<p>নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডাটা সেন্টারে সংরক্ষিত ১১ কোটির বেশি বাংলাদেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির ঘটনা ঘটেছে। ২০ হাজার কোটি টাকায় এ তথ্য বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।</p> <p>আজ বুধবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। এ ঘটনায় ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।</p> <p>তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, তথ্য চুরির ঘটনায় রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতুল্লাহকে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আগামীকাল ছুটির দিনে খোলা থাকবে যেসব প্রতিষ্ঠান" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/09/1728476915-2819e292b44e171ab17f0cd0ccdf12c9.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আগামীকাল ছুটির দিনে খোলা থাকবে যেসব প্রতিষ্ঠান</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/09/1433485" target="_blank"> </a></div> </div> <p>নাগরিকদের ৪৬ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য পাওয়া যায়। এই তথ্যগুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বাণিজ্যিকভাবে ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার লেনদের তথ্য প্রাথমিকভাবে পাওয়া গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এতে অনেকগুলো সংস্থা জড়িত আছে। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের যারা জড়িত ছিল তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। কম্পিউটার কাউন্সিল ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেডকে যে তথ্যগুলো বিক্রি বা হস্তান্তর করেছে সেটা কোন আইনে, কিসের মাধ্যমে, কী স্বার্থে করেছে সেটা উদঘাটন করা হবে।</p> <p>কম্পিউটার কাউন্সিল ডিজিকনের সহায়তায় বিভিন্ন প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে এসব তথ্য বিক্রি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তালেবুর রহমান বলেন, কারা কিভাবে লাভবান হয়েছে সেটি খতিয়ে দেখছি।</p> <p>পুলিশ বলছে, ১৮২টি দেশি-বিদেশি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছিল এসব তথ্য।</p>