অন্য দলগুলো যেখানে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে ব্যস্ত, সেখানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সামনের নির্বাচনে জয়ী হতে তৎপর। কোনো কোনো দল যেখানে নির্বাচন নিয়ে এখনো ভাবনার মধ্যে সময় পার করছে, সেখানে এ দলটি অনেকটাই এগিয়ে রেখেছে কাজকর্ম। কারো ওপর ভর করে নয়, একা নির্বাচন করতে ৩০০ আসনেই প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত করেছে দলটি। সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে প্রার্থীদের নামের তালিকাসহ জামায়াতের নির্বাচনী প্রস্তুতি, তাদের অর্থের উৎসসহ বিভিন্ন বিষয়ের বিশদ একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
৩০০ আসনেই প্রার্থী চূড়ান্ত জামায়াতের
উবায়দুল্লাহ বাদল

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, জামায়াতের পক্ষ থেকে এসব প্রার্থীকে নির্বাচনী প্রচারণা-গণসংযোগ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে নিজ এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন প্রার্থীরা। জামায়াত প্রার্থীদের বায়োডাটা (জীবনবৃত্তান্ত) সংগ্রহ করার পাশাপাশি তাদের আয়ের উৎস খুঁজে বের করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে নির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তালিকায় থাকা একাধিক জামায়াত প্রার্থী কালের কণ্ঠকে বলেছেন, কেন্দ্র থেকে তাদের নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা ইতিমধ্যে দিনরাত সাংগঠনিক সফর, ওয়াজ-মাহফিলসহ নানা ধরনের নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের রোডম্যাপ জানানো হলে দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।
গত ২০ নভেম্বরের ওই প্রতিবেদনে ৩০০ আসনে জামায়াত প্রার্থীর কথা বলা হলেও বাস্তবে তালিকা রয়েছে ২৮৩ জনের নাম। প্রার্থীর নামেরও কিছু অসংগতি ও ভুল রয়েছে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পর তারা নিজস্ব প্রতীক নিয়ে ভোটে অংশ নিতে পারেনি। দলটি ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে ভোট করেছে দলটি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রকাশ্যে রাজনীতির মাঠে সরব হয়েছে। তারা রাজনৈতিক কার্যক্রম বাড়িয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচনের জন্য সারা দেশে প্রার্থিতা বাছাই করেছে দলটি। দলটির নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও নির্বাচনী বোর্ড পরিচালনার সভাপতি অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল দেশের বিভিন্ন নির্বাচনী আসনে গিয়ে দলটির রুকনদের (শপথধারী সদস্য) মতামত নিয়ে তাদের প্রার্থী নির্বাচন করেছে। এরই মধ্যে তাদের মনোনীত প্রার্থীরা বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী গণসংযোগ করেছে বলে মাঠ পর্যায়ের সদস্যরা (ফিল্ড মেম্বার) অবগত হয়েছেন। কিছু দিন আগে দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ পটুয়াখালীর বাউফল এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ করেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে দলটির শীর্ষ নেতাদের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নাম উল্লেখ করে বলা হয়, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, কক্সবাজার-২, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের মৌলভীবাজার-২, প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ ময়মনসিংহ-৫, নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও নির্বাচনী বোর্ড পরিচালনার সভাপতি অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ সাতক্ষীরা-১, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩, ঢাকা উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ঢাকা-১৫ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। এ ছাড়া জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীপুত্র ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন ও মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীপুত্র শামীম সাঈদী, প্রখ্যাত মুফাসসিরে কোরআন আল্লামা কামাল উদ্দিন জাফরী, অধ্যাপক তাসনীম আলম, জামায়াত নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিকসহ আরো অনেকে নির্বাচন করতে পারেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাড়াও জাতীয় নিরাপত্তা সেলেও পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী দলটির বাছাই করা প্রার্থীদের নামের তালিকা পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো—
