<p>চট্টগ্রাম শহরে ফল বিক্রির পাইকারি আড়ত বিআরটিসি ফলমন্ডিতে আজ মঙ্গলবার অভিযান চালিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানে কেনা দামের দ্বিগুণ দামে মাল্টা বিক্রির দায়ে দুই আড়তদার মেসার্স মক্কা ফল বিতান এবং মেসার্স গরিবে নেওয়াজ ফার্মকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত ফলমণ্ডির প্রতিটি আড়তে ফলের মূল্য তালিকা টাঙানোর নির্দেশ দেন। মূল্য তালিকা না টাঙানোয় একটি আড়তকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।</p> <p>অভিযান পরিচালনাকারী জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, ফলের পাইকারি বাজারে আড়তদারদের কাগজ দেখে জানতে পারি-এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে কেজি প্রতি মাল্টা পাইকারিতে ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও রমজান উপলক্ষে তা ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রথমে ৮০ থেকে কয়েক ধাপে ১০০-১১৫ টাকায় বিক্রি করলেও রমজান উপলক্ষে কোনো কারণ ছাড়াই মাল্টা পাইকারিতে কেজি প্রতি ১৬০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আর এই মাল্টা খুচরা বাজারে গিয়ে কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।</p> <p>ফলমণ্ডির আড়তদার মেসার্স মক্কা ফল বিতান এবং মেসার্স গরিবে নেওয়াজ ফার্মকে দ্বিগুন দামে মাল্টা বিক্রির প্রমাণ পাওয়ায় ২০ হাজার করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।</p> <p>জানা গেছে, ফলমণ্ডির অধিকাংশ আড়তদারদের কাছে ফল আমদানির তথ্য কিংবা কার কাছ থেকে কত দামে ফল কেনা হয়েছে- সে সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র (ইনভয়েস, রশিদ) নেই। আড়তের সামনে কোনো মূল্যতালিকাও নেই।</p> <p>ঢাকাভিত্তিক ফল আমদানিকারকরা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ফল ছাড়ের পর চট্টগ্রামের ফলমণ্ডির বিভিন্ন আড়তদারকে আমদানিকৃত এসব ফল পাঠিয়ে দেন। ফোনে ফোনে আড়তদারকে ফলের দাম নির্ধারণ করে দেন। পেপারলেস মার্কেট তৈরি করে ফলের দাম ইচ্ছেমতো আদায় করেন।</p> <p>জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, চট্টগ্রামের পাইকারি এবং খুচরো বাজারগুলোতে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম রমজান মাসজুড়ে অব্যাহত থাকবে। পণ্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি কিংবা সিন্ডিকেট করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।</p>