ঢাকা, বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫
৮ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫
৮ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ মহররম ১৪৪৭
বিআরটি প্রকল্প

টোল নিয়ে গণপরিবহন চলতে দেওয়ার চিন্তা

  • ► ৪ হাজার কোটির সড়কে চলে ১০ বাস
  • ► আইনে সড়ক ভাড়া দিয়ে টোল আদায়ের সুযোগ নেই
  • ► নেই নিজস্ব বাস, ‘বিজনেস মডেল’ বাস্তবায়িত হয়নি
সজিব ঘোষ
সজিব ঘোষ
শেয়ার
টোল নিয়ে গণপরিবহন চলতে দেওয়ার চিন্তা

বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের অধীনে থাকা সড়কপথে ব্যক্তিগত যান ও গণপরিবহন চলাচলের সুযোগ দিয়ে টোল নেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। নিজেদের বাস চলছে না, তাই অন্য পরিবহনের বৈধ চলাচলের সুযোগ করে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে টোল আদায়ের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বিষয়টি পর্যালোচনায় এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। যদিও এই টোল আদায় বিআরটি কম্পানি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে।

বিদ্যমান আইনে সড়ক ভাড়া দিয়ে টোল আদায়ের কোনো সুযোগ নেই।  

প্রায় চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে বিআরটি প্রকল্প। বিআরটি হচ্ছে মূলত বাসের বিশেষায়িত পথ। বিআরটি কম্পানির বিজনেস মডেল অনুযায়ী এই পথে শুধু কম্পানির নির্দিষ্ট বাস চলার কথা ছিল, কিন্তু প্রকল্পটি ব্যর্থতায় মুখ থুবড়ে পড়েছে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না।

এরই মধ্যে প্রকল্পের সর্বশেষ মেয়াদ শেষ হয়েছে। নতুন করে মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে আলোচনা চলছে। একই সঙ্গে খরচও বাড়তে পারে।

বিআরটি পথটি এখন অনেকটাই অরক্ষিত। বিআরটির নিজস্ব বাস না থাকায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থার (বিআরটিসি) ১০টি বাস দিয়ে ঠেকার কাজ চালানো হচ্ছে। কিন্তু বিআরটিসির বাস চালানো পরিকল্পনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বাস থামার জায়গা যে পরিকল্পনা করে তৈরি করা হয়েছিল, তার বিপরীতে বিআরটিসির বাস ঝুঁকিপূর্ণও বটে।

বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিআরটি করিডরকে কেন্দ্র করে গুলিস্তান থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিআরটিসির ১০টি বাস চলাচল করে।

বাকি সময় অরক্ষিত এই পথে ব্যক্তিগত যানবাহন, গণপরিবহনসহ অন্যান্য যান ঢুকে পড়ছে। এতে এই সড়কে টোল বসানো যায় কি না, তা নিয়ে ভাবছে সরকার। গঠিত কমিটি মন্ত্রণালয়কে নিজেদের মতামত জানাবে।       

বিআরটি কম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, টোল আদায় করা আদৌ বাস্তবসম্মত হবে কি না, সেটিও পরীক্ষা করে দেখতে হবে। আমি সেই কমিটিতে নেই, তাই মতামত দেব না। কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু এক লেনের সড়কে টোলের জন্য কি বুথ বসানো সম্ভব! এতে কি যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে?

 

উল্টো পথে বিআরটির আশা

যানজট কমানোর আশা দেখিয়ে শুরু হয়েছিল বিআরটি প্রকল্প। চার বছরের কাজ এক যুগেও শেষ না হওয়ায় প্রকল্পটি গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বারবার মেয়াদ বাড়িয়েও শেষ হয়নি বহুল আলোচিত-সমালোচিত বিআরটি। সম্প্রতি অসমাপ্ত প্রকল্পটিতে বিআরটিসির ১০টি বাস চলাচল করলেও এই পথে মূল বাস এখনো চালু করা যায়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, দিনে ১০ থেকে ১২টি বাস চলে, দুই প্রান্ত মিলিয়ে ১৬ থেকে ২০টি ট্রিপ হয়। পরিচালন ব্যয় মিটিয়ে কিছুটা লাভও হচ্ছে। যাত্রী বাড়লে বাস বাড়ানো যাবে। আর ভিন্ন অবকাঠামোর কারণে জটিলতা হচ্ছে না, সেটা মানিয়ে নেওয়া গেছে।