রংপুর বিভাগ : পঞ্চগড়-১ মাওলানা আব্দুল খালেক, পঞ্চগড়-২ অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও-১ মো. দেলোয়ার হোসেন, ঠাকুরগাঁও-২ মো. আব্দুল হাকিম, ঠাকুরগাঁও-৩ অধ্যাপক আব্দুল কাশেম, দিনাজপুর-১ লোকমান হোসেন, দিনাজপুর-২ আফজালুল আনাম, দিনাজপুর-৩ অধ্যাপক আবুল কাসেম, দিনাজপুর-৪ মাওলানা আফতাব উদ্দিন মোল্লা, দিনাজপুর-৫ আনোয়ার হোসেন, দিনাজপুর-৬ মো. আনোয়ারুল ইসলাম, নীলফামারী-১ মাওলানা আব্দুল হাকিম, নীলফামারী-২ মো. মনিরুজ্জামান মন্টু, নীলফামারী-৩ মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, লালমনিরহাট-১ এরশাদ হোসেন সাজু, লালমনিরহাট-২ অ্যাডভোকেট আব্দুল বাতেন, লালমনিরহাট-৩ মাওলানা আজিজুর রহমান, রংপুর-১ আব্দুল গনি, রংপুর-২ ওবায়দুল্লাহ সালাফি, রংপুর-৩ মাহবুবুর রহমান, রংপুর-৪ এ টি এম আজম খান, রংপুর-৫ শাহ হাফিজুর রহমান, রংপুর-৬ মো. গোলাম রব্বানী, কুড়িগ্রাম-১ আজিজুর রহমান স্বপন, কুড়িগ্রাম-২ হাবিবুর রহমান, কুড়িগ্রাম-৩ প্রফেসর আব্দুল জলিল, কুড়িগ্রাম-৪ নুর আলম মুকুল, গাইবান্ধা-১ মাজেদুর রহমান, গাইবান্ধা-২ আব্দুল করিম, গাইবান্ধা-৩ মাওলানা নজরুল ইসলাম, গাইবান্ধা-৪ ডা. আব্দুর রহিম সরকার এবং গাইবান্ধা-৫ অধ্যাপক ওয়ারেশ আলম দুদু।
রাজশাহী বিভাগ : বগুড়া-১ অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দীন (কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য), বগুড়া-২ অধ্যক্ষ শাহাদাতুজ্জামান (সাবেক এমপি), বগুড়া-৩ আব্দুল গনি মণ্ডল, বগুড়া-৪ অধ্যক্ষ মাওলানা তায়েব আলী, বগুড়া-৫ দবিবুর রহমান, বগুড়া-৬ আবিদুর রহমান সোহেল, বগুড়া-৭ গোলাম রব্বানি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ ড. কেরামত আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ড. মিজানুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ নুরুল ইসলাম বুলবুল, নওগাঁ-১ অধ্যাপক সালেকুর রহমান, নওগাঁ-২ ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, নওগাঁ-৩ মাওলানা মীর আবুল কালাম আজাদ, নওগাঁ-৪ খ ম আবদুর রাকিব, নওগাঁ-৫ অ্যাডভোকেট আবু সাদাত মো. সায়েম, রাজশাহী-১ অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, রাজশাহী-২ অধ্যক্ষ সিদ্দিক হোসাইন, রাজশাহী-৩ অধ্যাপক মাজিদুর রহমান, রাজশাহী-৫ আহম্মদ উল্লাহ, নাটোর-১ অধ্যাপক তাসনিম আলম, নাটোর-২ অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলাম, নাটোর-৩ অধ্যাপক বেলালুজ্জামান, নাটোর-৪ অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন, পাবনা-১ ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন (মতিউর রহমান নিজামীর ছোট ছেলে), পাবনা-২ মো. হেসাব উদ্দিন, পাবনা-৩ শাপিনূর ইসলাম, পাবনা-৪ অধ্যক্ষ আবু তালেব মণ্ডল এবং পাবনা-৫ মো. ইকবাল হোসেন।
খুলনা বিভাগ : মেহেরপুর-১ মাওলানা তাজউদ্দিন আহমেদ (তাজউদ্দিন খান), মেহেরপুর-২ রবিউল ইসলাম, কুষ্টিয়া-১ অধ্যক্ষ নূর কুতুবুল আলম, কুষ্টিয়া-২ আব্দুল গফুর, কুষ্টিয়া-৩ অধ্যাপক ফরহাদ আলী, কুষ্টিয়া-৪ মাওলানা শামসুদ্দিন, চুয়াডাঙ্গা-১ আনোয়ারুল হক, চুয়াডাঙ্গা-২ রুহুল আমীন, ঝিনাইদহ-১ কাজী মোতাহার হোসেন, ঝিনাইদহ-২ নূর মোহাম্মদ, ঝিনাইদহ-৩ অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, ঝিনাইদহ-৪ হাবিবুর রহমান, নড়াইল-১ আতাউর রহমান বাচ্চু, নড়াইল-২ অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, যশোর-১ মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোর-২ শহিদুল ইসলাম, যশোর-৩ অধ্যাপক আব্দুর রশীদ, যশোর-৪ অধ্যাপক গোলাম রসুল, যশোর-৫ অ্যাডভোকেট গাজী এনামুল হক, যশোর-৬ অধ্যাপক মোক্তার আলী, মাগুরা-১ অধ্যাপক এম এ বাকের, মাগুরা-২ আব্দুল বাতেন, নড়াইল-১ হাফেজ মোল্লা জাকারিয়া, নড়াইল-২ অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, বাগেরহাট-১ মাওলানা তৈয়ুবুর রহমান, বাগেরহাট-২ অধ্যাপক মুঞ্জুল আহসান (শেখ মঞ্জুরুল হক রাহাত), বাগেরহাট-৩ অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ, বাগেরহাট-৪ অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, খুলনা-১ প্রভাষক আজিজুর রহমান, খুলনা-২ মাওলানা এমরান হোসেন, খুলনা-৩ অধ্যক্ষ শাফায়াত আলী মিয়া, খুলনা-৪ মাওলানা কবিরুল ইসলাম, খুলনা-৫ মিয়া গোলাম পরওয়ার, খুলনা-৬ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, সাতক্ষীরা-১ অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, সাতক্ষীরা-২ রুহুল কুদ্দুস, সাতক্ষীরা-৩ মুফতি রবিউল বাশার এবং সাতক্ষীরা-৪ গাজী নজরুল ইসলাম।
