<p style="text-align:justify">বিশ্বের অনেক দেশেই ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহারে আইনগত বাধা রয়েছে, তবু বিভিন্ন দেশে এর ব্যবহার বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। গত বছর ক্রিপ্টোকারেন্সিসহ বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মুদ্রার ব্যবহার সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ভারত ও নাইজেরিয়ায়। ব্লকচেইন অ্যানালিটিকস কম্পানি চেনালাইসিস এক রিপোর্টে কোন দেশ কতটা ক্রিপ্টোকারেন্সি গ্রহণ করছে সে তথ্য জানানো হয়।</p> <p style="text-align:justify">রিপোর্টে আরো বলা হয়, ১৫১টি দেশে ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহৃত হচ্ছে। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩৫। দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের আইনগত অনুমতি নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২১ সালে ব্যবহারকারীদের ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেন করা থেকে বিরত থাকতে বলেছিল। ডিজিটাল মুদ্রা কোনো দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষের দ্বারা ইস্যু করা নয় বলে তখন ঘোষণাপত্র জারি করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।</p> <p style="text-align:justify">চেনালাইসিসের বৈশ্বিক সূচকের শীর্ষ ২০টি দেশের মধ্যে সাতটি মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশ। তালিকার শীর্ষে আছে ভারত, নাইজেরিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানের অবস্থান ৯। বাংলাদেশের পেছনে থাকা নেপালের অবস্থান ৭১, শ্রীলঙ্কার অবস্থান ৭২, মিয়ানমারের স্থান ৭৮। তালিকা অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান চার, কানাডার ১৮, রাশিয়ার সাত, চীনের ২০, জাপানের ২৩ ও অস্ট্রেলিয়ার ৩৯।</p> <p style="text-align:justify">ভারতে দুই বছর ধরে ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহারের বেশি প্রবণতা দেখা গেছে। ভারত ২০১৮ সাল থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। চেনালাইসিসের গবেষণাপ্রধান এরিক জার্ডিন বলেন, নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার বাড়ছে। বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ বাইন্যান্সকে ভারতে জরিমানার মুখোমুখি হতে হয়। অন্যদিকে ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ কুকয়েনকেও জরিমানার সম্মুখীন হতে হয়েছিল।</p> <p style="text-align:justify">বর্তমানে বিটকয়েন, এথেরিয়াম, রিপল, লাইটকয়েন বেশ জনপ্রিয়। ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে জুয়া, হুন্ডি, চোরাচালান, সাইবার চাঁদাবাজিসহ অবৈধ লেনদেন গোপনে চালানো যায় বলে বিভিন্ন দেশ একে আইনগত বৈধতা দেয়নি।</p>