গত ১ জানুয়ারি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের বিআরটি করিডরে টোল আদায় করা যায় কি না, সেটা নিয়ে একটা সভা হয়। সেই সভায় প্রকল্প, সড়ক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সভা থেকে বিআরটি করিডরে টোল আদায়ের বিষয়ে একটি কমিটি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই কমিটি দেখবে এখানে টোল আদায় করা যায় কি না। গেলেও কী উপায় করা হবে, সেটা তারা দেখবে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, বিআরটি করিডরে টোল আদায়ের কোনো অবকাঠামো নেই। এখন টোল নিতে গেলে টোলের অবকাঠামো লাগবে। বিআরটি করিডরে টোল বসানোর জন্য জায়গা আছে কি না, এটার পরিচালন কিভাবে হবে? এটা তো প্রকল্পের মধ্যে ধরা নেই। সরকার যদি টোলের বিনিময়ে সড়ক ভাড়া দেয়, অন্যান্য পরিবহন চলার সুযোগ করে দেয়, তাহলে এটি বিআরটি বিজনেস মডেলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে।

 

বিআরটি করিডরে টোল কেন

বিআরটি প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে অধীন সড়কে নিরবচ্ছিন্নভাবে বাস চালানো। কিন্তু এসব বাস না আসায় আপাতত বিআরটিসির বাস চলাচল করছে। এই পথে অন্যান্য অনেক গাড়িও চলছে, ফলে এখন যানজট তৈরি হচ্ছে। সেটা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য টোল বসানোর চিন্তা করা হচ্ছে, যাতে সব গাড়ি এই করিডরে ঢুকতে না পারে। এই ধারণা থেকে টোল আদায় আলোচনায় এসেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, বিআরটি টোল আদায়ের কোনো প্রকল্প নয়। এই পথে অন্যান্য পরিবহন চালানো হলে সরকারের রাজস্ব আদায় হবে, কিন্তু প্রকল্পের মূল লক্ষ্য অর্জন হবে না। বিআরটি করিডরে নিজস্ব বাস চলবে, এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করা উচিত। টোল বসিয়ে রাজস্ব আদায় করলে প্রকল্পের মূলনীতি থেকে সরে আসা হবে।

 

টাকার সংকট, কাজ করছে না ঠিকাদার

প্রকল্পে এখনো অনেক সমস্যা রয়েছে। ঠিকাদারের অর্থায়নে সমস্যা রয়েছে, কাজের টাকা পাচ্ছে না। ফলে কাজ খুব একটা হচ্ছে না। এরই মধ্যে প্রায় ৯৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে বিআরটি কম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, কাজ খুব একটা হচ্ছে না। স্টেশনগুলোর অসমাপ্ত কাজ বাকি। ঠিকাদারের অনেক বিল দেওয়া বাকি। রাজনৈতিক সহিংসতায় ক্ষয়ক্ষতি যেগুলো হয়েছে, সেগুলো মেরামত করার বিষয় আছে। প্রকল্পের ছোটখাটো কাজ এখনো আছে। ফলে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সঙ্গে কিছু কিছু জায়গায় ব্যয় বাড়তে পারে।

 

বারবার বাড়ছে প্রকল্পের মেয়াদ

২০১২ সালের ২০ নভেম্বর একনেকসভায় অনুমোদন পায় গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট (বিআরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট)। তখন এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল দুই হাজার ৪০ কোটি টাকা। ২০১৬ সালের শেষ দিকে কাজ শেষ হওয়ার কথা। তবে ২০২১ সালেও এই কাজ সমাপ্ত হয়নি। এতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ২৬৮ কোটি টাকায়। সে সময় বলা হয়, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হবে।

সর্বশেষ প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছিলেন, ২০২৩ সালের অক্টোবরে কাজ শেষ হবে, কিন্তু তা হয়নি। কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ নির্ধারণ করা ছিল। কিন্তু এই সময়েও কাজ শেষ করা যায়নি। ফলে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০.৫ কিলোমিটার বিআরটি লেন করা হচ্ছে। প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি প্রকল্পে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা (এএফডি) ও গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ) অর্থায়ন করছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মোদি ও শেহবাজ শরিফের শোক

    বাংলাদেশে জাতিসংঘের কার্যালয়ের শোক
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মোদি ও শেহবাজ শরিফের শোক