বরিশাল বিভাগ : পটুয়াখালী-১ মাওলানা আব্দুল জব্বার আজাদী, পটুয়াখালী-২ ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, পটুয়াখালী-৩ অধ্যাপক শাহ আলম, পটুয়াখালী-৪ আজিজুর রহমান, ভোলা-১ হারুনূর রশীদ, ভোলা-২ আল্লামা কামাল উদ্দিন জাফরী, ভোলা-৩ অধ্যাপক শাহ আলম, ভোলা-৪ মাওলানা হারুনূর রশীদ, পিরোজপুর-১ শামীম সাঈদী (দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছোট ছেলে), পিরোজপুর-২ আব্দুল হাই মাতুব্বর, পিরোজপুর-৩ মাওলানা আব্দুর রশীদ, ঝালকাঠি-১ ফরিদুল হক, ঝালকাঠি-২ শেখ নেয়ামুল করীম ব্যাপারী, বরগুনা-১ আফজালুর রহমান শাহীন, বরগুনা-২ মাওলানা রফিকুল ইসলাম, বরিশাল-১ অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম খসরু, বরিশাল-২ আবু তাহের, বরিশাল-৩ জহির উদ্দিন বাবর, বরিশাল-৪ মাওলানা আবুল হাসেম, বরিশাল-৫ অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন এবং বরিশাল-৬ শাহ মফিজুর রহমান।
ময়মনসিংহ বিভাগ : ময়মনসিংহ-১ ডা. আব্দুর রাজ্জাক, ময়মনসিংহ-২ রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ময়মনসিংহ-৩ শাহ আব্দুল মালেক, ময়মনসিংহ-৪ আব্দুল করীম, ময়মনসিংহ-৫ মতিউর রহমান আকন্দ, ময়মনসিংহ-৬ অধ্যাপক জসিম উদ্দিন, ময়মনসিংহ-৭ মো. হামিদ, ময়মনসিংহ-৮ মোজাম্মেল হক, ময়মনসিংহ-৯ মাওলানা আব্দুস সালাম, ময়মনসিংহ-১০ কামরুল আহসান, ময়মনসিংহ-১১ অ্যাডভোকেট আমানুল্লাহ বাদল, জামালপুর-১ অ্যাডভোকেট নাজমুল হক সাঈদী, জামালপুর-২ ড. সামীউল হক ফারুকী, জামালপুর-৩ হারুনূর রশীদ, জামালপুর-৪ মির্জা আব্দুল মাজেদ, জামালপুর-৫ জাকির হোসাইন, শেরপুর-১ হাসান ইকবাল ওয়ামী, শেরপুর-৩ নুরুজ্জামান বাদল, নেত্রকোনা-১ নাসির উদ্দিন, নেত্রকোনা-২ শহীদ আলী, নেত্রকোনা-৩ মাওলানা আব্দুল লতিফ, নেত্রকোনা-৪ হামিদুর রহমান এবং নেত্রকোনা-৫ মাওলানা ফারুক উদ্দিন।
ঢাকা বিভাগ : টাঙ্গাইল-১ ইয়াহিয়া খান মারুফ, টাঙ্গাইল-২ মো. আল মোমিন, টাঙ্গাইল-৩ আহসান হাবিব, টাঙ্গাইল-৪ অধ্যক্ষ আবদুল্লাহ তালুকদার, টাঙ্গাইল-৫ আহসান হাবীব ইমরোজ, টাঙ্গাইল-৬ মাওলানা ইদ্রিস আলী আকন্দ, টাঙ্গাইল-৭ ড. হুমায়ন কবীর, টাঙ্গাইল-৮ ড. জাকারিয়া মুমেন, মানিকগঞ্জ-১ মাওলানা তাজুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ-২ মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, মানিকগঞ্জ-৩ মাওলানা আবু তালেব, মুন্সীগঞ্জ-১ আব্দুল আওয়াল, মুন্সীগঞ্জ-২ আব্দুল ওয়াহেদ,
মুন্সীগঞ্জ-৩ এ বি এম ফজলুল করীম, ঢাকা-১ নাজিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকা-২ মাহফুজুর রহমান, ঢাকা-৩ শাহ মফিজুর রহমান, ঢাকা-৪ জিয়াউল হাসান, ঢাকা-৫ মাওলানা আব্দুল হালিম, ঢাকা-৬ মোবারক হোসেন, ঢাকা-৭ আব্দুল বারি, ঢাকা-৮ মাওলানা মুহিবুল্লাহ, ঢাকা-৯ মেসবাহ উদ্দিন, ঢাকা-১০ আতাউর রহমান সরকার, ঢাকা-১১ কামাল হোসাইন, ঢাকা-১২ আব্দুস সবুর ফকির, ঢাকা-১৩ শাহ আব্দুল মান্নান, ঢাকা-১৪ আব্দুর রহমান, ঢাকা-১৫ মো. সেলিম উদ্দিন, ঢাকা-১৬ লস্কর মো. তসলিম, ঢাকা-১৭ হাবিবুর রহমান, ঢাকা-১৮ মঞ্জুরুল ইসলাম ভুইয়া, ঢাকা-১৯ ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা-২০ আহমেদ আলী, নারায়ণগঞ্জ-১ মো. মমিনুল হক, নারায়ণগঞ্জ-২ মো. কাউসার, নারায়ণগঞ্জ-৩ জাকির হোসেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ সাইফুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ-৫ আব্দুল আহাদ, গোপালগঞ্জ-১ আজমল হোসাইন, গোপালগঞ্জ-২ আরিফ বিল্লাহ, গোপালগঞ্জ-৩ আব্দুর রাজ্জাক, গাজীপুর-১ আফজাল হোসেন, গাজীপুর-২ আবুল হাসেম খান, গাজীপুর-৩ আশরাফুল আলম রাজু, গাজীপুর-৪ মো. মুহিউদ্দিন, গাজীপুর-৫ মুহাদ্দেস আব্দুল করিম, নরসিংদী-১ আ ফ ম আব্দুস সাত্তার, নরসিংদী-২ উপাধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন, নরসিংদী-৩ আব্দুল জব্বার, নরসিংদী-৪ আমজাদ হোসেন, নরসিংদী-৫ মো. পনির হোসেন, রাজবাড়ী-১ মাওলানা মজিবুর রহমান হামিদী, রাজবাড়ী-২ শুক্কুর আহমেদ, ফরিদপুর-১ মো. দেলোয়ার হোসেন, ফরিদপুর-২ সরোয়ার হোসেন, ফরিদপুর-৩ মো. খালেস, ফরিদপুর-৪ হাসান জামিল, ফরিদপুর-৫ আরমান আলী, মাদারীপুর-১ গোলাম সারোয়ার, মাদারীপুর-২ আব্দুস সোবহান, মাদারীপুর-৩ মাওলানা মোনাইমুল হক, শরিয়তপুর-১ মাওলানা তাজউদ্দিন, শরিয়তপুর-২ মো. সোহেল খান ও শরিয়তপুর-৩ মাওলানা মোকাব্বির খান।
