<p>আরজি কর হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যেও চলছে প্রতিবাদ। এ পরিস্থিতিতে নিহত ওই চিকিৎসককে নিয়ে কুমন্তব্য করে বাসের মধ্যেই সহযাত্রীদের তোপের মুখে পড়েন এক ব্যক্তি। এ নিয়ে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে। </p> <p>ভিডিওতে দেখা যায়, বাসের মধ্যে দাঁড়িয়ে এক নারী ওই ব্যক্তির দিকে আঙুল তুলে কথা বলছেন। বাসে থাকা বাকি সহযাত্রীরাও অভিযোগ তোলেন নিহত নারী চিকিৎসককে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন তিনি। এ ঘটনার অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ব্যাগ দিয়ে মুখ লুকোনোর চেষ্টা করতেও দেখা যায়।</p> <p>বাসযাত্রীদের অভিযোগ, বাসে ওঠার পর থেকেই নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুন নিয়ে একের পর এক মন্তব্য করে যাচ্ছিলেন তিনি।অভিযুক্ত ব্যক্তি বলেন, মৃত ওই নারী কেন সরকারের টাকায় ডাক্তারি পড়েছেন? এর পরেই প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠেন বাসযাত্রীরা।</p> <p>অভিযুক্ত ব্যক্তি পাল্টা কয়েক জন যাত্রীকে ‘চোর’ এবং ‘চিটিংবাজ’ বলেও মন্তব্য করতে শোনা যায়। এর পরেই কয়েক জন নারী ওই ব্যক্তির বাসের সিট থেকে তুলে দেন। পরে পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে বাস থেকে নামিয়ে নিয়ে যায়।</p> <p><iframe frameborder="0" height="380" sandbox="allow-scripts allow-same-origin" scrolling="no" src="https://twitframe.com/show?url=https://twitter.com/keyakahe/status/1827022739464720641" width="380"></iframe></p> <p>এক যাত্রী বলেন, ‘আমি আকাশবাণী থেকে বাসে উঠেছিলাম। ওঠার পর থেকে শুনছিলাম, উনি আরজি করের ঘটনা নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলেই যাচ্ছেন। কেন মিছিল, প্রতিবাদ হচ্ছে তা নিয়ে আজেবাজে কথা বলছেন। বার বার কুমন্তব্য করছিলেন।’</p> <p>ভিডিওটি পোস্ট করে এক ব্যক্তি লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের নারীরা আর কোনো কুমন্তব্য সহ্য করবে না। বাসে এক ব্যক্তি আরজি কর কাণ্ডের নির্যাতিতাকে নিয়ে কুমন্তব্য করতেই বাকি নারী এবং অন্যান্য যাত্রীরা তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ওঠেন।’</p> <p>এই পোস্ট থেকেই জানা যায় সেই অভিযুক্ত ব্যক্তি জানিয়েছেন, যেহেতু সরকার চিকিৎসকদের জন্য অনেক অর্থ খরচ করে তাই তাদের এসব প্রতিবাদ করা উচিত নয়। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নিমেষে ভাইরাল হয়ে যায়। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার ভিউ এবং শেয়ার হয়েছে। </p> <p>প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট উত্তর কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সভাকক্ষে এক নারী চিকিৎসকের মরদেহ পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তে বলা হয়েছে, ওই নারী চিকিৎসককে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরের বাইরের অংশে ১৬টি ও ভেতরে ৯টি ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। যৌন নির্যাতনেরও আলামত পাওয়া গেছে।</p> <p>এ ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে সঞ্জয় রায় নামের কলকাতা পুলিশের এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। সরকার পরিচালিত ওই হাসপাতালে নারী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের দিন থেকেই বিচারের দাবিতে বিক্ষোভে নামেন চিকিৎসকরা। পরে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ ওই বিক্ষোভে যোগ দেন। </p> <p>সূত্র : আনন্দবাজার</p>