<p>পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার আসামি এক তরুণকে জামিন না দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আসামির নাম মো. পলাশ মিয়া (২৬)। তার বাড়ি ব্রাহ্মনবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ গ্রামে।</p> <p>আসামির আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) এ আদেশ দেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ফজলুর রহমান, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী বদরুন নাহার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।</p> <p>পরে আইন কর্মকর্তা মাসুদ রুমি কালের কন্ঠকে বলেন, ‘ফেসবুকের মাধ্যমে মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন আসামি। সম্পর্কের কোনো এক পর্যায়ে গোপনে মেয়েটির ব্যক্তিগত ও তাদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তুলে তা সংরক্ষণ করেছিলেন আসামি পলাশ মিয়া।’</p> <p>রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী বলেন, ‘পরিবার মেয়েটিকে অন্য একজনের সঙ্গে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর পলাশ মিয়া মেয়েটিকে নানাভাবে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে নিজের কাছে সংরক্ষণ করা ছবি মেয়েটির স্বামীকে দেখিয়ে সংসার না করার কথা বলেন। এরপর সেসব ছবি ফেসবুকে আপলোড করে ছড়িয়ে দেন আসামি।’</p> <p>জামিন আবেদন খারিজ করার পর আসামিকে পুলিশে না দিতে তার আইনজীবী আদালতকে অনুরোধ করেছিলেন জানিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘তখন হাইকোর্ট আসামির আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, বিজ্ঞ অ্যাডভোকেট আপনি কেবল একজন আইনজীবী হিসেবে না, এমন অপরাধের শিকার একটি মেয়ের বাবা হিসেবে বা ভাই হিসেবে এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে চিন্তা করে দেখেন, এ ধরনের আসামিকে জামিন দেওয়া ঠিক হবে কিনা। আদালত বলেছে, এ ধরনের আসামিকে যদি আমরা ছেড়ে দেই তাহলে সমাজে ভিন্ন বার্তা যাবে। বরং আমরা জানাতে চাই এ ধরনের অপরাধ করে কেউ পার পাবে না।’</p> <p>পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে গত বছর ২০ নভেম্বর মেয়েটির মা আখাউড়া থানায় মামলা করেন। মো. পলাশ মিয়া (২৬) ও হৃদয় চৌধুরী (২৭) ছাড়াও অজ্ঞাতনামা সহযোগীর কথা উল্লেখ করা হয় মামলায়।</p>