<p>জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া থেকে গত আড়াই বছরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাকি খেয়েছে সাত লাখ টাকা। আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মো. মাসুদ এ তথ্য জানিয়েছেন। </p> <p>তিনি জানান, গত আড়াই বছরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যান্টিন থেকে সাত লাখ টাকার মতো ফাও খেয়েছেন। পরবর্তী সময়ে আর টাকা দেয়নি। এখন তাদের সবাই পলাতক। ক্যাম্পাসে আসেন না। </p> <p>ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক জানান, ক্যাফেটেরিয়ায় জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির নামে বাকি রয়েছে এক লাখ ৮৮ হাজার টাকা এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের নামে বাকি রয়েছে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা।</p> <p>এ ছাড়া বাকির হিসেবে নাম রয়েছে ছাত্রলীগের আরো অন্তত পাঁচ নেতাকর্মীদের নামে। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির মাই ম্যানখ্যাত রবিউল ইসলাম রবির নামে বাকি ৫২ হাজার টাকা। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেনের গ্রুপ লিডার খ্যাত মিরাজের নামে বাকি রয়েছে ৭৫ হাজার টাকা, সহসভাপতি মেহেদী হাসান বাবুর নামে বাকি ৫৫ হাজার টাকা। সাধারণ সম্পাদক প্যানেলের আরো দুই নেতা তামিম ও সাজবুলের নামে বাকি রয়েছে ১২ হাজার ও ৯ হাজার টাকা। ছাত্রলীগের এই সাত নেতাকর্মীর নামেই বাকি সর্বমোট ছয় লাখ ৪১ হাজার টাকা। এ ছাড়া অনেকে বাকি খেলেও হিসাব নেই তার।</p> <p>ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক মো. মাসুদ বলেন, দীর্ঘদিন বাকি খেয়েছে তারা। টাকা দেবে দেবে করে আর দেয়নি। এর বাইরে আরো অনেকে আছে, যারা টুকটাক খেয়েছে, তার হিসাব নেই। খেয়ে তারা টাকা দিত না। আবার খাবার দিতে দেরি হলেও ক্যান্টিনের ওয়েটারদের মারধরও করেছে সাজবুলসহ বেশ কয়েকজন।</p> <p>তিনি আরো বলেন, এদিকে ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালনা বাবদ সপ্তাহে খরচ হয় ৩৯ হাজার ৭৫০ টাকা, মাসে এক লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া মালামাল বাবদ খরচ তো আছেই। তার ওপর এত টাকা বাকি। যেখান থেকে আমি মালামাল কিনি, সেখানেও আমার ধার করে কেনা লাগে। এত টাকা এখন কিভাবে উঠাব আর কিভাবে আমি এই লস পূরণ করব?</p> <p>এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। </p> <p>বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. কে এ এম রিফাত হাসান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে বিষয়টি সত্য হলে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা রেগুলার স্টুডেন্ট হলে তাদের থেকে টাকা আদায় করার ব্যবস্থা করা হবে এবং প্রশাসনিকভাবে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।<br />  </p>