সিলেট বিভাগ : সুনামগঞ্জ-১ মাওলানা তোফায়েল আহমেদ খান, সুনামগঞ্জ-২ হাফেজ নুরুল আলম সিদ্দিক, সুনামগঞ্জ-৩ মাস্টার নুরুল হাকিম, সুনামগঞ্জ-৪ অ্যাডভোকেট মো. শামস উদ্দিন, সুনামগঞ্জ-৫ মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী, সিলেট-১ ডা. শফিকুর রহমান, সিলেট-২ অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, সিলেট-৩ মাওলানা লোকমান আহমেদ, সিলেট-৪ প্রভাষক জয়নাল আবেদীন, সিলেট-৫ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, সিলেট-৬ মাওলানা হাবিবুর রহমান, মৌলভীবাজার-১ মাওলানা আমিনুল ইসলাম, মৌলভীবাজার-২ অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, মৌলভীবাজার-৩ আব্দুল হান্নান, মৌলভীবাজার-৪ আব্দুল আওয়াল তরফদার, হবিগঞ্জ-১ মো. শাহজাহান আলী, হবিগঞ্জ-২ প্রফেসর আমজাদ হোসেন, হবিগঞ্জ-৩ কাজী মহসিন হোসেন এবং হবিগঞ্জ-৪ মাওলানা মোখলেসুর রহমান।
চট্টগ্রাম বিভাগ : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ অধ্যাপক আমিনুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মাওলানা কুতুব উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ সৈয়দ গোলাম সারোয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ গোলাম ফারুক, কুমিল্লা-১ মাওলানা খান রহমত উল্লাহ, কুমিল্লা-২ অ্যাডভোকেট গাজী রফিকুল ইসলাম, কুমিল্লা-৩ অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান মজুমদার, কুমিল্লা-৪ সাইফুল ইসলাম শহীদ, কুমিল্লা-৫ ড. মোবারক হোসেন, কুমিল্লা-৬ মাস্টার আমিনুল হক, কুমিল্লা-৭ জহিরুল ইসলাম, কুমিল্লা-৮ বেলাল উদ্দিন, কুমিল্লা-৯ মো. রফিক, কুমিল্লা-১০ মাওলানা ইয়াসিন আরাফাত, কুমিল্লা-১১ সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, চাঁদপুর-১ মাওলানা হারুনূর রশীদ, চাঁদপুর-২ শাহজাহান মিয়া, চাঁদপুর-৩ বিল্লাহ হোসেন মিয়াজী, চাঁদপুর-৪ অ্যাডভোকেট শেখ সালেহ উদ্দিন, চাঁদপুর-৫ ডা. আলম উদ্দিন, ফেনী-১ দিদারুল আলম মজুমদার, ফেনী-২ অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভুঁইয়া, ফেনী-৩ ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, নোয়াখালী-১ মোহাম্মদ উল্লাহ এমএসসি, নোয়াখালী-২ মাওলানা আলাউদ্দিন, নোয়াখালী-৩ মাওলানা বোরহানউদ্দিন, নোয়াখালী-৪ ড. আলমগীর মোহাম্মদ ইউসুফ, নোয়াখালী-৫ হাফেজ শাহ মিজানুর রহমান মামুন, নোয়াখালী-৬ মো. নূরন্নবী, লক্ষ্মীপুর-১ মোমিন হায়দার, লক্ষ্মীপুর-২ মাস্টার রুহুল আমীন, লক্ষ্মীপুর-৩ ডা. আনোয়ারুল আজীম, লক্ষ্মীপুর-৪ ডা. রেদাওয়ান উল্লাহ, চট্টগ্রাম-১ অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, চট্টগ্রাম-২ আব্দুল জব্বার, চট্টগ্রাম-৩ আলাউদ্দিন শিকদার, চট্টগ্রাম-৪ আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-৬ মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ ফয়সাল মোহাম্মদ ইউনুস, চট্টগ্রাম-৮ ড. রফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-৯ মো. নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-১০ শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১১ ড. শহীদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-১২ মো. মাহবুব হোসেন, চট্টগ্রাম-১৪ জসিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম-১৫ মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-১৬ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, কক্সবাজার-১ এনামুল হক মঞ্জু, কক্সবাজার-২ হামিদুর রহমান আজাদ, কক্সবাজার-৩ সলিম উল্লাহ বাহাদুর, কক্সাবাজার-৪ অ্যাডভোকেট শাহজালাল চৌধুরী, পার্বত্য খাগড়াছড়ি অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন, পার্বত্য বান্দরবান মাওলানা আব্দুস আজাদ এবং পার্বত্য রাঙামাটি অধ্যাপক আব্দুল হালিম।
সম্পর্কিত খবর

মূল্যস্ফীতি কমে ৮.৪৮%, বেড়েছে জিডিপি প্রবৃদ্ধি
নিজস্ব প্রতিবেদক

