<p>স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের নথি গায়েবের ঘটনায় ওই বিভাগের চার কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সংগ্রহ-২ শাখার সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর আয়েশা সিদ্দিকা, জোসেফ সরদার, প্রশাসন-২ শাখার (গ্রহণ ও বিতরণ ইউনিট) অফিস সহায়ক বাদল চন্দ্র গোস্বামী এবং প্রশাসন-৩ শাখার অফিস সহায়ক মিন্টু মিয়া।</p> <p>সূত্র জানায়, নথি গায়েবের ঘটনায় যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে সেখানে নথি কে বা কারা চুরি করেছে তাদের চিহ্নিত করা হয়নি। তবে যাঁরা এই নথিগুলোর দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি। সেই সুপারিশের আলোকে গতকাল তাঁদের চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।</p> <p>গতকাল দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ২৯ নম্বর কক্ষে গিয়ে দেখা গেছে, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া আয়েশা সিদ্দিকা অফিস করছেন। তিনি সাময়িক বরখাস্তের কোনো চিঠি পেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে বলেন, ‘এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’</p> <p>গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর সাংবাদিকদের বলেন, এই ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা চলমান।</p> <p>তবে তাঁদের চারজন নথি চুরি করেছেন, নাকি দায়িত্বে অবহেলার কারণে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন—এমন তথ্য দিতে রাজি হননি তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব মো. শাহ আলম। তিনি তাঁর দপ্তরে গতকাল দুপুরে কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রাথমিকভাবে তদন্তে তাঁদের নাম এসেছে। এ কারণে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন বিভাগীয় মামলায় যে সিদ্ধান্ত হবে, সে অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।</p> <p>নথি গায়েবের ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহ্ আলমকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার কমিটির সদস্যরা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েবের ঘটনায় গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এমন একটি ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের তরফে মামলা না করায় এ বিষয়টি নিয়েও বিভিন্ন ধরনের আলোচনা চলছে মন্ত্রণালয়ে।</p>