<p style="text-align: justify;">ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জেগাছের পাতা পাড়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের মারধরে আবদুল গণি (৬০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দুইজন। </p> <p style="text-align: justify;">নিহত আবদুল গণি পেশায় কৃষক ছিলেন। তার বাড়ি উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের কুমুরিয়ার চরে। গতকাল মঙ্গলবার মারধরের ঘটনায় আবদুল গণি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার সকারে তিনি মারা যান। </p> <p style="text-align: justify;">স্থানীয়রা জানান, আবদুল গণির সঙ্গে জমির সীমানা নিয়ে প্রতিবেশী নুরুন্নবী ও তার পরিবারের লোকজনে বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি এলাকায় একটি সালিশ আয়োজন করে সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসা করা হয়। সালিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুই পক্ষের সীমানা চিহ্নিত করে সিমেন্টের খুঁটি পোতা হয়।</p> <p style="text-align: justify;">নিহতের পরিবারের একটি সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সীমানায় থাকা একটি শেওড়া গাছ থেকে পাতা পাড়তে যান আবদুল গণি। এতে বাধা দেন নুরুন্নবী ও তার পক্ষের লোকজন। এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে গণিকে সেখানে ফেলে বেদম মারধর করা হয়। গণির চিৎকার শুনে এগিয়ে যান স্ত্রী মঞ্জিলা খাতুন (৫০) ও বড় ভাই মুসলেম উদ্দিন (৭০)। তাদেরও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়। </p> <p style="text-align: justify;">পরে গুরুতর আহত তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে বুধবার সকালে গণি মারা যান। আহত দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। </p> <p style="text-align: justify;">এদিকে আবদুল গণির মৃত্যুর সংবাদ তার গ্রামে ছড়িয়ে পড়ার পর উত্তেজনা দেখা দেয়। অভিযুক্ত নুরুন্নবী পালিয়ে গেছেন। </p> <p style="text-align: justify;">ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান মারামারির ঘটনায় আহত ব্যক্তির মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় কুমুরিয়া গ্রামে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।</p>