<p>গত মাসে সিরিয়ার যোদ্ধারা প্রায় ১৫০টি ড্রোনের পাশাপাশি ইউক্রেনের গোয়েন্দাদের কাছ থেকে অন্যান্য গোপন সমর্থনও পেয়েছিল। বাশার আল-আসাদের সরকারকে সরানোর কয়েক সপ্তাহ আগেই বিদ্রোহীরা এই সহায়তা পেয়েছিল। ওয়াশিংটন পোস্টের বরাত দিয়ে রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে এই খবর বলা হয়েছে।  </p> <p>ইউক্রেনের সামরিক কার্যকলাপ সম্পর্কে জানেন, এমন একজন নামহীন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনীয় গোয়েন্দারা সিরিয়ার প্রধান বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) কে সহায়তা করার জন্য ২০টি ড্রোন অপারেটর এবং প্রায় ১৫০টি ফার্স্ট-পারসন-ভিউ ড্রোন পাঠিয়েছিল, যা রিমোট-পারসন ভিউ ( আরপিভি ) নামেও পরিচিত। এই সরঞ্জামগুলো প্রায় চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ আগে এইচটিএসের কাছে পাঠানো হয়েছিল। </p> <p>রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য এর আগে কোনো প্রমাণ ছাড়াই বলেছিল, সিরিয়ার বিদ্রোহীরা ইউক্রেনের কাছ থেকে ড্রোন পেয়েছে এবং কিভাবে সেগুলি পরিচালনা করতে হয়, সে বিষয়েও প্রশিক্ষণ পেয়েছে। কিন্তু রাশিয়ার এই অভিযোগ তখন ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে দেয়। </p> <p>আল-কায়েদার সাবেক সহযোগী সিরিয়ার প্রধান বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএস, ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধ এবং পাঁচ দশক ধরে আসাদ পরিবারের শাসনের পর একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছে। আসাদ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের ২৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটেছে। বাবা হাফিজ আল-আসাদ ও ছেলে বাশার আল-আসাদ মিলে টানা ৫৩ বছর সিরিয়া শাসন করেছেন।</p> <p>রাশিয়া আসাদ সরকারের প্রধান মিত্র। রাশিয়ার সামরিক বাহিনী এই মাসের শুরুতে আসাদের বাহিনীর বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাতে সহায়তা করেছিল। কিন্তু রাশিয়ান যুদ্ধ বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছে, আসাদের পতন শুধুমাত্র সিরিয়ায় কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দুটি রাশিয়ান সামরিক স্থাপনাই নয়, মধ্যপ্রাচ্যে মস্কোর উপস্থিতিও হুমকির মুখে পড়েছে।</p> <p>সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে এক দশক ধরে ক্ষমতায় রেখেছিল রাশিয়ার আগ্নেয়াস্ত্র শক্তি। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাবলি সব কিছু বদলে দিয়েছে।</p> <p>সূত্র : রয়টার্স</p>