<p>আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য ফরিদপুরে সালথা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন মো. ওয়াহিদুজ্জামান। ফলে একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রইলেন মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর। ভোটের মাত্র একদিন আগে রবিবার (১৯ মে) বিকেলে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর এ ঘোষণা দেন তিনি।</p> <p>সংবাদ সম্মেলনে ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আমি প্রতিপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে হেরে গেছি। এখন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে আমার লোকজনের ওপর হামলা ও সহিংসতা হতে পারে। তাছাড়া স্থানীয় এমপি সরাসরি আমার প্রতিপক্ষ ওয়াদুদ মাতুব্বরকে সাপোর্ট দিচ্ছেন। যে কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।</p> <p>গত ২৩ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে নিজ স্ত্রীর নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান থাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে তিনি আপিল করলে সেখানেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। পরে একক প্রার্থী হিসেবে মো. ওয়াহিদুজ্জামানকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।</p> <p>এরপর ওয়াদুদ মাতুব্বর মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। হাইকোর্ট গত ৫ মে তার রিট সরাসরি খারিজ করে দেন। পরে ওয়াদুদ মাতুব্বর আপিল বিভাগে আবেদন করেন। ১৩ মে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ওয়াহিদুজ্জামান আপিল বিভাগে আবেদন করেন। কিন্তু সে আবেদনে রবিবার সাড়া দেননি আপিল বিভাগ। যে কারণে আগামী ২১ মে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।</p> <p>তবে রবিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের দিনেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ওয়াহিদুজ্জামান। এখন একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে থাকলেন ওয়াদুদ মাতুব্বর।</p> <p>আগামী ২১ মে সালথা ও নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।</p>