<p>কুয়াশা ভেদ করে সবে উঁকি দিচ্ছে ঝলমলে রোদ। প্রকৃতিতে মৃদু হিমেল হাওয়া। এ যেন হেমন্তের চিরচেনা রূপ। এমন দিনে পিঠা খেতে কার না ভালো লাগে! এ জন্যই ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিক্যাল কলেজের মাঠে পা ফেলার ফুরসত নেই। সবাই পিঠা খেতে ব্যস্ত। পাক্কন, পুলি, চিতই, পাটিসাপটা, ভাপা পিঠা–কী নেই এখানে!</p> <p>মেডিক্যাল কলেজে রবিবার (২৭ নভেম্বর) আয়োজন করা হয় পিঠা উৎসবের। সকাল আটটায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা একে একে উৎসবে উপস্থিত হন। বেলা ১০টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন কলেজের শিক্ষার্থীসহ আমন্ত্রিত শিল্পীরা। </p> <p>উৎসবে আসা বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মো. মনির হোসেন বলেন, 'পিঠা উৎসব আমাদের ঐতিহ্য। এটি ধরে রাখার প্রয়াসকে আমি স্বাগত জানাই। এখানে এসে বেশ ভালো লাগল।'</p> <p>ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান ডা. মো. আবু সাঈদ অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানান। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পৌর মেয়র নায়ার কবির, সিভিল সার্জন মো. একরাম উল্লাহসহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এতে অংশ নেন।</p>