<p>রাশিয়ার রাজধানী মস্কোসহ দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়াতে এটি ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় হামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। রাশিয়ার ক্রুস্ক প্রদেশে অনুপ্রবেশকারী ইউক্রেনীয় সেনাদের হাতে এ পর্যন্ত ১৭ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরো ১৪০ জন। ক্রুস্কের প্রাদেশিক সরকারের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রুশ সংবাদ সংস্থা তাস।</p> <p>স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার অজ্ঞাত পরিচয় চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তাস জানিয়েছে, ‘সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, সশস্ত্র বাহিনীর আক্রমণে ১৭ জন মারা গেছে। এ ছাড়া ১৪০ জনের বেশি আহত হয়েছেন ও এদের মধ্যে ৪ শিশুসহ ৭৫জন হাসপাতালে ভর্তি।’ তবে কর্তৃপক্ষ মৃতের সংখ্যা এখনও নিশ্চিত করেনি। </p> <p>ভারপ্রাপ্ত কুরস্ক অঞ্চলের গভর্নর আলেক্সি স্মারনভ গত সপ্তাহে বলেছিলেন ১২ জন নিহত এবং ১২১ জন আহত হয়েছেন। ক্রুস্ক প্রদেশ থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তের দূরত্ব মাত্র ১০ কিলোমিটার। গত ৬ আগস্ট সীমান্ত পেরিয়ে ক্রুস্কে প্রবেশ করে ইউক্রেনীয় সেনাদের কয়েকটি দল। বর্তমানে প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছে তারা।</p> <p>এরপর থেকে প্রায় ১ লাখ ২১ হাজার মানুষকে যুদ্ধে প্রভাবিত অঞ্চল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদিকে রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট রাজধানী অভিমুখে ১১টি ড্রোন ধ্বংস করেছে বলে দাবি জানিয়েছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে। </p> <p>মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন জানান, ড্রোন ব্যবহার করে মস্কোতে ইউক্রেনের হামলার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় হামলা। কিছু ড্রোন পোডলস্ক শহরের উপরে ধ্বংস করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।</p> <p>অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট ব্রায়ানস্কের সীমান্ত অঞ্চলে ২৩টি ড্রোন ধ্বংস করেছে। এছাড়া ছয়টি ড্রোন বেলগোরোদে, তিনটি কালুগা অঞ্চলের উপর ধ্বংস করা হয়েছে। তবে প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, হামলার পর কোনো আহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলে জানান মস্কোর মেয়র। তবে এই হামলার বিষয়ে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।</p> <p>রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই অনুপ্রবেশকে ‘বড় মাত্রার উসকানি’ এবং ‘সন্ত্রাসী’ হামলা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনী ক্রুস্কে প্রবেশের পর এক বিবৃতিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলনিস্কি বলেন, রুশ হামলা থেকে বাঁচতে ক্রুস্ক প্রদেশকে বাফার জোন (দুই রাষ্ট্রের মধ্যবর্তী মুক্তাঞ্চল) করার পরিকল্পনা নিয়েছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ক্রুস্পে প্রবেশ করেছে সেনারা। যুদ্ধের পর থেকে রাশিয়াতে এটি ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় হামলা বিবেচিত হচ্ছে।</p> <p> </p>