<p>রাশিয়ার সুদূর পূর্বে কামচাটকা উপদ্বীপে ২২ আরোহী নিয়ে একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর ১৭টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকারীরা রবিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। ১৯ জন পর্যটক ও তিনজন ক্রু নিয়ে শনিবার হেলিকপ্টারটি উড্ডয়নের পরপরই আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ সেটি নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়েছিল।</p> <p>কামচাটকা একটি মনোরম, বন্য অঞ্চল। জায়গাটি এর সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ও আদিম প্রকৃতির কারণে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের জন্য জনপ্রিয়। সেখানকার গভর্নর ভ্লাদিমির সোলোডভ টেলিগ্রামে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে বলেছেন, উদ্ধারকারীরা স্থানীয় সময় রবিবার সকালে ৯০০ মিটার উচ্চতায় একটি পাহাড়ি এলাকায় হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছেন।</p> <p>রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয়ের পোস্ট করা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ একটি বৃহৎ বনাঞ্চলপূর্ণ পাহাড়ের চূড়ার কাছে ঢালে পড়ে আছে। হেলিকপ্টারটি রাডার থেকে অদৃশ্য হওয়ার স্থানের কাছাকাছি পাওয়া গেছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।</p> <p>ইভান লেমিখভ নামের মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ইতিমধ্যে ১৭টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। উদ্ধারকারীরা ক্যাম্প স্থাপন করেছে এবং ভোর না হওয়া পর্যন্ত অনুসন্ধান বন্ধ থাকবে।</p> <p>এমআই-৮ হেলিকপ্টারটি সোভিয়েত আমলে তৈরি একটি সামরিক হেলিকপ্টার, যা রাশিয়ায় পরিবহনের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি ভিটিয়াজ-অ্যারো নামের কামচাটকাভিত্তিক একটি কম্পানি পরিচালনা করত। কম্পানিটি পর্যটকদের জন্য ফ্লাইট পরিচালনা করে বলে জরুরি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।</p> <p>বিমান ও হেলিকপ্টারের দুর্ঘটনা রাশিয়ার সুদূর পূর্ব অঞ্চলে খুব ঘন ঘন হয়ে থাকে। ওই সব এলাকা খুব কম জনবহুল এবং সেখানে অনেক এলাকায় শুধু হেলিকপ্টার নিয়েই যাওয়া যায়। ২০২১ সালের আগস্টে একটি এমআই-৮ হেলিকপ্টার ১৬ জন আরোহীসহ কামচাটকার একটি হ্রদে দুর্বল দৃশ্যমানতার কারণে বিধ্বস্ত হয়। আরোহীদের মধ্যে ১৩ জনই পর্যটক ছিলেন। সেই দুর্ঘটনায় আটজন নিহত হয়। একই বছরের জুলাই মাসে একটি বিমান উপদ্বীপে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হলে সব আরোহী নিহত হয়। ফ্লাইটটিতে ২২ জন যাত্রী ও ছয়জন ক্রু ছিল।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>