<p>প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, অনেকেই নির্বাচন অন্তত তিন মাস পেছানোর কথা বলেন। তাঁরা মনে করেন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনো ঐকমত্য গড়ে ওঠেনি। কিন্তু কমিশনের নির্বাচন তিন মাস পেছানোর কোনো রকম এখতিয়ার নেই।  </p> <p>দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের আইন-বিধিবিধান সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিইসি এসব কথা বলেন। সোমবার সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়।</p> <p>বক্তব্যে সিইসি বলেন, যাঁরা নির্বাচন পেছানোর কথা বলেন; তাঁরা মনে করেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) অসীম ক্ষমতার অধিকারী। নির্বাচন তিন মাস, এমনকি তিন বছর পিছিয়ে দিতে পারে। এগুলো আসলে সত্য নয়।</p> <p>কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, যারা রাজনীতিবিদ তাঁরা অবশ্যই অবগত আছেন যে একটা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করে সংসদ সদস্যদের নির্বাচিত করতে হবে। তাঁদের দ্বারা সংসদ গঠনের সুযোগ করে দিতে হবে। ইসি সে প্রক্রিয়ার কিছুটা অংশের দায়িত্ব পালন করে থাকে। </p> <p>নির্বাচনে বিদেশি প্রভাব সম্পর্কে সিইসি বলেন, ‘তাঁদের এসব কথা বলার অধিকার আছে, কারণ বাংলাদেশ একটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে বসবাস করে। এ সম্প্রদায় চায় আমাদের নির্বাচনটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক। এ কারণে ইসির জনগণের প্রতি যেমন দায়বদ্ধতা আছে তেমনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিও দায়বদ্ধতা আছে। ফলে আন্তর্জাতিক গুরুত্বকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখা যাবে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দেখাতে হবে এবারের নির্বাচনটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে।’ </p> <p>কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচনে সর্বজনীনতা কাম্য ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃত্বের একটি অংশ নির্বাচন বর্জন করেছে। তারা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের বিপক্ষে বক্তব্য রাখছে। এতে অসুবিধা নেই, কিন্তু সহিংস পন্থায় যদি এটার বিরুদ্ধাচরণ করা হয়, যারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন তাদের যদি বাধা প্রদান করা হয় তাহলে সংকট দেখা দেবে। এ কারণে নির্বাচনটা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও নির্ধারিত সময়ে করতে হবে। এখানে প্রতিরোধ আসতে পারে, বিভক্তি আসতে পারে। এর পরও এ কাজ করতে হবে।’</p>