বহুদিন ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় সংকট হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছিল উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের অস্থিরতা। প্রায় তিন বছর ধরে মূল্যস্ফীতির লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের জীবনযাত্রা ব্যয় বেড়ে যায় ব্যাপকভাবে। তবে অবশেষে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। সদ্য শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে এসেছে ৮.৪৮ শতাংশে, যা গত ৩৩ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্যে এই চিত্র উঠে এসেছে। ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) তথ্য অনুযায়ী, মে মাসে যেখানে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.০৫ শতাংশ, জুনে তা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
মূল্যস্ফীতির এই পতন দেশের অর্থনীতিতে স্বস্তির বার্তা বয়ে আনলেও বাজারের বাস্তব চিত্র ভিন্ন।
খাদ্যমূল্য কিছুটা নিয়ন্ত্রণে
বিবিএসের ভোক্তা মূল্যসূচক অনুযায়ী, খাদ্য মূল্যস্ফীতি জুনে নেমে এসেছে ৭.৩৯ শতাংশে, যা মে মাসে ছিল ৮.৫৯ শতাংশ।
তবে বাজারের চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। ঢাকার খুচরা বাজারে মিনিকেট চালের দাম বেড়ে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা/কেজিতে পৌঁছেছে, যেখানে ঈদের আগে তা ছিল ৭২ থেকে ৮২ টাকা। মাঝারি মানের চাল ব্রি‑২৮ এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৪ টাকা কেজি দরে, যা আগের তুলনায় তিন থেকে পাঁচ টাকা বেশি। এ ছাড়া বিভিন্ন সবজির দাম ৭০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছে।
আয় বেড়েছে কম, ব্যয় বেড়েছে বেশি
মূল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষের জীবনে এক ধরনের ‘অদৃশ্য কর’-এর মতো। বিশেষ করে মজুরিনির্ভর মানুষের ওপর এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে। বিবিএসের তথ্য মতে, জুনে জাতীয় মজুরি হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.১৮ শতাংশে, কিন্তু একই সময়ে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮.৪৮ শতাংশ। অর্থাৎ আয় বৃদ্ধির চেয়ে ব্যয় বৃদ্ধির হার বেশি হওয়ায় প্রকৃত আয় কমেছে।
প্রবৃদ্ধিতে ফিরছে গতি
মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি জিডিপি প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রেও কিছুটা ইতিবাচক পরিবর্তনের আভাস মিলেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাথমিক প্রাক্কলন অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) স্থির মূল্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৪.৮৬ শতাংশ, যা আগের প্রান্তিকে ছিল ৪.৪৮ শতাংশ।
তবে পুরো অর্থবছরের (জুলাই-মার্চ) প্রথম তিন প্রান্তিক মিলিয়ে গড় প্রবৃদ্ধি মাত্র ৩.৮১ শতাংশ। এই ধীরগতির প্রবৃদ্ধির বিষয়ে সতর্কবার্তা আগেই দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বিশ্বব্যাংক ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি হবে ৩.৩ শতাংশ, আর এডিবির পূর্বাভাস অনুযায়ী এটি ৩.৯ শতাংশ।
প্রবৃদ্ধির খাতভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, তৃতীয় প্রান্তিকে কৃষি খাত কিছুটা উন্নতি করলেও গতি কমেছে শিল্প খাতে। কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২.৪২ শতাংশ, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৪ শতাংশ। শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৬.৯১ শতাংশে, যা আগের প্রান্তিকে ছিল ৭.১০ শতাংশ। সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি তুলনামূলক ভালো—৫.৮৮ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৪.৩১ শতাংশ। চলতি মূল্যে এই প্রান্তিকে জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১২ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারি পরিসংখ্যান বলছে মূল্যস্ফীতি কমেছে, প্রবৃদ্ধিও কিছুটা বাড়ছে। তবে বাজারে এর প্রতিফলন নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এখনো ঊর্ধ্বমুখী, মজুরি বৃদ্ধির হার মূল্যস্ফীতির নিচে, ফলে মানুষের বাস্তব আয়ে ঘাটতি রয়ে গেছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
শেখ হাসিনা-কামালকে অব্যাহতির আরজি মামুনের বক্তব্য নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রাথমিক উপাদান (প্রাইমা ফেসিয়া) পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন রাষ্ট্র নিযু্ক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। মামলার অভিযোগ থেকে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়ার আরজি জানান তিনি।
এ সময় আদালতে উপস্থিত আরেক আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেননি এবং অভিযোগ থেকে তাঁর অব্যাহতিও চাওয়া হয়নি।
