মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়া দিনমজুর আতিক মিয়ার অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে পুলিশ প্রশাসন। শুক্রবার রাতে কালের কণ্ঠে তাদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর অনেকে ব্যক্তিগতভাবে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম মানবিক ওই প্রতিবেদনটি দেখার পর তিনি মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার)-কে ফোন দিয়ে ওই পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেন। পরে পুলিশ সুপার কুলাউড়া থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে দ্রুত একটি ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা মঙ্গলবার বিকেলে অসহায় ওই পরিবারটির হাতে তুলে দেয়। ডিএমপি কমিশনার, জেলা পুলিশ সুপার ও কুলাউড়া থানা পুলিশের যৌথ অর্থায়নে তাদের এ সাহায্য করা হয়।
আরো পড়ুন :
‘আব্বা আল্লাহর বাড়ি গেছোইন, আমরার লাগি পোলাও লইয়া আইবা’
এর আগে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসন তাদেরকে একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
নিহত আতিক মিয়ার স্ত্রী রফনা বেগম বলেন, আমার স্বামী দিনমজুর হিসেবে রাজমিস্ত্রির কাজ করে কোনমতে সংসার চালাতেন। কিন্তু মহামারি করোনার থাবায় কোনো কাজ না থাকায় বেকার হয়ে যান তিনি। গত একমাস ধরে হৃদরোগে (হার্টের ছিদ্র) আক্রান্ত হয়ে টাকার অভাবে সুচিকিৎসাও করতে না পারায় তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাওসার দস্তগীর ও অফিসার্স ইনচার্জ বিনয় ভূষণ রায় বলেন, কালের কণ্ঠে মানবিক এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হলে ডিএমপি কমিশনার স্যার, পুলিশ সুপার স্যার ও কুলাউড়া থানা পুলিশের যৌথ অর্থায়নে ওই পরিবারকে একটি নতুন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা প্রদান করা হয়। রিকশাটি থানা পুলিশের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।
মন্তব্য