<p>রিসোর্ট থেকে উদ্ধারের পর গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার ওসি কলেজ শিক্ষার্থীকে বিয়ে করলেও স্ত্রীর মর্যাদা দেননি। বরং জোরপূর্বক নববধূকে বাবার বাড়ি মানিকগঞ্জে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে।</p> <p>এর আগে গাজীপুর পুলিশ সুপারের কাছে দেওয়া অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য ওই নারীকে চাপ দিয়েছেন ওসি। কক্ষে আটকে রেখে মায়ের সামনেই নির্যাতনও করেন তিনি। মেয়েকে নির্যাতন করতে দেখে জ্ঞান হারান মা। পরে তাঁকে গাজীপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাও দেওয়া হয়। গতকাল শনিবার ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষার্থী মোবাইলে কালের কণ্ঠকে এসব তথ্য জানান।</p> <p>কলেজছাত্রী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে জয়দেবপুর কাজী অফিসে আমাকে বিয়ে করেন ওসি মিজানুর। বিয়ের পর কাজী অফিসের সামনেই ফেলে রেখে প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে চলে যান তিনি। মাকে নিয়ে সারা রাত জয়দেবপুর থানায় অবস্থান করেছি। তাঁকে (ওসিকে) বারবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। শুক্রবার সকালে কাবিননামার নকল নিতে গেলে ফোন করে কাজীকে নকল না দিতে চাপ দিয়েছেন। এক পর্যায়ে ওসি সেখানে উপস্থিত হয়ে আমাকে বকাঝকা করেন এবং পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে ডিভোর্স দিতে চাপ দেন।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে ওসি আমাকে ও আমার মাকে থানার নিকটবর্তী মনিপুর এলাকায় একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় নিয়ে আটকে রাখেন এবং নির্যাতন চালান। আমার মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে আমার ওপর নির্যাতন দেখে মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সন্ধ্যার দিকে গাজীপুরের পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলমকে ফোনে বিষয়টি অবহিত করি। এসপির ফোন পেয়ে আমাদের মানিকগঞ্জে পাঠিয়ে দেন ওসি। বাড়িতে যাওয়ার পর মা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে মানিকগঞ্জের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার বিকেলে মাকে বাসায় নেওয়া হয়। সারা দিন ওসি আমার কোনো খোঁজ নেননি। উল্টো আমার এক আত্মীয়কে ফোন করে ২০ লাখ টাকা নিয়ে তাঁকে ডিভোর্স দিতে এবং পুলিশ সুপারের কাছে করা লিখিত অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেন।’ </p> <p>এ ব্যাপারে ওসির দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার হওয়া সৈয়দ মিজানুর ইসলামকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। জয়দেবপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, মিজানুর ইসলাম গাজীপুরেই অবস্থান করছেন।</p>