<p>বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ডে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় বন্ধ হলেও ভাড়া নিয়ে চালকদের নৈরাজ্য চলছেই। বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে জনমনে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। প্রতিনিয়ত চালকদের সঙ্গে যাত্রীদের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিদিন একাধিক পোস্ট করেন ভুক্তভোগী যাত্রীরা।</p> <p>শুক্রবার (২৩ আগস্ট) অনুসন্ধানে দেখা যায়, ধুনট থেকে বগুড়া, শেরপুর, সোনামুখী, ঢেকুরিয়া, গোসাইবাড়ী, জোড়শিমুল, সোনাহাটা, মথুরাপুরসহ বিভিন্ন সড়কে প্রতিদিন পাঁচ শাতাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলা করে। এলাকার বেশির ভাগ যাত্রীই প্রতিদিনের যাতায়াতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ওপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন অফিসগামী মানুষ, রোগী, শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষ নানা প্রয়োজনে এই যান ব্যবহার করে।</p> <p>সিএনজির চালকদের কাছে থেকে সড়কের দূরত্ব অনুযায়ী ৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হতো। এর মানে দৈনিক লক্ষাধিক টাকার চাঁদা আদায় করা হয়। এসব টাকার ভাগ সিএনজির মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতা, ক্ষমতাসীন দলের নেতা, স্থানীয় সন্ত্রাসী ও পুলিশের অসাধু নিতেন। তাই অবৈধ চাঁদা প্রদানের অজুহাত দেখিয়ে চালকরা প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে ১০-১৫ টাকা করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে থাকেন।</p> <p>এ অবস্থায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পর থেকে সিএনজির স্ট্যান্ডে চাঁদা আদায় বন্ধ হয়েছে। স্ট্যান্ড কিংবা সড়কের মোড়ে মোড়ে টেবিল পেতে কিংবা লাঠি হাতে চাঁদাবাজদের আর দেখা যায় না। ফলে সিএনজি চালকরা বর্তমানে স্বাধীনভাবে সড়কে চলাচল করছেন। তার পরও যাত্রীদের কাছ থেকে আগের মতোই অভৈধভাবে অতিরিক্ত হারে ভাড়া আদায় করছেন তারা। এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে সিএনজির মালিক ও চালকদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেও ভাড়া কমাতে পারছেন না।    </p> <p>এসব সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা জানান, স্ট্যান্ডে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় বন্ধ হয়েছে। এখন আর চালকদের চাঁদার নামে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয় না। অথচ সড়কে ভাড়া কমানোর বদলে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন তারা। এরা সাধারণ যাত্রীদের ওপর জুলুম-অত্যাচার করছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে এর সমাধান প্রয়োজন।</p> <p>অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণ জানতে চাইলে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা বলেন, ‘বর্তমান বাজারে জিনিসপত্রের যে দাম তাতে নির্ধারিত ভাড়ায় আমাদের সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। আমরা চাই, এ সড়কে সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া বাড়ানো হোক।’</p>