<p style="text-align: justify;">খাগড়াছড়ির বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন ত্রিপুরার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী (নব্যমুখোশ) ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)। আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি আদায়ে মাসব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।</p> <p style="text-align: justify;">সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরার পাশাপাশি আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন পিসিপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অংকন চাকমা। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ২১-৩১ জানুয়ারি চার নেতার হত্যার প্রতিবাদে পানছড়িসহ খাগড়াছড়ি স্কুল ও কলেজসমূহে শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান, ৪ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি জেলা পানছড়ি উপজেলায় স্কুল কলেজে ছাত্র ধর্মঘট, ১১ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি জেলাব্যাপী স্কুল কলেজে ছাত্র ধর্মঘট এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে মিছিল ও বিক্ষোভ প্রদর্শন।</p> <p style="text-align: justify;">সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিপুল চাকমাসহ চার নেতার পাশাপাশি মিঠুন চাকমা হত্যা ও স্বনির্ভর হত্যাকান্ডসহ সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর মদদ দাতাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থকদের হত্যা, গুম, গ্রেপ্তার তথা তাদের ওপর রাজনৈতিক দমন-পীড়ন বন্ধ করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রকৃত গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।</p> <p style="text-align: justify;">সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রমোদ জ্যোতি চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি জিকো ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভানেত্রী কণিকা দেওয়ান ও সহ-সভাপতি রিনিসা চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভানেত্রী নীতি চাকমা ও সাধারণ সম্পাদিকা রিতা চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা প্রমূখ।</p> <p style="text-align: justify;">সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ১১ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় লোগাং ইউনিয়নের অনিল পাড়ায় সাংগঠনিক কাজে অবস্থানকালে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরাকে নির্মমভাবে হত্যা এবং ইউপিডিএফ সংগঠক হরি কমল ত্রিপুরা, প্রকাশ ত্রিপুরা ও নীতি দত্ত চাকমাকে অপহরণ করা হয়। </p> <p style="text-align: justify;">এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার একমাস পরও প্রশাসন কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। অথচ ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নব্যমুখোশ সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে পানছড়ি বাজার এলাকায় অবস্থান করে খুন, হত্যা ও চাঁদাবাজি করে আসছে। যা রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের অজানা নয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।</p> <p style="text-align: justify;">সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দাবি আদায়ে ইতিমধ্যে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও শান্তিপূর্ণ সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আগামীতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাওসহ ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হবে। এরপরও খুনীরা গ্রেপ্তার না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।</p>