দেশে এক বছরের ব্যবধানে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে বাল্যবিবাহ। ফলে নারীদের সন্তান প্রজনন বা জন্মহার বেড়েছে। অবশ্য জন্মহার বাড়ার ক্ষেত্রে শুধু বাল্যবিবাহ দায়ী নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাল্যবিবাহ বাড়া ছাড়াও জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার কমিয়ে দেওয়া, পরিবার পরিকল্পনার উদ্যোগের প্রচারের অভাবের কারণে জন্মহার বেড়েছে।
ঢাকায় জন্মহার সবচেয়ে কম, চট্টগ্রামে বেশি
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস (এসভিআরএস) ২০২২-এর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি দেশের নারীদের স্বাভাবিক জন্মহার হওয়া প্রয়োজন ২.১ শতাংশ।
২০২২ সালে প্রতি হাজার প্রজননক্ষম নারীর বিপরীতে সন্তানের জন্ম হয়েছে ২.২ জনেরও বেশি। অর্থাৎ দেশের নারীরা গড়ে দুইয়ের বেশি সন্তান জন্ম দিয়ে থাকেন। এই হার ২০২১ সালে আরো কম ছিল, ২.০৫।
পুরো দেশে শুধু ঢাকা বিভাগের নারীদেরই সন্তান জন্মহার দুইয়ের নিচে। অর্থাৎ তাঁরা গড়ে দুজনের কম শিশুর জন্ম দিয়ে থাকেন। অন্য বিভাগগুলোর হিসাবে দেখা গেছে, বরিশালের নারীদের জন্মহার ২.৩৭ শতাংশ, খুলনায় ২.১২ শতাংশ, ময়মনসিংহে ২.৪৬ শতাংশ, রাজশাহীতে ২.১৩ শতাংশ, রংপুরে ২.৩৩ শতাংশ, সিলেটে ২.২৭ শতাংশ।
ধর্মভিত্তিক জন্মহারের তথ্যও উঠে এসেছে জরিপে। এতে মুসলিমদের প্রজননহার ২.২৬ শতাংশ, আর হিন্দুদের ১.৭১ শতাংশ।
গরিবের জন্মহার বেশি
দেশের ধনী-গরিবের প্রজননহারের তথ্যও উঠে এসেছে জরিপে। গরিব ও অতি গরিব নারীদের প্রজননহার সবচেয়ে বেশি, ২.৩৭ শতাংশ ও ২.৪৩ শতাংশ। অন্যদিকে সবচেয়ে ধনীদের প্রজননহার সবচেয়ে কম, ১.৯০ শতাংশ।
বাল্যবিবাহ বেড়েছে
২০২২ সালে একজন নারীর বিয়ের বয়স ছিল গড়ে ১৮.৮ বছর। কিন্তু এর এক বছর আগে এটি আরো বেশি ছিল। ২০২১ সালে নারীদের প্রথম বিয়ের বয়স ছিল গড়ে ১৯.১ বছর। অর্থাৎ দেশের নারীদের বয়স বিবেচনায় আগের চেয়ে কম বয়সে বিয়ে হচ্ছে। জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীদের প্রজননহার বেড়ে যাওয়ার একটি বড় কারণ বাল্যবিবাহ।
অপ্রাপ্তবয়স্কা বা বাল্যবিবাহের অনুপাত ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে অনেক বেড়েছে। ২০২২ সালে ১৫ বছরের আগে বিয়ে হওয়া নারীদের হার ৬.৫ শতাংশ, ২০২১ সালে এই হার ছিল ৪.৭ শতাংশ। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর আর ছেলেদের ন্যূনতম বয়স ২১ বছর। কিন্তু নিয়মের তোয়াক্কা না করে বাল্যবিবাহ দিচ্ছেন অনেক অভিভাবক।
নারীদের বিয়ের ক্ষেত্রে শহরের চেয়ে গ্রামে কম বয়সে বিয়ে হচ্ছে। গ্রামের নারীদের গড় বিয়ের বয়স ১৮.৫ বছর, যেটি ২০২২ সালে ছিল ১৮.৪। অন্যদিকে শহরের নারীদের বিয়ের গড় বয়স ২০.১, যেটি ২০২১ সালে ছিল ২০.৪ বছর।
জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার কমেছে
জরিপে উঠে এসেছে, দেশের বিবাহিত দম্পতিরা জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে মোট প্রজননহারও বেড়েছে। ২০২২ সালে দেশের ৬৩.৩ শতাংশ দম্পতি জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। অথচ ২০২১ সালে এই হার ছিল ৬৫.৬ শতাংশ।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির সরঞ্জামের দাম বেড়ে যাওয়ায় এটি ব্যবহারের হার কমেছে। বিশেষ করে দুই বছর ধরে দেশের স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট পণ্যের দাম বাড়ছে।
জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি কমিয়েছেন গ্রামের দম্পতিরা। ২০২২ সালে গ্রামে এটি ব্যবহারের হার ছিল ৬২.৯ শতাংশ, যেখানে ২০২১ সালে গ্রামে এই হার ছিল ৬৫.৭ শতাংশ। অন্যদিকে শহরের দম্পতিরাও এটির ব্যবহার কমিয়েছেন, তবে গ্রামের তুলনায় কম।
দেশে জন্মহার বাড়ার কারণ কী হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ২০২১ সালের তুলনায় মোট জন্মহার ২.০৫ থেকে ২.২০ শতাংশে পৌঁছেছে। তার মানে মোট জন্মহার বেড়েছে। পাশাপাশি এটিও লক্ষণীয়, ১৫ বছরের কম এবং ১৮ বছরের কম দুই ক্ষেত্রেই নারীদের বিয়ের প্রবণতা বেড়েছে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, আগে বিয়ে হলে নারীরা আগে সন্তান নিয়ে থাকেন।
অধ্যাপক মইনুল বলেন, ‘আরেকটি লক্ষণীয় বিষয়, জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার কমেছে। এটির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি কমেছে দারিদ্র্যপীড়িত এলাকা তথা গ্রামীণ এলাকায়। কাজেই বোঝা যাচ্ছে, আমাদের পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম আরো বাড়াতে হবে। বাল্যবিবাহ, কিশোরী মাতৃত্ব যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।’
বেড়েছে তালাকের হারও
জরিপে দেখা গেছে, দেশে ২০২২ সালে প্রতি হাজারে ১.৪ জন তালাক নিয়েছেন, যেটি ২০২১ সালে ছিল ০.৭ জন বা একজনেরও কম। তালাক দেওয়ার হার শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি। গ্রামে ২০২২ সালে প্রতি হাজারে ১.৫ জনের বেশি তালাক দিয়েছেন, যেটি আগের বছর ছিল ০.৫ শতাংশ। ২০২২ সালে শহরে প্রতি হাজারে একজন তালাক দিয়েছেন, যেটি ২০২১ সালে ছিল ০.৫ জন।
অন্যদিকে তালাক হয়নি অথচ দাম্পত্য বিচ্ছিন্নের হার বেড়ছে। ২০২২ সালে প্রতি হাজারে ০.২৯ জন দম্পতি বিচ্ছিন্ন হয়েছেন, যেটি ২০২১ সালে ছিল ০.১৩ জন।
সম্পর্কিত খবর

জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থনীতিবিদ ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল বারকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদকের মামলায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, আবুল বারকাতের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা থাকায় ধানমণ্ডির ৩ নম্বর সড়কের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আবুল বারকাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন। পাশাপাশি তিনি হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অবৈতনিক প্রধান উপদেষ্টা।
অ্যাননটেক্স গ্রুপের নামে ২৮৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অর্থনীতিবিদ ও জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবুল বারকাত, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের মামলার অন্য আসামিরা হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান, সাবেক সহকারী পরিচালক ইসমত আরা বেগম, জনতা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সালাম আজাদ, সাবেক পরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ, মো. ইমদাদুল হক, নাগিবুল ইসলাম দিপু, আর এম দেবনাথ, মো. আবু নাসের, সঙ্গীতা আহমেদ, নিতাই চন্দ্র নাথ এবং অ্যাননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনূস বাদল।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আতিউর রহমান, আবুল বারকাত এবং তাঁর সহযোগীরা বিভিন্ন অনৈতিক উপায়ে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তবে ২০২২ সালে ঋণ অনিয়ম নিয়ে দুদকের তদন্তে পর্যাপ্ত প্রমাণ না পাওয়ায় তখন মামলার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান করা হয় আবুল বারকাতকে। ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি পাঁচ বছর এই পদে দায়িত্ব পালন করেন।

বাঁশ শিল্পের প্রদর্শনী


যানজট


চট্টগ্রামে নারীকে ১১ টুকরা করে হত্যা স্বামী পলাতক
- দেশজুড়ে অপঘাতে মৃত্যু ৮
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

