<p style="text-align:justify">ভরা মৌসুম চললেও ইলিশ নিয়ে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা যাচ্ছে না চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ফিশারিঘাটে। আশানুরূপ সরবরাহ না থাকায় বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে রসনাবিলাসের ইলিশ। তার পরও বাজারে যে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তার বেশির ভাগই হিমাগারের। সীতাকুণ্ড, আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপকূলীয় এলাকাসহ চট্টগ্রামের বেশির ভাগ আড়তে মন্দা অবস্থা বিরাজ করছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="জিআই স্বীকৃতি পাচ্ছে আরো ২১ পণ্য" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/08/16/1723783017-19d5605c2b241c57650d1b2d95e2dca6.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>জিআই স্বীকৃতি পাচ্ছে আরো ২১ পণ্য</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/business/2024/08/16/1415515" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">তবে তিন-চার দিন পর জো এলে ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশা ব্যবসায়ীদের। গত বুধরাব দুপুরে চট্টগ্রামে আড়তদার ও মাছ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।</p> <p style="text-align:justify">চকবাজারের মাছ ব্যবসায়ী শামসুল আলম জানান, বাজারে মাছের সরবরাহ কম, যার কারণে অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় এবার মাছ অনেকটাই কম। বর্তমান বাজারে ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ এক হাজার ৩০০ টাকা, ৯০০ গ্রাম  থেকে এক কেজি ওজনের ইলিশ এক হাজার ৫০০ টাকা, এক কেজি ২০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ এক হাজার ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।</p> <p style="text-align:justify">বহদ্দারহাটের মাছ ব্যবসায়ী মনির হোসেন জানান, বাজারে এখন যেসব ইলিশ বিক্রি হচ্ছে তার বেশির ভাগই হিমাগারের। সাগরের মাছ এখনো বাজারে তেমন আসছে না।</p> <p style="text-align:justify">চট্টগ্রামের অরুণ কান্তি দাশ সামুদ্রিক মাছ শিকারের ট্রলার মালিক। এবার মাছের অবস্থায় তিনি হতাশ। আবার আশাবাদীও। কারণ এখন দশমি চলছে। এটি মাছ ধরা পড়ার উত্তম সময়। তিনি বলেন, একটা ১৫ থেকে ২০ টন ধারণক্ষমতার ট্রলার সাগরে পাঠাতে ছয়-সাত লাখ টাকা খরচ হয়। সাগরে আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="এবার সাবেক এমপি মহারাজ ও শিমুলের ব্যাংক হিসাব জব্দ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/08/16/1723782918-6d3bc44117c1e07baf434d95acb78c4f.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>এবার সাবেক এমপি মহারাজ ও শিমুলের ব্যাংক হিসাব জব্দ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/08/16/1415514" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">২৩ জুলাই থেকে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলেও বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল ছিল। অনেকেই সাগরে গিয়ে ফিরে এসেছে।</p> <p style="text-align:justify">এই ট্রলার মালিক আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে যখন সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে তখন পাশের দেশ ভারতে অভিযান থাকে না। বাংলাদেশে নিষিদ্ধ সময়ে ভারতের জেলেরা এসে সমুদ্রে মাছ ধরে। এর ফলে নিষিদ্ধ সময় প্রত্যাহার শেষে আমরা আর তেমন মাছ পাই না। যদি অভিযান একই সময়ে হয় তাহলে আমরা মাছ আগের মতো পাব বলে আশা করছি।’</p> <p style="text-align:justify">সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, ‘চলতি বছরে মাছের প্রাপ্তির তথ্য পেতে আরো ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগবে। তবে বর্তমান সময়ে মৎস্য দপ্তর দেশে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সাগরের পাশাপাশি পদ্মা ও মেঘনা নদীতে বছরজুড়ে কাজ করে আসছে। বিশেষ করে জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় আমরা জেলেদের সচেতন করে আসছি।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, দেশের প্রধান নদীগুলোতে ডুবোচরের কারণে ইলিশের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে ইলিশ সাগরে থেকে যায়।</p>