ঢাকায় বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। একই ঘটনায় পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারও শোক প্রকাশ করেছেন।

নরেন্দ্র মোদি এক্স বার্তায় লিখেছেন, ঢাকায় একটি মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত ও দুঃখিত বোধ করছি। নিহতদের মধ্যে অনেকেই তরুণ শিক্ষার্থী।

পরিবারগুলোর জন্য আমাদের হৃদয় শোকাহত। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছে এবং সম্ভাব্য সকল সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এক বার্তায় লিখেছেন, ঢাকার মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত।

বাংলাদেশের জনগণ, বিশেষ করে, নিহতদের, যাদের মধ্যে অনেকেই ছোট শিশু, তাদের পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে পাকিস্তান বাংলাদেশের সরকার এবং জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছে।

এদিকে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এক্স বার্তায় লিখেছেন, ঢাকায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর বিমানবাহিনীর একটি বিমান দুর্ঘটনায় মূল্যবান প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।

এই শোকের মুহূর্তে সরকার, তার নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা।

এদিকে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রতিনিধিদল। গতকাল এক শোকবার্তায় ইইউ প্রতিনিধিদল বলেছে, এই মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এ দুর্ঘটনায় নিহত, তাদের পরিবারবর্গ এবং ক্ষতিগ্রস্ত সবার প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।

বার্তায় আরো উল্লেখ করা হয়, আমাদের হৃদয় শোকাহতআমরা নিহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছি।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের কার্যালয় গতকাল এক ফেসবুক বার্তায় বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে।

মন্তব্য
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা

সরকারি চাকরিতে জুলাই যোদ্ধাদের কোটা থাকছে না

বিশেষ প্রতিনিধি
বিশেষ প্রতিনিধি
শেয়ার
সরকারি চাকরিতে জুলাই যোদ্ধাদের কোটা থাকছে না

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের সদস্য ও আহতদের জন্য সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা রাখা হবে না বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

গতকাল সোমবার সচিবালয়ে জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ কথা জানান।

জুলাই যোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারকে সরকারিভাবে ফ্ল্যাট দেওয়া এবং সরকারি চাকরিতে তাদের জন্য কোটা রাখা হচ্ছে কি নাএমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাঁদের পুনর্বাসনের কর্মসূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুসারে মন্ত্রণালয় যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

এই কার্যক্রমের মধ্যে ফ্ল্যাট দেওয়া কিংবা চাকরিতে কোটা দেওয়া এসব বিষয় নেই। পুনর্বাসন কর্মসূচি আছে।

তিনি আরো বলেন, পুনর্বাসন নানাভাবে হতে পারে। তাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যোগ্যতা অনুযায়ী তিনি যেভাবে পুনর্বাসিত হতে চান সেভাবে করা হবে।

আত্মকর্মসংস্থানের জন্য হাঁস-মুরগি কিংবা পশু পালন, মৎস্য পালন যেভাবে তিনি জীবিকার সংস্থান করতে চাইবেন সে ধরনের সুবিধা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।

জুলাই যোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সমকক্ষ করা হচ্ছে কি নাএমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওইভাবে (সমকক্ষ) কেউ দেখছে না। আমরাও দেখছি না। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা পেতে ৩০ থেকে ৩৫ বছর লেগেছে।

অনেক মুক্তিযোদ্ধা ভাতাই পাননি, তালিকাই হয়নি। অথচ ২০০৫ সালেই শহীদদের তালিকা হয়েছে। এগুলো সব রেকর্ডেড। তাহলে এত বছর ধরে হলো না কেন? আমি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রসঙ্গ এখানে আনতে চাচ্ছি না।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা চূড়ান্তকরণ, আহতদের চিকিৎসা ব্যয় এবং তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তাসহ পুনর্বাসন করার উদ্দেশ্যে যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ২৮ এপ্রিল জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করা হয়।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহতদের জুলাই শহীদ এবং আহতদের জুলাই যোদ্ধা হিসেবে সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর মাধ্যমে স্বীকৃতি দিয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তালিকা অনুযায়ী মোট ৮৪৪ জন শহীদের তালিকা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় গেজেট আকারে প্রকাশ করে।

