<p>‘আগামী এক মাসের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরীগুলোতে স্মার্ট কার্ড পাঞ্জ করে প্রবেশ করতে হবে। এতে করে মেয়াদোত্তীর্ণ যেসব শিক্ষার্থী লাইব্রেরি বসে বিসিএস বা বিভিন্ন চাকরির প্রস্তুতির পড়াশোনা করে তারা লাইব্রেরিতে প্রবেশ করতে পারবেন না।’</p> <p>আজ শুক্রবার (১০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির মিলনায়তনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ ও অগ্রায়ন অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এ তথ্য জানান।</p> <p>উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়েছে। এই কার্ডে ১৫ রকমের অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। আমাদের শিক্ষকদের হাতেও আগামী এক মাসের মধ্যে কার্ড পৌঁছে যাবে। আগামী এক মাসের মধ্যেই লাইব্রেরিতেও কার্ড পাঞ্চ করে ঢুকতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ যেসব শিক্ষার্থী লাইব্রেরিতে গিয়ে বিসিএস পড়ে, তারা আর সেখানে ঢুকতে পারবে না।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘আগামী বছর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ঢুকার সময়ে কার্ড পাঞ্চ করে ঢুকতে হবে। যদি মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্র থাকে, কেউ যদি বহিরাগত থাকে, তারা যেন হলে ঢুকতে না পারে, সেই ব্যবস্থা আমরা করব। এতে করে আমাদের আবাসন সংকট দূর হবে।’</p> <p>ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞান চর্চা ও গবেষণার উৎকৃষ্ট প্রতিষ্ঠান আখ্যায়িত করে উপাচার্য বলেন, ‘এখানকার উন্মুক্ত ও গণতান্ত্রিক পরিবেশে জ্ঞান চর্চা ও সকল সুযোগ-সুবিধার সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে নতুন নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’</p> <p>অনুষ্ঠানে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘জ্ঞান, বিবেক ও বুদ্ধি দিয়ে সাংবাদিকরা দেশ ও সমাজকে একটি ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা হলুদ সাংবাদিকতা রোধ ও সঠিক সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত হবে।’</p> <p>গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক রাশেদা ইরশাদ নাসির বক্তব্য দেন।</p> <p>অনুষ্ঠানে বিভাগের ৯ম, ১০ম ও ১১তম ব্যাচকে বিদায় এবং ১৪তম, ১৫তম, ১৬তম ও ১৭তম ব্যাচকে একত্রে বরণ করে নেওয়া হয়।  এছাড়া সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উপলক্ষে  আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিকেলে দ্বিতীয় পর্বে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।</p>