<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নগরীর বিনোদপুর বাজার এলাকা। এ বাজারের উত্তর ও দক্ষিণ পাশের রাস্তা পারাপারের জন্য সম্প্রতি নির্মাণ করা হয়েছে ছয় কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ফুট ওভারব্রিজ। গত ১১ সেপ্টেম্বর এই ব্রিজসহ নগরীতে নির্মাণ শেষ হওয়া ছয়টি ফুট ওভারব্রিজ উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু কোনো পথচারী সেখানে ওঠেন না। সবাই নিচ দিয়েই রাস্তা পার হন। সেখানকার সবজি ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কেউ তো উঠে না। তাহলে এত রংচং দিয়ে কোটি কোটি ট্যাকা খরচ করে কে বুইলছিল এই রকম পায়ে হাঁটা ব্রিজ করতে? আসলে সরকারি টাকা লুটপাটের জন্য এসব ব্রিজ করা হছে। মানুষের কোনো কাজে আসে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span>       </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শুধু বিনোদপুরের এই ব্রিজ নয়, রাজশাহী নগরীর নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজ গেট, লক্ষ্মীপুর মিন্টু চত্বর, নওদাপাড়া বাজার, তালাইমারী মোড়, বিনোদপুর মোড় ও অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে নির্মাণ শেষ হওয়া চয়টি ফুট ওভারব্রিজের একটি দিয়েও মানুষ চলাচল করে না। ফলে কোনোই কাজে আসছে না ব্রিজগুলো। এর অন্যতম কারণ হলো প্রতিটি রাস্তার বিভাজক রয়েছে শুধু নামমাত্র। যেসব স্থানের বিভাজকে লোহা বা স্টিলের গ্রিল আছে, তার মাঝখান দিয়েও রয়েছে রাস্তা পারের স্থান।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাসিক সূত্র মতে, নগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় দুটি প্যাকেজে প্রায় ৫০ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণকাজ পেয়েছে মাসুদ স্টিল ডিজাইন বিডি লি. ও এমএসসিএল অ্যান্ড এমএসডিবিএল নামের দুটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি ফুট ওভারব্রিজের উচ্চতা ৫.৮ মিটার ও প্রশস্ততা ৩.৬ মিটার। ফলে অনেক উঁচুতে হেঁটে উঠে রাস্তা পার হয়ে আবার নিচে নামার জন্য কেউ এই ব্রিজ ব্যবহার করছে না। রাস্তার মাঝখান দিয়েই পারাপার হচ্ছে পথচারীরা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ বি এম শরীফ উদ্দিন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকা শহরে মানুষ যানজটের মধ্যেও এমন ফুট ওভারব্রিজ সহজে ব্যবহার করে না। সেখানে রাজশাহীর মানুষ এগুলো ব্যবহারে এত দ্রুত অভ্যস্ত হবে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেটা ভাবা যায় না। তার পরও এগুলো ব্যবহারে সাধারণ মানুষকে অভ্যাস করাতে ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যুক্ত পুলিশ সদস্যদের কাজ করতে হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাসিকের প্রশাসক ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এগুলো ব্যবহারের উপযোগী করতে আমরা কাজ করছি। নির্মাণেও কিছু ত্রুটি আছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>