আহত হওয়ার ধরন অনুসারে জুলাই যোদ্ধাদের তিনটি শ্রেণিভুক্ত করে ৪৯৩ জনকে শ্রেণিতে, ৯০৮ জনকে শ্রেণিতে এবং এক হাজার ৬৪২ জনকে শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। সম্প্র্রতি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে শ্রেণির ১১৪ জন, শ্রেণির ২১৩ জন এবং শ্রেণির এক হাজার ৪৪২ জন, মোট এক হাজার ৭৬৯ জনের তালিকা পাওয়া গেছে, যা যাচাই-বাছাই শেষে শিগগিরই গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

মন্তব্য
ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ

একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান না থাকার প্রস্তাবে বিএনপির আপত্তি

    বিমান দুর্ঘটনার খবরে সংলাপ মুলতবি, আজ আবার বসবে
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান না থাকার প্রস্তাবে বিএনপির আপত্তি

একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা থাকার প্রশ্নে একমত হলেও প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান একই ব্যক্তি থাকার প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল। তবে গুরুত্বপূর্ণ ওই তিনটি পদে একই ব্যক্তির থাকার বিষয়ে বিধি-নিষেধ আরোপে সম্মত নয় বিএনপি।

এই ইস্যুতে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আর সংবিধানের মূলনীতি নিয়ে আলোচনাকালে কমিশনের প্রস্তাবে বিএনপি সমর্থন জানালেও ঘোরতর আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ (সিপিবি) বাম প্রগতিশীল দলগুলো।

তারা সংবিধানের চার মূলনীতি বহাল রেখেই নতুন প্রস্তাব যুক্ত করার দাবি জানিয়েছে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার সংলাপের ১৬তম দিনে এসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়। দুপুরের খাবার বিরতির পর বিমান দুর্ঘটনার খবর পৌঁছলে শোক প্রস্তাব গ্রহণের পর সংলাপ মুলতবি করা হয়।

ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় সংলাপে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন ও ড. মো. আইয়ুব মিয়া।

সংলাপে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সংলাপের সূচনা বক্তব্যে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত। আমি, আপনি ও আমরা সবাই যে জায়গায় উপনীত হয়েছি, তার সাফল্য ও ব্যর্থতা সবকিছুর ঊর্ধ্বে হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। একটা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলাম আমরা।

এ জন্য লাখ লাখ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। শুধু এক দিনের সংগ্রামে সেটা হয়নি। একটি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে কেবল সেটা হয়নি। দীর্ঘদিনের সংগ্রামের মাধ্যমে সেই জায়গায় এসেছি।

আলী রীয়াজ বলেন, ৫৩ বছর ধরে আমরা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি।

চেষ্টা করেছি একটি গণতান্ত্রিক জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায়। সব ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে সবাই মিলে, মতপার্থক্য ভুলে একটা সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে এই জায়গায় এসেছি। এই পটভূমিতে আজ জাতীয় সনদের প্রশ্ন। মুক্তিযুদ্ধ, ৫৩ বছরের সংগ্রাম এবং গত বছরে অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থান, রক্তপাত ও প্রাণনাশ, সেগুলো আপনারা মনে রাখুন। সেই বিবেচনাগুলো সামনে রেখে আমাদের অগ্রসর হতে হবে।

সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত সংবিধানের চার মূলনীতি বাতিল করে সংস্কার কমিশন নতুন প্রস্তাব করেছিল, আমরা আপত্তি জানিয়েছিলাম। আবার নতুন করে প্রস্তাব এনেছেন, যার মধ্যে চার মূলনীতি নাকচ করা হয়েছে। তাই আমরা আপত্তি জানিয়েছি। এ ক্ষেত্রে সমাধান হিসেবে বলেছি, প্রস্তাবটি হতে পারে, সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির সঙ্গে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি উল্লেখিত হবে। অন্যথায় এটা গ্রহণ করা যাবে না। সিপিবি ক্ষমতায় গেলে একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান থাকবেন না বলে জানান তিনি।

এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তাঁর দল মনে করে, দলীয় প্রধানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি উন্মুক্ত থাকা দরকার। নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া কোনো দলের সংসদীয় কমিটি যদি মনে করে যে তারা দলীয় প্রধানকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবে, তাহলে গণতান্ত্রিক এ প্রক্রিয়ার সুযোগ বন্ধ করা ঠিক হবে না। প্রধানমন্ত্রী এবং তার সঙ্গে সংসদ নেতার ভূমিকাটা প্রায় অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত, এই দুই ক্ষেত্রে একত্রে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর সংসদ নেতা থাকতে কোনো অসুবিধা নেই।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, গণতন্ত্রে কোনো ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হলে তাঁকে অপশন হিসেবে রাজনৈতিক দলের প্রধানের পদটা ছাড়তে হবে, এ রকম কোনো চর্চা সাধারণত দেখা যায় না। এটা (দলীয় পদ) তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার।