গতকাল সোমবার চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ অভিযোগ গঠনের শুনানি চলাকালে আমির হোসেন ওই আরজি তুলে ধরেন।
শুনানির পর ট্রাইব্যুনাল আগামী ১০ জুলাই আদেশের তারিখ ধার্য করেন। এর আগে গত ১ জুলাই মামলার ‘আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের’ ওপর শুনানি শেষ করে প্রসিকিউশন।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন : দাবি আইনজীবীর
অব্যাহতির আবেদনের শুনানিতে আমির হোসেন প্রসিকিউশনের অভিযোগ খণ্ডন করে বলেন, গত বছর ১৪ জুলাই গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনকারীদের রাজাকারের বাচ্চা বা রাজাকারের নাতি-পুতি বলে উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য দেননি। মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে তিনি এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন। সেই জবাবেও তিনি আন্দোলনকারীদের রাজাকারের বাচ্চা বা রাজাকারের নাতি-পুতি বলেননি।
আন্দোলনে নিহতদের মৃত্যু সনদে মৃত্যুর সঠিক কারণ লিখতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, মৃতদেহ হস্তান্তর না করে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে গণদাফন, লাশ গুম করে ফেলার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মনগড়া বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী। তিনি বলেন, এসব অভিযোগের দালিলিক কোনো প্রমাণ নেই। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁদের হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের শুনানিতে প্রসিকিউশন বলেছিল, জুলাই গণ-আন্দোলন চলার সময় বিটিভি ভবন, মেট্রো রেলসহ কেপিআইভুক্ত (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন) স্থাপনায় হামলা চালিয়ে তার দায় আন্দোলনকারীদের ওপর চাপানো হয়েছে। এই অভিযোগও অস্বীকার করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলার সময় গত বছর ১৬ জুলাই রংপুরে গুলিতে শহীদ হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এই হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনাসহ আসামিদের বিরুদ্ধ প্ররোচনা, সহায়তা ও ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা অস্বীকার করে আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ আবু সাঈদের মা-বাবা, ভাই-বোনদের গণভবনে এনে সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন। আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছেন। ফলে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।
গণ-অভ্যুত্থানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এই আইনজীবী বলেন, আন্দোলনের সময় পুলিশ মানুষের জানমাল রক্ষার স্বার্থে দায়িত্ব পালন করেছে। তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে বিভিন্ন আন্দোলনে বহু মানুষ হতাহত হওয়ার নজির আছে। কিন্তু এর জন্য মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে কোনো দেশ বিচার করেছে—এমন নজিরও নেই।
জুলাই গণ-আন্দোলনে আসামিদের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত হত্যাকাণ্ডের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটিকে মিথ্যা দাবি করে আমির হোসেন বলেন, গণ-আন্দোলনের সময় এবং সরকার পতনের পরে দেশের বিভিন্ন থানায় হামলা চালানো হয়েছে, থানা লুট করা হয়েছে। এমনকি পুলিশ হত্যা করা হয়েছে। ফলে পদ্ধতিগত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মনগড়া। পরে তিনি অভিযোগ থেকে তাঁদের (শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল) অব্যাহতি দেওয়ার আরজি জানান।
ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। ১৪ আগস্ট সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দাখিল করা হয়। তদন্ত শুরু হয় গত বছর ১৪ অক্টোবর। ছয় মাস ২৮ দিনে তদন্ত শেষে গত ১২ মে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আসামিদের বিরুদ্ধে সুপিরিয়র কমান্ড রেসপন্সিবিলিটি বা ঊর্ধ্বতনের নির্দেশনার দায়সহ হত্যা, হত্যাচেষ্টা, ব্যপক মাত্রায় পদ্ধতিগত হত্যা, প্ররোচনা, উসকানি, সহায়তা, সম্পৃক্ততা, ষড়যন্ত্রসহ অন্যান্য অমানবিক আচরণ, সংঘটিত অপরাধ প্রতিরোধ না করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। গত ১ জুন প্রসিকিউশন ‘আনুষ্ঠানিক অভিযোগ’ দাখিল করলে তা আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।

