<p>ভূমধ্যসাগরে ঝোড়ো আবহাওয়ার মধ্যে তিন দিন ধরে টিউব আঁকড়ে থাকা ১১ বছরের এক মেয়েকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিবিসি বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।</p> <p>অলাভজনক সংস্থা কম্পাস কালেকটিভের উদ্ধারকারীরা অন্য এক জরুরি উদ্ধার অভিযানে যাওয়ার সময় শিশুটির চিৎকার শুনে তাকে খুঁজে পান। সিয়েরা লিওনের ওই মেয়েটি জানিয়েছে, সে ৪৪ জনের সঙ্গে তিউনিশিয়ার স্ফ্যাক্স থেকে যাত্রা করেছিল। তাদের নৌকাটি ডুবে যায় এবং অন্য সব অভিবাসীকে মৃত বলে মনে করা হচ্ছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নৌকায় স্পেনে পৌঁছতে চাওয়া ৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/11/1733922044-22166c445cedd060e68c4c0dcdb545af.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নৌকায় স্পেনে পৌঁছতে চাওয়া ৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/12/11/1456399" target="_blank"> </a></div> </div> <p>কম্পাস কালেকটিভের মুখপাত্র কাটজা টেম্পেল বিবিসিকে জানান, উদ্ধারকারীরা স্থানীয় সময় বুধবার ভোর ৩টা ২০ মিনিটে ট্রোটামার-৩ নামের উদ্ধারকারী জাহাজ থেকে সিয়েরা লিওনের ওই মেয়েকে খুঁজে পান। সে একটি সাধারণ লাইফ জ্যাকেট ও কোমরে দুটি টায়ারের টিউব বেঁধে ভেসে ছিল।</p> <p>মেয়েটি বলেছে, শক্তিশালী ঝড়ের সঙ্গে সাড়ে ১১ ফুট উঁচু ঢেউ আঘাত করার ফলে তাদের ধাতব নৌকাটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ডুবে যায়। সে এবং  আরো দুজন কিছুক্ষণ পানিতে একসঙ্গে ছিল। কিন্তু পরে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উদ্ধারকারীরা মেয়েটিকে ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপে নিয়ে যান, যেখানে সে হাঁটতে ও কথা বলতে সক্ষম ছিল।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সমুদ্রপথে ইতালি যাওয়া অভিবাসীদের শীর্ষে বাংলাদেশিরা" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/07/1733566365-22166c445cedd060e68c4c0dcdb545af.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সমুদ্রপথে ইতালি যাওয়া অভিবাসীদের শীর্ষে বাংলাদেশিরা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/12/07/1454850" target="_blank"> </a></div> </div> <p>প্রতিবছর হাজারো অভিবাসী ইউরোপে পৌঁছনোর প্রচেষ্টায় ভূমধ্যসাগরে বিপজ্জনক যাত্রায় প্রাণ হারায়। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, গত ১০ বছরে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ৩০ হাজার ৯৫৫ অভিবাসী মারা গেছে বা নিখোঁজ রয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী, ইতালি এ বছর এখন পর্যন্ত ৬৩ হাজারের বেশি অভিবাসী গ্রহণ করেছে। তবে এই সংখ্যা এখন কমেছে, যা ইতালির ডানপন্থী প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির কঠোর নীতির কারণে বলে মনে করা হচ্ছে।</p>