<p style="text-align:justify">আন্তর্জাতিক নদীগুলোতে ভারতের অবৈধ ও একতরফা সব বাঁধ উচ্ছেদের দাবিতে ঢাকা থেকে ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে ছাত্র-জনতার লং মার্চ ঘোষণা করে এর সমর্থনে মিছিল করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে সংগঠনটি। </p> <p style="text-align:justify">মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে যায় তারা। এরপর সেখানে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।</p> <p style="text-align:justify">সমাবেশে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি বলেন, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক হবে বন্ধু ও প্রতিবেশীর মতো, দাসত্ব কিংবা প্রভুত্বের নয়। ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিয়েছি। আমাদের পেছনে ফিরে যাওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই।</p> <p style="text-align:justify">দেশের কয়েকটি জেলায় বন্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা অঞ্চলে একটি ন্যারেটিভ দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে- ত্রিপুরাও বন্যায় আক্রান্ত, তারা বাংলাদেশকে কিভাবে রক্ষা করবে? এমন কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হলে পাশের দেশের প্রথম কর্তব্য প্রতিবেশী দেশকে জানানো যে আমাদের পানি ছাড়তে হবে, তোমরা প্রস্তুতি নাও। কিন্তু সব ধরনের কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূতভাবে ভারত রাতের আঁধারে বাংলাদেশের মানুষকে মেরে ফেলার জন্য পানি ছেড়ে দিয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">ছাত্র-জনতার লং মার্চের ডাক দিয়ে হাদি বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে বলতে চাই আগামী ২৭ আগস্ট রাজধানীর শাহবাগ থেকে প্রথমে কুমিল্লা অভিমুখে যাত্রা শুরু করব। পথিমধ্যে সাত জায়গায় যে জায়গাগুলোতে আমাদের অভ্যুত্থানের সবচেয়ে বড় আন্দোলন হয়েছিল- সেসব স্থানে আমরা পথ সমাবেশ করব।</p> <p style="text-align:justify">ইনকিলাব মঞ্চের সমন্বয়ক ওবায়দুল হক বলেন, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার শাসকের পতন হয়েছিল। বাংলাদেশের জনসাধারণের প্রতি আহ্বান থাকবে যে বন্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণকে ডুবিয়ে মারার যে নীলনকশা ভারত সরকার করেছে, এই এই নীলনকশা কোনোভাবে বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনাকে ভারতের মাটি থেকে বিতাড়িত করতে হবে, যেন তিনি কোনোভাবেই ভারতে আর আশ্রয় না পান। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যেমনটি বলেছিলেন বাংলাদেশে যদি কোনো অস্থিরতার পরিবেশ বিরাজ করে সে অস্থিরতা ভারতের সেভেন সিস্টার্সে পড়বে।</p> <p style="text-align:justify">এ সময় তারা ‘ইনকিলাব ইনকিলাব- জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘গোলামি না আজাদি-আজাদি আজাদি’, ‘দিল্লি না ঢাকা- ঢাকা ঢাকা’, ‘লং মার্চ লং মার্চ- সফল হোক সফল হোক’, ‘বন্যায় যখন মানুষ মরে- আবরার তোমায় মনে পড়ে’ সহ নানা স্লোগান দেন।</p>