মানবতাবিরোধী অপরাধ
চলতি বছর শেষ হতে পারে ৪ মামলার বিচার
মেহেদী হাসান পিয়াস

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে যেসব মামলা হয়েছে, এর মধ্যে অন্তত চারটি মামলার বিচারকাজ চলতি বছর শেষ হতে পারে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়। চারটি মামলার অভিযোগই আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এখন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে রয়েছে। তবে মামলার তদন্ত ও বিচারে সময় নিয়ে হতাশা ও ক্ষোভ রয়েছে ভুক্তভোগী এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের।
চার মামলায়ই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়েছে। তিনিসহ এই চার মামলায় মোট আসামি ৫৭ জন। তাঁদের মধ্যে পলাতক ৪১ জন। গ্রেপ্তার করে কারাগারে রাখা হয়েছে ১৬ জনকে।
এ ব্যাপারে প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘চারটি মামলা আনুষ্ঠনিক অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে রয়েছে। তার মধ্যে দুটি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠন করলে বিচার হবে। অভিযোগ থেকে আসামিদের অব্যাহতি দিলে মামলা ওইখানেই শেষ।
বিচারিক প্রক্রিয়া নিয়ে আইনি বিধান তুলে ধরে এই প্রসিকিউটর বলেন, ‘আইনে আছে, অভিযোগ গঠনের পর বিচার শুরু হলে তা চলবে বিরতিহীনভাবে। কোনো পক্ষ মুলতবির আবেদন করতে পারবে না।
নিয়ম অনুযায়ী, প্রথমে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় বা তদন্ত সংস্থায় লিখিত অভিযোগ দিতে হয়। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেলে মামলা হিসেবে তা নথিভুক্ত করে তদন্ত সংস্থা। এরপর অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত শেষে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। চিফ প্রসিকিউটর সেই তদন্ত প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই, পর্যালোচনা করে ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ হিসেবে তা ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন। পরে এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গ্রহণ করে তা আমলে নিতে ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর। অভিযোগ আমলে নেওয়া হলে আসামিদের বিরুদ্ধে ‘আনুষ্ঠানিক অভিযোগ’ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। যে চার মামলার অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অন্যান্য অপরাধের পাশাপাশি গণ-অভ্যুত্থান চলার সময় পরিকল্পিতভাবে ড্রোন, হেলিকপ্টার, প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের পদ্ধতিগতভাবে নির্মূলের অভিযোগ রয়েছে একটি মামলায়। মামলাটি ঊর্ধ্বতনের নির্দেশে দায় বা ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপন্সিবিলিটির মামলা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এই মামলার আসামি। তাঁদের মধ্যে আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের নির্দেশে কারাগারে রাখা হয়েছে। অন্য দুজন পলাতক। এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের ওপর উভয় পক্ষের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ১০ জুলাই আদেশের দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। ঘটনা ও অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় বাকি তিনটি মামলাও বেশ আলোচিত।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলাটিকে ‘আবু সাঈদ হত্যা মামলা’ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। গত ৩০ জুন এই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১০ জুলাই এ মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এ মামলার ৩০ জন আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার চারজন। বাকি ২৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
