<p><strong>[অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি বইয়ের প্রথম ইউনিটে গম্ভীরা গানের কথা উল্লেখ আছে]</strong></p> <p>  <p>সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যতম দেবতা শিবের নাম সবারই জানা। এই শিবের আরেক নাম হলো ‘গম্ভীর’। ধারণা করা হয়, আগে এই শিবপূজাকে কেন্দ্র করে এক ধরনের উৎসবের আয়োজন করা হতো, যার নাম ছিল গম্ভীরা উৎসব। এই গম্ভীরা উৎসবে শিবের বন্দনা করে যে গান গাওয়া হতো—সেই গানের নামই ‘গম্ভীরা গান’। পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলায় এ গানের উৎপত্তি। পাকিস্তান সৃষ্টির পর পূর্ব পাকিস্তানের রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জে গম্ভীরা গানের যাত্রা শুরু হয়। পরে রাজশাহীসহ নবাবগঞ্জ, নওগাঁ প্রভৃতি স্থানে এ গান জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বর্তমানে বাংলাদেশে এটি একটি জনপ্রিয় লোকসংগীত। গম্ভীরা গান সাধারণত দুই ধরনের হয়—আদ্যের গম্ভীরা ও দুই পালা গম্ভীরা। দেবদেবীকে সম্বোধন করে মানুষ তাঁর সুখ-দুঃখ পরিবেশন করলে তাকে আদ্যের গম্ভীরা বলে। আর পালা-গম্ভীরায় নানা-নাতির ভূমিকায় দুজন ব্যক্তির অভিনয়ের মাধ্যমে সমসাময়িক বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরা হয়। বর্তমানে পালা-গম্ভীরা গানই বেশি প্রচলিত। নানা-নাতির সংলাপ ও গানের মধ্য দিয়ে দ্বৈতভাবে এ গান পরিবেশিত হয়। আঞ্চলিক ভাষায় রচিত হয় এ গানের সংলাপ। গানে একটি ধুয়া থাকে; সংলাপের ফাঁকে ফাঁকে গানগুলো ধুয়ার সুরে গীত হয়। নানা-নাতির নাচ, গান, কৌতুক, অভিনয়, ব্যঙ্গ প্রভৃতির মাধ্যমে গম্ভীরা গানে সমাজের অসংগতি তুলে ধরা হয়। নানার পরনে থাকে—লুঙ্গি, মুখে থাকে পাকা দাড়ি, মাথায় মাথাল, হাতে লাঠি। আর নাতির পরনে ছেঁড়া গেঞ্জি, কোমরে থাকে গামছা। নতুন নতুন সুর সৃষ্টির মাধ্যমে গম্ভীরা গানকে সারা দেশে জনপ্রিয় করে তুলেছেন কিছু শিল্পী। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিল্পীরা হলেন—নবাবগঞ্জের কুতুবুল আলম, রকিবউদ্দীন প্রমুখ।         </p> </p> <p> </p> <p style="text-align: right;"><strong><span style="color:#FF0000">►</span>আব্দুর রাজ্জাক</strong></p>