<p>মায়া রাণী দাস। শরীর যেন কঙ্কালসার। শতবর্ষ ছুঁই ছুঁই। বানারীপাড়া বন্দর বাজারের এক সময়ের কুলি স্বামী দাস মহাশয়কে হারিয়েছেন বহু আগে। স্বামীকে হারিয়ে বন্দর বাজারে হোটেল-রেষ্টুরেন্টে কলসিতে করে পানি সরবরাহ করে কলসি প্রতি ২-১ টাকা করে পেতেন। তাতেই চলতো তার জীবন সংসার। বয়সের ভারে সেই শক্তিটুকুও হারিয়েছেন। </p> <p>একমাত্র ছেলে দিনমজুর। নিজের সংসার চালানোর পরে মাকে খাওয়ানোর সঙ্গতি নেই ছেলের। তাই তো বেঁচে থাকার জন্য অশীতিপর এ নারী জীবনের শেষ বেলায়  ভিক্ষার পথ বেছে নিয়েছেন। প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারনে বন্দর বাজার সহ গোটা এলাকা লকডাউন ও সবাই হোম কোয়ারেন্টিনে থাকায় ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ হয়ে গেছে তার। ফলে অনাহারে-অর্ধাহারে কাটছে জীবন। এভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে থাকলে কি খাবেন। এ দুর্ভাবনায় দুই চোখে তার ঘোর অন্ধকার। গত দুই তিন ধরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদের  কাছে এক প্যাকেট খাবারের (চাল,ডাল,তেল ও আলু) আশায় ঘুরছেন। ইউএনও গত রবিবার তাকে কথা দিয়ে ছিলেন পৌর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে তার বাসায় গিয়ে খাবার পৌঁছে দেবেন। সেই থেকে ইউএনও’র আগমনী পথের পানে চাতক পাখির মতো তিনি তাকিয়ে আছেন, কিন্তু তার অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হয়না।</p> <p>ক্ষুধার যন্ত্রণায় মঙ্গলবার বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় বেড়িয়েছিলেন খাবারের আশায়। কথা হয় তার সাথে। হতাশার সুরে বললেন, বাসায় খাবারের প্যাকেট পৌঁছে দেওয়ার ইউএনওর প্রতিশ্রুতির সাক্ষী ছিলে তুমি। বলতে পারো কবে পাবো সেই খাবারের প্যাকেট?</p>