<p>বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নতুন প্রো-ভিসি (একাডেমিক) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুর রহমান।</p> <p>আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের চিকিৎসা শিক্ষা-১ শাখা উপসচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে অধ্যাপক আতিকুর রহমানকে নিয়োগ দেওয়া হয়।</p> <p>প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮’ এর ১৫ (১) ধারা অনুসারে অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ, বিএসএমএমইউ ও অধ্যাপক, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগকে নিম্নবর্ণিত শর্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (একাডেমিক) এর শূন্য পদে নিয়োগ করা হলো।</p> <p>শর্তসমূহ হলো- বিএসএমএমইউর প্রো-ভিসি পদে নিয়োগের লক্ষ্যে কোষাধ্যক্ষ পদ হতে অধ্যাহতি প্রদান। প্রো-ভিসি হিসেবে তাঁর নিযুক্তির মেয়াদ চার বছর হবে। প্রো-ভিসি পদে তিনি তাঁর বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। বিধি অনুযায়ী প্রো-ভিসি পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন।</p> <p>প্রো-ভিসি হিসেবে বিএসএমএমইউ আইন, ১৯৯৮ এর ১৫ (২) ধারা অনুযায়ী তাঁর দায়িত্বাবলী পালন করবেন। রাষ্ট্রপতি প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।</p> <p>এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই মেয়াদে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে পালন করেন মো. আতিকুর রহমান। গতকাল নতুন প্রো-ভিসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর ডা. আতিকুর রহমানকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীবৃন্দ।</p> <p>নতুন দায়িত্ব পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ডা. আতিকুর রহমান বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে ও চিকিৎসকদের অধিকার আদায়ে সবসময় সোচ্চার ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করাই হবে আমার লক্ষ্য। </p> <p>প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার পাশাপাশি শিক্ষা ও গবেষণায় নজর দিতে প্রধানমন্ত্রী যে তাগিদ দিয়েছেন সেদিকে আরো নজর দেওয়ার কথা জানান ডা. আতিকুর। </p> <p>বিশিষ্ট বক্ষব্যধী চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের গ্রামের বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জে। তিনি ১৯৬৯ সালের ১৫ মে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। জাতীয় বক্ষব্যাধী ইনস্টিটিউট থেকে বক্ষব্যাধীতে এমডি ডিগ্রি অর্জন করে পেশাগত জীবনে দক্ষতা ও মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। ২০১৪ সালে আমেরিকান কলেজ অফ চেস্ট ফিজিশিয়ান্স থেকে এফসিসিপি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।</p> <p>এর আগে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ২ মেয়াদে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয় অর্থ কমিটির সভাপতি এবং সিন্ডিকেট সদস্য। তিনি বিএসএমএমইউর জার্নালের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যালে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি)-এর মেম্বার সেক্রেটারি, ইনস্টিটিউশনাল রিভিউ বোর্ড (আইআরবি)-এর সদস্য এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ স্পোর্টস মেডিসিনের সম্মানিত কোষাধ্যক্ষ-এর দায়িত্ব পালন করছেন।</p> <p>এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সেন্ট্রাল কাউন্সিলর, ইথিক্যাল রিভিউ বোর্ড (ইআরবি)-এর সদস্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাহী সদস্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পালমোনলজি বিষয়ের ফাউন্ডার কোর্স কো-অর্ডিনেটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাসোসিয়েশন অফ ফিজিশিয়ান্স অফ বাংলাদেশ, দি চেস্ট অ্যান্ড হার্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ, এজমা অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্রনকোলোজি অ্যান্ড ইন্টারভেনশনাল পালমোনলজি, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি এবং পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের সম্মানিত আজীবন সদস্য।</p> <p>অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুর রহমানের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন জার্নালে ৪৭টি বৈজ্ঞানিক প্রকাশনাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বিভিন্ন সময়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় সংবাদপত্রের চিকিৎসা, জনস্বাস্থ্য ও সচেতনামূলক বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত কলাম লিখেন।</p> <p>ব্যক্তিজীবনে তিনি ২ কন্যা সন্তানের পিতা। তার সহধর্মিনী ডা. কাজী রাহিলা ফেরদৌসি একজন বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। তার বাবা মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, মা হাসিনা রহমান।</p>