চট্টগ্রামে এক নারীকে ১১ টুকরো করে স্বামী পালিয়ে গেছে। এছাড়া দেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের অপঘাতে ৮ ব্যক্তি মারা গেছেন। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন:
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটির এক বাসায় ফাতেমা বেগম (৩২) নামের এক নারীকে ১১ টুকরা করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী মো. সুমনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী মোহাম্মদ মাহফুজ হাসান সিদ্দিকী কালের কণ্ঠকে বলেন, ১০ বছর আগে ফাতেমার সঙ্গে সুমনের বিয়ে হয়েছিল।
রাউজান : চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মো. সেলিম উদ্দিনকে গুলি করে হত্যার পাঁচ দিনের মাথায় এবার তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুবদলকর্মী দিদারুল আলম নুংকুর (৪০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার পশ্চিম বেতবুনিয়ার লুঙ্গিপাড়া এলাকার পাহাড়ি চরা থেকে তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়। বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর প্রায় সাড়ে ১৫ ঘণ্টার পর তার এ মরদেহ উদ্ধার হয়। নুংকুর বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সমশের পাড়ায়। তিনি মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
যশোর : যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ঘোষনগর গ্রামে স্টিলের বাক্সের ভেতর থেকে সুচিত্রা দেবনাথ (৫৮) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে নিজ ঘরের কাপড়ের বাক্সে লুকিয়ে রাখা হয় বলে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী তপন দেবনাথকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে ৯ জুলাই রাত ১১টার দিকে। নিহত সুচিত্রা দেবনাথ বাঘারপাড়া উপজেলার বাসুয়াড়ী ইউনিয়নের ঘোষনগর গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় তপন দেবনাথকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা থেকে ঢেনা মুর্মু (৫৫) নামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক ব্যক্তির পানিতে ভাসমান প্রায় অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি নাচোল সদর ইউনিয়নের পীরপুর সাহানাপাড়া গ্রামের বুদ্ধাই মুর্মুর ছেলে। স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, ঢেনা মুর্মু গত সোমবার (৭ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে একই ইউনিয়নের প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরের ঝিকরা গ্রামে তাঁর নাতনির বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরে বুধবার (৯জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঝিকড়া গ্রামসংলগ্ন একটি বিলের কচুরিপানার মধ্যে ঢেনার ভাসমান মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় মাদকাসক্ত ছেলে মাহাবুর ইসলাম বাবু (২৮) মারধর ও ইট দিয়ে আঘাত করে মা হেনা বেগমকে আহত করে। স্ত্রীকে রক্ষা করতে গেলে বাবা শিশ মোহাম্মদকে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যাচেষ্টার পর স্বজন ও প্রতিবেশীদের প্রহারে বাবু নিহত হন। নিহত বাবুর বাড়ি রানীহাটী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের রামচন্দ্রপুরহাট বগিপাড়া গ্রামে। অভিযোগ রয়েছে, বাবু মাদক সেবনের টাকার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে অত্যাচার করে আসছিল।
পীরগঞ্জ : রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় আখিরা নদী থেকে আক্তার প্রধান সুজন (৩৬) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার আখিরা নদীতে ভাসমান অবস্থায় কাপড়বিহীন লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহত আক্তার প্রধান সুজন উপজেলার থানাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহগী ইউনিয়নের হাটুলিয়া গ্রামের বসতঘর থেকে এক তরুণের গলা কাটা ও ক্ষতক্ষিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই সময় লাশটি ছিল খাটের ওপর মশারির নিচে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছে রাতে বন্ধুদের নিয়ে ওই তরুণ মা-বাবাহীন ঘরে আড্ডায় মত্ত ছিল। নিহত মো. রাকিবুল ইসলাম (১৯) ওই গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাটুলিয়া গ্রাম থেকে জুবায়ের (১৯, রাকিব মিয়া (২১) ও কাউসার (১৮) নামে তিন তরম্নণকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে।
কালিয়াকৈর : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শালবনের ভেতর থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার বড় গোবিন্দপুর বিন্নার চালা ফুটবল খেলার মাঠের পাশে শাল বনের ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ। নিহতের পরিচয় জানা যায়নি। তার বয়স আনুমানিক (৪০)। তার পরনে জিন্সের প্যান্ট ও খয়েরি রঙের টি শার্ট ছিল।
টঙ্গী : ফ্লাইওভার থেকে টঙ্গীতে নামার সময় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত মাহফুজুর রহমান (২১) বরিশাল সরকারি হাতেম আলী কলেজে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী। বুধবার (৯ জুলাই) রাত ১২ টার পর ঢাকা-ময়মনসিংহগামী মহাসড়কের আব্দুল্লাহপুর ফ্লাইওভার থেকে টঙ্গীর সেনা কল্যাণ ভবনগামী সংযোগ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাহফুজুর রহমান বরিশাল সদর উপজেলার হায়াতসার গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের ছেলে। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ব্লু ফ্যাশনে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।