<p>ফেনীর মুহুরী নদীর পানি ঢুকে এবং ঢানা বর্ষণে নোয়াখালীর ৯টি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ফলে বন্যার পানিতে ডুবে গেছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও ফসলের মাঠ। এতে নোয়াখালী পৌরসভার বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। </p> <p>এদিকে জেলা আবহওয়া অফিস জানিয়েছে, নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি উপজেলার ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। গ্রামের সব সড়ক, ফসলি মাঠ এখনো পানিতে তলিয়ে আছে। ভেসে গেছে পুকুর ও খামারের মাছ।</p> <p>জানা গেছে, টানা বৃষ্টিতে জেলা শহর মাইজদীসহ ৯টি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকার সড়ক, মহাসড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতি জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়। </p> <p>সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে দেখা গেছে, অনেক ঘর ও রান্নাঘরেও হাঁটু পানি রয়েছে। পানির কারণে রান্নাও করতে পারেনি অনেকে। আশপাশের নালায় জমে থাকা ময়লা আবর্জনা বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে ছড়িয়ে পড়েছে। </p> <p>নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ফেনীর মুহুরী নদীর পানি নোয়াাখালীতে ঢুকছে। এরপর মুহুরী নদীর পানি লক্ষ্মীপুর হয়ে নেমে যাবে। এ জন্য পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। </p> <p>তিনি আরো জানান, মুহুরী নদী থেকে বন্যার পানি নোয়াখালীেতে পানি আসছে। এখন যে অবস্থা তাতে পানি নামার কোনো সুযোগ নেই। বন্যার্তদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি বৈঠক ডাকা হবে।   <br />  </p>