182" target="_blank"> </a></div> </div> <p>ব্যায়ামে</p> <p>২। খিচুড়ি</p> <p>খিচুড়িতে বিদ্যমান কার্বোহাইড্রেড ও প্রোটিন মোটা হতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। খিচুড়ি তৈরির অন্যতম উপাদান ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন-সি, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, খাদ্যআঁশ ও অ্যামাইনো এসিড। খিচুড়ি রান্নার সঙ্গে যদি বিভিন্ন ধরনের সবুজ সবজি দেওয়া যায় তাহলে খাবারটি সুষম হয়। তাই খিচুড়ি একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন মোটা হওয়ার অন্যতম খাবার।</p> <p>৩। আলু</p> <p>আলু আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন তরকারির সঙ্গে রান্না করে খাই। আলু সিদ্ধতে রয়েছে শর্করা, তন্ত্র, খনিজ লবণ, ভিটামিন ও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন। প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় আলু থাকলে মোটা হওয়া অবশ্যম্ভাবী। প্রতিদিন দুটি করে আলু সিদ্ধ খেলেও মোটা হওয়া যায়। যা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন একটি খাবার।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="যেভাবে পেঁয়াজ কাটলে আর কাঁদতে হবে না" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/23/1727092826-34a572286044744f0fafdda46352fe15.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>যেভাবে পেঁয়াজ কাটলে আর কাঁদতে হবে না</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/09/23/1428186" target="_blank"> </a></div> </div> <p>৪। ডিম</p> <p>ডিম সহজিয়া একটি খাবার। ডিম সেদ্ধ, রান্না, ভাজি, পুজ করেও খেতে পারেন। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, যা আপনাকে মোটা হতে সহযোগিতা করবে। এ ছাড়া ডিমের কুসুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি। যা আপনাকে মোটা ও শক্তিশালী করে তুলবে। </p> <p>৫। বাদাম</p> <p>বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ওমেগা-থ্রি, ফ্যাটি এসিড, ক্যালরি, ফাইবার, প্রোটিন ও ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার। যা খেলে শরীরের ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি মোটা হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="যে উপায়ে রান্না করলে কড়াইয়ে আটকাবে না খাবার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/07/31/1722445218-1b442b362ebc7ed25453e8ae548d0a54.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>যে উপায়ে রান্না করলে কড়াইয়ে আটকাবে না খাবার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/07/31/1410578" target="_blank"> </a></div> </div> <p>৬। ভাত ও ভাতের মাড়</p> <p>সমাজ ও সংস্কৃতির কারণে ভাত আমাদের সবচেয়ে পরিচিত ও নিয়মিত খাবার। ভাতে প্রচুর কার্বো-হাইড্রেড রয়েছে। যা আমাদের মোটা হওয়ার জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে ভাতের চেয়ে ভাতের মাড় (অঞ্চলভেদে ভিন্ন নাম থাকতে পারে) মোটা হতে আরো বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। </p> <p>৭। শাক-সবজি</p> <p>শাক-সবজি ও আঁশ জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে। তাই এটি নিয়মিত খেলে সুস্বাস্থ্য ও শক্তিবৃদ্ধি করাসহ মোটা হতে সাহায্য করে থাকে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="যে উপায়ে কমাতে পারেন চুল পড়া" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/08/25/1724604661-a1f05b113d35f2a42b44a8c1ee0102c2.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>যে উপায়ে কমাতে পারেন চুল পড়া</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/08/25/1418700" target="_blank"> </a></div> </div> <p>৮। ফলমূল</p> <p>নিয়মিত আপেল, নাশপাতি, আঙুর, কলা ইত্যাদি ফলমূল খেলে শরীরে শক্তি যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি মোটা হতেও সাহায্য করবে।</p> <p>৯। মাছ</p> <p>মাছে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন ও উৎকৃষ্ট আমিষ। মাছে শতকরা ১৫-২৫ ভাগ প্রোটিন। এ ছাড়া মাছে রয়েছে আমাইনো এসিড, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ- ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, পটাশ, ভিটামিন 'এ' ও 'বি'। যা মোটা হতে সাহায্য করে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="যেভাবে ভাজাপোড়া খেলেও বাড়বে না ওজন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/16/1726486821-a88205ce8f10c146189bb0483dd72a9c.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>যেভাবে ভাজাপোড়া খেলেও বাড়বে না ওজন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/09/16/1426104" target="_blank"> </a></div> </div> <p>১০। দুধ ও মধু</p> <p>দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন বি-১২, নিয়াসিন ও রিবোফ্লাভিন। এগুলো শরীরকে মোটা বানাতে সাহায্য করে থাকে। নিয়মিত মধু খেলেও শরীর মোটা হতে পারে। কারণ মধুতে রয়েছে গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ, মন্টোজ, অ্যামাইনো এসিড, খনিজ লবণ, এনকাইম, ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫ ও বি৬। এ ছাড়া রয়েছে আয়োডিন, জিংক, কপার ও ক্যালরি।</p>