সংলাপ শেষে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, এক ব্যক্তি যাতে দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন সে বিষয়ে সংবিধানে নীতি প্রণয়ন করার প্রস্তাবকে আমরা সমর্থন জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান একই ব্যক্তি হলে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দলীয়করণ কিভাবে রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তা আমরা অতীতে বহুবার দেখেছি।

তিনি বলেন, বিএনপি উপস্থাপিত ৩১ দফার চতুর্থ পয়েন্টে আইনসভা, মন্ত্রিসভা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার যে অঙ্গীকার করা হয়েছে, তার সঙ্গে এই প্রস্তাব সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ।

বিমান দুর্ঘটনায় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ মুলতবি : রাজধানীর উত্তরায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দিনের পরবর্তী অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করা হয়।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ শোকবার্তা পাঠ করেন। এরপর নিহত সদস্যের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। কমিশনের পক্ষ থেকে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয় এবং তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়। কমিশনের সভায় উপস্থিত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা বিশেষ প্রার্থনায় অংশ নেন।

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় আবারও এই সংলাপ বসবে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

 

মন্তব্য

আদালতের নির্দেশে গোপালগঞ্জে তিনজনের মরদেহ উত্তোলন

    নিরীহরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় : বিএনপি
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
আদালতের নির্দেশে গোপালগঞ্জে তিনজনের মরদেহ উত্তোলন

আদালতের নির্দেশে গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে গোপালগঞ্জ পৌর কবরস্থান থেকে ইমন তালুকদার ও রমজান কাজীর লাশ এবং টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী থেকে সোহেল কাজীর লাশ উত্তোলন করা হয়।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, নিহতের ঘটনায় মামলার বাদীরা গত রবিবার আদালতে নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলনের আবেদন করলে আদালত লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন। পরবর্তী সময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মুন্সী ও রন্টি পোদ্দারের উপস্থিতিতে নিহত রমজান কাজী, ইমন তালুকদারের লাশ গোপালগঞ্জের গেটপাড়া পৌর কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়।

এদিকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মারুফ দস্তগির সোহেল রানা মোল্লার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করে। পরে তিনটি লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ আড়াই শ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। এ ছাড়া অন্য দুজনের মধ্যে দীপ্ত সাহার মরদেহ সৎকার ও রমজান মুন্সীর মরদেহের ময়নাতদন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করা হয়।

গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবান : গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাকর্মী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় কোনো নিরীহ শান্তিপ্রিয় নাগরিক যাতে হয়রানি না হয়, সেদিকে প্রশাসনের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে জেলা বিএনপি।

গতকাল সোমবার সকাল পৌনে ১১টায় শহরের বড়বাজার পৌর মার্কেটে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, গত বুধবার গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা বা থানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপি তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে। আগামীতে যেকোনো নিবন্ধিত বৈধ রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ ও মিটিং-মিছিলে যাতে কোনো অপশক্তি কোনো প্রকার আক্রমণ বা বাধার সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য জেলা প্রশাসকসহ সব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে সজাগ দৃষ্টি রাখার অনুরোধ রইল।

তিনি বলেন, ঘটনার দিন সমাবেশ শুরুর আগে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত অঙ্গসহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এনসিপির সমাবেশ পণ্ড করতে সকাল থেকে গোপালগঞ্জ শহরে আসার সব সড়কের পাশে থাকা গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করে। সেই সঙ্গে কর্তব্যরত সরকারি কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের মারপিট, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে জনমনে ভীতির সৃষ্টি করে। এ ছাড়া সরকারি স্থাপনায় হামলা, ও ভাঙচুর করে এবং গোপালগঞ্জ জেলা সদরে থাকা বিএনপি নেতাদের বেশ কয়েকটি তোরণ ভাঙচুর করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট কাজী আবুল খায়ের, বিএনপি নেতা ডা. কে এম বাবর, অ্যাডভোকেট তৌফিকুল ইসলামসহ বিএনপি ও সহযোয়ী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