<p>কুষ্টিয়া জেলা কারাগার ফটকের তালা ভেঙে শতাধিক বন্দি পালিয়ে গেছে। বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বন্দিদের  মারধরে ২৫ কারারক্ষী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারারক্ষীরা শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়েন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল কারাগারে আসে।</p> <p>প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর পৌনে ২টার দিকে কারারক্ষীদের ডিউটি বদলের মুহূর্তে আওয়ামী লীগ, যুবলীগের কিছু নেতাকর্মী কারাগারের সামনে আসে। ঠিক সেই সময় কারা অভ্যন্তরে আটক কলেজছাত্র মিলন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি কিশোর গ্যাং প্রধান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এস কে সবুজের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন বন্দি ভেতরের কারা ফটকে কারারক্ষীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা গেট ভেঙে পালাতে থাকে। সেই সুযোগে অন্য বন্দিরাও পালাতে থাকলে পাগলা ঘণ্টা বাজানো হলে কারারক্ষীরা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরই মধ্যে শতাধিক বন্দি পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা জেল গেটে উপস্থিত হন। </p> <p>কারাগার সূত্র জানায়, কারাগারের রক্ষীদের ডিউটি বদলের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বন্দিরা আগাবি ওসমানসহ উপস্থিত ২৫-৩০ জন কারারক্ষীকে পিটিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। </p> <p>কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের জেলার আবু মুসা জানান, কারাগার থেকে ঠিক কতজন কয়েদি পালিয়ে গেছে, তার সঠিক হিসাব জানা যায়নি। </p> <p>তবে জেল সুপার আব্দুল বারেক বলেন, ২০-২৫ জন কারারক্ষীকে আহত করে ৩০-৩৫ জন বন্দি পালালেও কোনো অস্ত্র খোয়া যায়নি। </p> <p>এ ব্যাপারে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমি সেনাবাহিনীকে জানাই। তারাও সেখানে অবস্থান নিয়েছে। পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের সংখ্যা শতাধিক হবে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সেটা জানিয়েছি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।’</p>