<p>জামালপুরের মেলান্দহে একসঙ্গে তিন নবজাতক স্বাভাবিকভাবে জন্ম দিয়েছেন শ্যামলী আক্তার (২২) নামের এক প্রসূতি। শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাভাবিকভাবেই তিন সন্তানের জন্ম দেন ওই গৃহবধূ। তবে নবজাতকদের ওজন কম হওয়ায় আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। এতে খুশির মাঝেও দুশ্চিন্তায় রয়েছে পরিবারটি।</p> <p>গৃহবধূ শ্যামলী আক্তার উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নের মালঞ্চ এলাকার ব্যবসায়ী শফিকের স্ত্রী।</p> <p>হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শ্যামলী আক্তারের সন্তান গর্ভের সাত মাস চলছিল। শনিবার সকালে হালকা ব্যথা নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হাসপাতালে আসেন। পরে ব্যথা বাড়লে হাসপাতালে ভর্তি নেন চিকিৎসক। এরপর প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ওই নারীর প্রসবের ব্যথার কথা জানান। পরে নার্সদের সহযোগিতায় স্বাভাবিকভাবে তিন সন্তান প্রসব করেন গৃহবধূ। তবে তিন নবজাতকের ওজন তুলনামূলক কম। প্রথম নবজাতকের ওজন ৯০০ গ্রাম, দ্বিতীয় নবজাতকের ওজন ৮৭৫ গ্রাম ও তৃতীয় নবজাতকের ওজন ৭৫০ গ্রাম। নবজাতকের মা সুস্থ রয়েছেন।‌</p> <p>শ্যামলী আক্তারের বড় বোন স্বপ্না আক্তার বলেন, ‘সকালে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আগে থেকেই সবাই জানতাম তিন সন্তান হবে। হঠাৎ করে অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে স্বাভাবিকভাবেই তিন সন্তান হয়েছে। কিন্তু সন্তানের ওজন খুবই কম। মা সুস্থ থাকলেও তিন সন্তানের ওজন কম এইটায় নিয়ে সবাই চিন্তাই রয়েছি।’</p> <p>উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স রাশেদা আক্তার বলেন, ‘ওই নারীর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট দেখি।  রিপোর্টে উল্লেখ ছিল ওই নারীর গর্ভে তিনটি বাচ্চা রয়েছে। পরে আমরা পরীক্ষা করে দেখি বাচ্চা প্রসবের ব্যথা উঠেছে তার। তার এমন অবস্থা ছিল কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাচ্চা প্রসব হবে। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক সানজিদা তাবাসসুম ম্যাডামের পরামর্শে স্বাভাবিকভাবেই তিন নবজাতকের জন্ম হয়। তিন নবজাতকের স্বাভাবিকের তুলনায় ওজন অনেকটাই কম। তিন নবজাতককে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’</p>