<p>বরগুনার তালতলীতে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমালের’ জরুরি তথ্য সংগ্রহ এবং বিতরণের জন্য কন্ট্রোলরুমের দায়িত্ব থাকলেও তা পালন করেননি এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন। এর ফলে জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের কোনো তথ্যই পায়নি সাধারণ মানুষ।</p> <p>রিমালের কারণে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে সরকার; কিন্তু এ আদেশ উপেক্ষা করে উপজেলা প্রকৌশলী কর্তৃপক্ষকে কোনো কিছু না জানিয়ে কর্মস্থলে না থেকে ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে নিশ্চিত করেন ইউএনও সিফাত আনোয়ার তুম্পা। তিনি বলেন, ‘দায়িত্বে অবহেলার কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ </p> <p>সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমাল উপকূলীয় জেলা বরগুনার তালতলীতে আঘাত হানতে পারে। এ জন্য সকল সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়। সার্বক্ষণিক ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ, পূর্বাবাস ও জলোচ্ছ্বাসসংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার জন্য উপজেলায় কন্ট্রোলরুম চালু করে উপজেলা প্রশাসন। পর্যায়ক্রমে ওই কন্ট্রোলরুমের দায়িত্ব দেওয়া হয় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর প্রধানকে। </p> <p>রবিবার (২৬ মে) কন্ট্রোলরুমের দায়িত্বে থাকেন উপজেলা প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন এবং তারই দপ্তরের সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মাসুদ সিকদার। কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলী ও মাসুদ রবিবার অফিসেই আসেননি। তথ্য জানার জন্য কন্ট্রোলরুমে দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এতে কন্ট্রোলরুমের দায়িত্ব পালন ব্যাহত ও ঘূর্ণিঝড়ের কোনো তথ্যই পায়নি সাধারণ মানুষ।</p> <p>এ বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেনের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।</p> <p>বরগুনা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম হুমায়ূন কবির মুঠোফোনে বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের জন্য সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তিনি যদি স্টেশনে না থাকেন তাহলে তাকে অবশ্যই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে।</p> <p>উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুম্পা বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের কন্ট্রোলরুমের দায়িত্বে দেওয়া হয়েছিল উপজেলা প্রকৌশলীকে। কিন্তু তিনি তার দায়িত্ব পালন করেনি। আমাকে অবহিত না করে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।’ </p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘তার দপ্তরের রাজস্ব খাতের অন্য কর্মকর্তারাও স্টেশনে ছিলেন না। খোঁজখবর নিয়ে জানতে পেরেছি তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। সবার ছুটি বাতিল হলেও তাদের এমন কর্মকাণ্ডে আমরা হতাশ। দায়িত্বে অবহেলার কারণে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p>