গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য ফিরোজ আহমেদ স্বপনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এর আগে সম্পূরক প্রশ্নের সুযোগ নিয়ে ওই সংসদ সদস্য বলেন, ‘সাংবাদিকতার পাশাপাশি অপসাংবাদিকতায় দেশ ভরে গেছে। আমাদের অনলাইন পত্রিকার নিয়মকানুন কী আমরা জানি না। অনিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকার জালায় আমরা অস্থির।

জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা খুব নিবিড়ভাবে কাজ করছি। যাঁরা পেশাদারির সঙ্গে সাংবাদিকতা করেন, তাঁরাও এ ধরনের পোর্টাল ও অনলাইনভিত্তিক পত্রিকাগুলো বন্ধের দাবি করেছেন। সাংবাদিক বন্ধুরাই বলছেন, এ ধরনের অপসাংবাদিকতার চর্চা যাঁরা করেন, তাঁরা আসলে পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ দাবিটি শুধু সংসদ সদস্যদের নয় বা রাজনীতিবিদ বা সমাজের অন্য স্তরের জনগণের নয়, খোদ সাংবাদিকসমাজ থেকেই এসেছে।

প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত আরো বলেন, ‘আমি কিছুদিন আগে একটি নির্দেশনা দিয়েছি। প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যম-ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়ার নিবন্ধিত পোর্টাল, যেসব পোর্টাল আবেদন করছে, প্রক্রিয়াধীন আছে—এর পুরো তালিকা বিটিআরসিকে পাঠাব। এর বাইরে যতগুলো অনলাইন পোর্টাল আছে। এমনকি একটা আবেদনও করেনি যারা, তার সব বন্ধ করে দেওয়ার জন্য (বিটিআরসিকে) অনুরোধ জানাব।’

আহতদের দ্রুত ও সম্পূর্ণ সুস্থতা কামনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় অনেক প্রাণহানি হয়েছে, যার মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। আমরা আমাদের গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি সেই সব পরিবারের সদস্যদের প্রতি, যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন।’ বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন মাসুকা (৪০)। বিমান দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন।

উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালে দুর্ঘটনাস্থলে উত্সুক জনতার ব্যাপক ভিড় দেখা দেয়, যা ইভাকুয়েশন ও রেসকিউ কার্যক্রমকে বারবার ব্যাহত করে।

আইএসপিআর আরো জানায়, উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালে বিকেলের দিকে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু উত্সুক জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় উদ্ধারকাজে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়।

ফলে একদল উত্সুক জনতার সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদের সৃষ্টি হয়, যা এক পর্যায়ে একটি অনভিপ্রেত ঘটনার অবতারণা করে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময় জনগণের পাশে থেকে পেশাদারি ও সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধের সঙ্গে কর্তব্য পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।