রাজধানীর চানখাঁরপুলে ছয় আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলাটিকে বলা হচ্ছে ‘চানখাঁরপুল হত্যাকাণ্ড’ মামলা। সরকার পতনের আন্দোলন ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছিলেন ছয় তরুণ। গত বছর ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় পুলিশ তাঁদের গুলি করে হত্যা করে। সেদিন শহীদ হন শাহরিয়ার খান আনাস, শহীদ শেখ মাহদি হাসান জুনায়েদ, শহীদ মো. ইয়াকুব, শহীদ মো. রাকিব হাওলাদার, শহীদ মো. ইসমামুল হক ও শহীদ মানিক মিয়া। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ছয় মাস ১৩ দিনে তদন্ত শেষ করে গত ২০ এপ্রিল প্রতিবেদন দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এটিই ছিল জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার প্রথম তদন্ত প্রতিবেদন। গত ২৫ মে এই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হলে ট্রাইব্যুনাল তা আমলে নেন। গত ৩ জুলাই এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি শেষ হয়। আগামী ১৪ জুলাই এ বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য করা রয়েছে। মামলার আট আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার করে কারাগারে রাখা হয়েছে চারজনকে।
আশুলিয়ায় মৃতপ্রায় একজন ও পাঁচজনের লাশ পোড়ানোর মামলাটি ‘লাশ পোড়ানোর’ মামলা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। গত ১৯ জুন চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেয় তদন্ত সংস্থা। গত ২ জুলাই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হলে সেদিনই তা আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলার ১৬ জন আসামির মধ্যে ট্রাইব্যুনালে ১১ জনের নাম প্রকাশ করে প্রসিকিউশন। এই ১১ জনের মধ্যে আটজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে রাখা হয়েছে।
প্রত্যাশার সঙ্গে আছে হতাশা
মামলার তদন্তকাজ নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করলেও বিচার নিয়ে আশাবাদী শহীদ আবু সাঈদের বড় ভাই আবু হোসেন। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল যে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা এই বিচারটা দেখতে পাব এবং ন্যায়বিচার পাব। কিন্তু তদন্তেই দীর্ঘ সময় লাগল। তার পরও বলতে চাই, যারা আবু সাঈদ হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের সবার বিচার চাই। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কাউকে যেন এ মামলায় যুক্ত না করা হয়।’
শেখ হাসিনার পতনের আগের দিন রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দেশ পলিটেকনিক কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হাসান আলভীর। পরে ১৯ আগস্ট ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন শহীদ আলভীর বাবা মো. আবুল হাসান। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘অভিযোগটি কী পর্যায়ে আছে, জানি না। গত সপ্তাহেও আমি প্রসিকিউশনে গিয়েছিলাম। গেলে শুধু একটা কথাই বলে, কাজ করছি, বিচার হবে। কিন্তু আদৌ বিচার হবে কি না—জানি না। আসামিরা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে আমরা হতাশায় ভুগছি।’
মামলার বাদী এবং শহীদ পরিবারগুলোর জন্যও বিশেষ নিরাপত্তার দাবি জানান আবুল হাসান।
প্রসিকিউশনের তথ্য অনুযায়ী, এই অভ্যুত্থানের সময় দেশজুড়ে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে ২৭টি পর্যন্ত মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২০৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার এসএসসির ফল প্রকাশের প্রস্তাব
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ১০ জুলাই বৃহস্পতিবার এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের প্রস্তাব করেছে আন্ত শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। এরই মধ্যে এই প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয় হয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে সম্মতি পেলে ফল প্রকাশ করা হবে।
আন্ত শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহবায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আগামী ১০ জুলাই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের প্রস্তাব করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। গত ১০ এপ্রিল সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়।
জানা গেছে, এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট শিক্ষার্থী ছিল ১৯ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ জন। এর মধ্যে সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। অন্যদিকে মাদরাসা বোর্ডের অধীন দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে দুই লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। আর কারিগরি বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিল এক লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন।