ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭
চট্টগ্রামের বে টার্মিনাল

ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা দূর ৫০০ একর খাসজমি বরাদ্দ

  • ► প্রতীকী মূল্য ৩ কোটি ৩ টাকায় বরাদ্দ দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন
  • ► এখন নির্মাণ কার্যক্রম এগিয়ে নিতে আর বাধা নেই
মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, চট্টগ্রাম
মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, চট্টগ্রাম
শেয়ার
ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা দূর ৫০০ একর খাসজমি বরাদ্দ

চট্টগ্রামে নির্মীয়মাণ বে টার্মিনাল প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা দূর হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ে চার গুণ বড় এই প্রকল্পে দীর্ঘদিন ধরে এই জটিলতা ছিল। এখন বঙ্গোপসাগরের উপকূলে ৫০০.৭০ একর খাসজমি প্রতীকী মূল্য তিন কোটি তিন টাকায় বরাদ্দ দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

গত ১২ মে ওই অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ভূমি বন্দোবস্তি খাতে পরিশোধ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

১৩ মে সকালে চালানসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এতে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে বড় প্রকল্প বে টার্মিনাল। এখন বে টার্মিনাল নির্মাণের কার্যক্রম পূর্ণ গতিতে এগিয়ে নিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

অথচ ব্যবসায়ীরা এক দশক ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন, বে টার্মিনাল প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বন্দরের সেবা বর্তমানের তুলনায় অনেক বাড়বে।

সেখানে ২৪ ঘণ্টা বড় জাহাজ ভেড়ানো যাবে। কনটেইনার ও পণ্য খালাস করে শহরে না ঢুকেই দেশের নানা স্থানে নেওয়া যাবে। বন্দর ব্যবহারের খরচ কমবে। 

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে ২০১৫ সালে বে টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এরপর ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও প্রকল্পটি আটকে ছিল ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায়। এর মধ্যে দ্বিতীয় দফায় সংশোধনের পর প্রকল্পটির মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ১৪ নভেম্বর প্রকল্পটির চূড়ান্ত মাস্টারপ্ল্যানের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতার কোনো সুরাহা হয়নি।

এদিকে অগ্রাধিকারভিত্তিক এই প্রকল্পের জন্য সাত বছর আগে ৬৭ একর ভূমি বরাদ্দ পেয়েছিল চট্টগ্রাম বন্দর।

কিন্তু প্রকল্পের প্রয়োজন ছিল আরো ৫০০ একর জমি। ওই জমি বরাদ্দ পেতে কেটে যায় আট বছর। অবশেষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন বে টার্মিনালের জন্য ৫০০.৭০ একর খাসজমি বরাদ্দ দেওয়ার সুপারিশ করে। এই জমির মূল্য এক হাজার ২৪১ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে গত ১১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দরের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মাত্র তিন কোটি তিন টাকার প্রতীকী মূল্যে এই জমি বরাদ্দের অনুমোদন দিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। ২ মে বন্দর কর্তৃপক্ষকে এই টাকা পরিশোধ করার জন্য চিঠি দেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। চিঠিতে চট্টগ্রাম নগরীর কাট্টলী, আগ্রাবাদ ও পতেঙ্গা সার্কেলের অধীনে বরাদ্দকৃত ভূমির বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়। চিঠি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষকে এই টাকা পরিশোধ করতে হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ম্যানেজার (এস্টেট) মোহাম্মদ শিহাব উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের আলোচিত ও সবচেয়ে বড় বে টার্মিনালের জন্য সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত ৫০০.৭০ একর ভূমির মূল্য বাবদ সরকারের বন্দোবস্তি খাতে তিন কোটি তিন টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। তিনটি পৃথক মৌজায় এই ভূমি রয়েছে। এর মধ্যে নগরীর দক্ষিণ কাট্টলী মৌজায় ৬২.২২ একর, উত্তর হালিশহর মৌজায় ৩৩৯.২৬ একর এবং হালিশহর মৌজায় ৯৯.২১ একর খাসজমি রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব তহবিল থেকে এই টাকা পরিশোধ করে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক কালের কণ্ঠকে বলেন, সরকারের কাছ থেকে বে টার্মিনালের জন্য দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্ত হিসেবে ৫০০.৭০ একর খাসজমি পাওয়া গেছে। গত ১২ মে খাসজমির জন্য প্রতীকী মূল্য তিন কোটি তিন টাকা ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। গত ১৩ মে চালানসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। খুব শিগগির জেলা প্রশাসন আমাদের জায়গা বুঝিয়ে দেবে। এর পরপরই পুরোদমে শুরু হবে বে টার্মিনালের নির্মাণকাজ।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, বে টার্মিনাল প্রকল্পে যে চারটি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে এর মধ্যে বহুমুখী টার্মিনাল নির্মাণের জন্য আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ ১২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করার জন্য সমঝোতা স্মারক সই করেছে। এ ছাড়া একই প্রকল্পে সিঙ্গাপুরের পিএসএ ইন্টারন্যাশনাল একটি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ড একটি টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনা করবে। এ জন্য প্রতিষ্ঠান দুটি ১৫০ কোটি ডলার করে ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে ইস্ট কোস্ট গ্রুপ। বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে গ্যাস ও তেল খালাসের টার্মিনালে ৩৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে চায় গ্রুপটি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত বে টার্মিনাল প্রকল্পে টার্মিনাল ও সুযোগ-সুবিধা নির্মাণে ৮০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব রয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে পাট চাষ

শেয়ার
তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে  পাট চাষ

তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে করা হয়েছে পাট চাষ। সেই পাট কেটে মহিষের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পানিতে জাগ দেওয়ার জন্য। গতকাল রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্নেয়া ইউনিয়নের চর বাঘমারা থেকে তোলা। ছবি : মো. আসাদুজ্জামান

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী মুগদা হাসপাতালে

শেয়ার
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী মুগদা হাসপাতালে

খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগ এলাকার আড়াই বছর বয়সী নূরজাহান ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল তোলা। ছবি : মঞ্জুরুল করিম

মন্তব্য

২২৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা খেলাফত মজলিসের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
২২৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা খেলাফত মজলিসের

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২৩টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির আমির মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দলটি আগামী জাতীয় সংসদে নিম্নকক্ষে আংশিক আনুপাতিক ও উচ্চকক্ষে পূর্ণ আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক দ্বিকক্ষীয় সাংবিধানিক কাঠামোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দলের নেতারা বলেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থা জনগণের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ।

আনুপাতিক পদ্ধতির মাধ্যমেই সব শ্রেণি ও মতধারার সঠিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব।

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেওয়া আত্মঘাতী। এতে ফ্যাসিবাদের দোসররা আরো উৎসাহী হচ্ছে। আমরা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, তবে ফ্যাসিবাদ ফের মাথা চাড়া দেবে।

গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী শৈথিল্য দেখালেও পরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে দুষ্কৃতকারীরা দ্রুত প্রতিহত হয়েছে, যা প্রশংসনীয়। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেনদলের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন ও মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজি, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা ফয়সাল আহমদ। এ ছাড়া ছিলেন মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা হারুনুর রশীদ, মাওলানা রুহুল আমীন খান, মাওলানা হাসান জুনাইদ, মাওলানা আব্দুস সোবহান, মাওলানা ছানাউল্লাহ আমিনী, মাওলানা জয়নুল আবেদীন ও মাওলানা মুহসিন বেলালী।

মন্তব্য

রামেকে ইন্টার্ননির্ভর চিকিৎসায় ঝুঁকিতে মুমূর্ষু রোগীরা

রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী
রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী
শেয়ার
রামেকে ইন্টার্ননির্ভর চিকিৎসায় ঝুঁকিতে মুমূর্ষু রোগীরা

পাবনার ঈশ্বরদী এলাকার ওয়াহেদুজ্জামান (৭১) জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে পরিবারের সদস্যরা গত ১৩ জুলাই সন্ধ্যার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। রোগীকে জরুরি বিভাগ থেকে পাঠানো হয় ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে (মেডিসিন ওয়ার্ড)। ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার পরে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাঁকে ভর্তি করে নেন।

সেখানে বারান্দায় একটি শয্যায় রেখে চলতে থাকে রোগীর চিকিৎসা। পরের দিন ১৪ জুলাই সকালে ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বরত স্থায়ী অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা গিয়ে রোগীর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন।

পরের দিন ১৫ জুলাই সকালের দিকে রোগী কিছুটা সুস্থ বোধ করলে তাঁকে ছুটি দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু দুপুর গড়াতে না গড়াতেই রোগী আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন।

তখন কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রোগীকে প্রথমে অক্সিজেন এবং পরবর্তীতে স্যালাইন দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত একটা অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নগরীর বাকির মোড়ে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে।
সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরে দ্রুত তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। ধরা পড়ে তাঁর শরীরে ডেঙ্গুসহ নানা জটিলতা। তবে তাৎক্ষণিক সঠিক চিকিৎসা পাওয়ায় রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হতে থাকেন।

এটি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রতিদিনের চিত্র। চিকিৎসকসংকটে দিনের প্রায় ১৮ ঘণ্টাই ইন্টার্ন চিকিৎসকনির্ভরতার মাধ্যমে চলছে এই হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা।

খুব জরুরি প্রয়োজনে ফোনে পরামর্শ নেওয়া হয় অভিজ্ঞ ডাক্তারদের। এর বাইরে এফসিপিএস ডিগ্রিধারী বা এফসিপিএস করছেন এমন মধ্যম মানের চিকিৎসকরা থাকেন ভর্তির দিন ধার্য থাকা ওয়ার্ডগুলোতে। এ ছাড়া দিনের ২৪ ঘণ্টা প্রতিটি ওয়ার্ডেই চার থেকে ছয়জন করে পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করতে হয় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের। এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই ইন্টার্নদের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। 

পাবনার ঈশ্বদীর রোগী ওয়াহেদুজ্জামানের ছেলে হামিম আবেদীন বলেন, রামেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসক দিনে একবার করে আসার কারণে আমার বাবার সমস্যাগুলো জটিল হয়ে গিয়েছিল, যা ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বুঝে উঠতে পারেননি।

ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করি রোগীর সেবা দেওয়ার। কিন্তু যে পরিমাণ রোগীকে চিকিৎসা দিতে হয়, সে পরিমাণ ইন্টার্ন চিকিৎসকও নেই।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদ বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত আনসার সদস্যও নেই। অন্যদিকে যেসংখ্যক রোগী ভর্তি হচ্ছে, সেসংখ্যক অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসাসামগ্রী ও ওষুধপথ্যও আমরা দিতে পারছি না। কারণ সব কিছু বরাদ্দ হচ্ছে ৫০০ শয্যার বিপরীতে। কিন্তু এখানে শয্যাই আছে এক হাজার ২০০টি। এর বাইরেও অতিরিক্ত আরো দুই থেকে আড়াই হাজার রোগীকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে আমাদের নানাভাবে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।    

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