<p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্যাম্পাসে যাওয়া</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-আসায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বেশির ভাগ শিক্ষার্থী শাটল ট্রেনের ওপর নির্ভরশীল। প্রতিবছর শিক্ষার্থী বাড়লেও দীর্ঘদিন ধরে শাটল ট্রেনের সংকট। আসনের দ্বিগুণেরও বেশি শিক্ষার্থী চরম ভোগান্তি নিয়ে ট্রেনে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করছেন। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা আরো একাধিক নতুন ট্রেন চালুর দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু শাটল ট্রেনের এই সংকট শিগগিরই কাটছে না। দুর্ভোগ-ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে আরো অন্তত চার বছর।</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> (জিএম) মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপাচার্য শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিয়ে শাটল ট্রেনের নানা সমস্যার কথা যখন বলছিলেন তখন আমিও উপস্থিত ছিলাম। তবে নতুন ট্রেনের জন্য মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিলেও তা অনুমোদন পেতে তিন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-চার বছর লেগে যাবে। এ ছাড়া বগি বাড়ানোর কথা উঠলেও বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনটা ছোট হওয়ায় বগি বাড়ানো যাবে না। বগি বাড়াতে গেলে ইঞ্জিন পরিবর্তন করা যাবে না। রেললাইন সংস্কার করতে হবে। যেটা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। তবে আমরা শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শিগগিরই বিদ্যমান শাটলে লাইট ও পাখা সংযুক্ত করব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চবি সূত্রে জানা যায়</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, চট্টগ্রাম নগর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চবি ক্যাম্পাস। প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর পাশাপাশি ক্যাম্পাসে বসবাস করা কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের স্বজনের একটি বড় অংশ মিলে প্রতিদিন শাটলে চড়ে আসা-যাওয়া করে ১২ হাজারের মতো যাত্রী। তাদের জন্য ভরসা শুধু ৭০০ আসনের দুটি শাটল ট্রেন। অধিক শিক্ষার্থী শাটল ট্রেন ব্যবহার করেন। অথচ শাটল দেওয়া হয়েছে মাত্র এক জোড়া। এই এক জোড়া ট্রেন প্রতিদিন ১৪ বার আসা-যাওয়া করে। ২০২১ সালের নভেম্বরে অনিবার্য কারণ দেখিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় ডেমু ট্রেনটি। এর পর থেকে চাপ বাড়ে ট্রেন দুটির ওপর। দীর্ঘদিন ধরে এ সংকট থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানে তেমন মনোযোগী নয়। তারা একে অন্যের ওপর দায় চাপায়। </span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ কালের কণ্ঠকে বলেন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের শাটলের সমস্যা ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের করণীয় নিয়ে আমরা একটা উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করেছি। সম্প্রতি তারা রিপোর্ট দিয়েছে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ফজল করিম চৌধুরী সাহেব এসেছিলেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চবি বাংলা বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, শাটল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রায়ই শাটলে দাঁড়ানোর জায়গাও পাওয়া যায় না। আসনসংকটের কারণে অনেকেই ছাদে করে যাতায়াত করেন। বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনাও ঘটেছে শাটলের আসন ও শিডিউল সংকটের কারণে। </span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:.1pt">জানা যায়</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:.1pt">, গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে ট্রেনের ছাদে করে ক্যাম্পাসে যাওয়ার সময় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ১৭ জন আহত হন। এ ঘটনায় তিনজনকে হাসপাতালের আইসিইউতে পাঠাতে হয় এবং এটি ছিল শাটল ট্রেনে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা। এ ছাড়া গত বছর ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় শাটল ট্রেনে এক ছাত্রীকে দুই বহিরাগত ধর্ষণের চেষ্টা করে। এর দুই মাস পর একদিন সকালে এক ব্যক্তি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়। এ ছাড়া গত এক বছরে চলন্ত ট্রেনে ১২ বারের বেশি পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২০ জনের মতো শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। গত তিন মাসে প্রায় ১৫ শিক্ষার্থীর ব্যাগসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র চুরি হয়েছে ট্রেন থেকে। কেউ কেউ হারিয়েছেন টাকা। শাটল ট্রেনের সংখ্যা না বাড়ানো পর্যন্ত এসব ভোগান্তি কাটছে না বলেই মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।</span></span></span></span></span></span></span></p>