<p>নতুন প্রজন্মের মধ্যে একুশের চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে আজ সকালে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষাশহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্ববৃহৎ বন্ধু সংগঠন ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফ্রেন্ডস অ্যালায়েন্স (ডুফা)। </p> <p>ডুফার প্রজন্ম বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির তত্ত্বাবধানে এই আয়োজনে ডুফার সদস্যরা তাঁদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মসহ এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় ডুফার সভাপতি সুজন মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক গাজী শেখ ফরিদ আহমেদ, অর্থ সম্পাদক কে এম মনজুর-ই-আলম বিপু, প্রজন্ম বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সমন্বয়ক আশরাফ-উল-আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুব কায়সার, ঢাবির সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান লিটু, নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. মিজানুর রহমান, মো. মনিরুজ্জামান মনিরসহ ডুফার সাধারণ সদস্য এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। </p> <p>সমন্বয়ক আশরাফ-উল-আলম বলেন, ‘ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। বিশ্বে সাত সহস্রাধিক ভাষা থাকলেও নিজের মাতৃভাষার জন্য কোনো জাতিকে রক্ত দিতে হয়নি। সে কারণেই বাংলাকে জাতিসংঘ কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বায়ান্নর ভাষাশহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মাতৃভাষা এবং একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাভাষী প্রতিটি জনগোষ্ঠীর কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। এই দিবসের তাৎপর্য নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেই আমাদের এ উদ্যোগ। পাশাপাশি আমরা শিশুদের প্রমিত বাংলা উচ্চারণ এবং ব্যবহারের জন্য আরো বিশেষ কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।’</p> <p>ডুফা প্রজন্ম ফারহান (১৩) তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলে, ‘একুশে ফেব্রুয়ারি এলেই এত দিন স্কুলে শহীদ মিনারের ছবি আঁকতাম। কিন্তু কখনোই শহীদ মিনারে আসা হয়নি। আজকের বিশেষ দিনে বাবার সাথে শহীদ মিনারে প্রভাতফেরিতে ফুল দিতে এসে অনেক ভালো লাগছে। বিশেষ করে সবাই সাদা-কালো পোশাক পরে এবং শহীদ মিনারের বেদিতে খালি পায়ে উঠে বিশেষ সম্মাননা দেখানোর বিষয়টি আমার কাছে বিশেষভাবে ভালো লেগেছে।’ </p> <p>উল্লেখ্য, ডুফা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৯৫-৯৬ সালের সবগুলো ব্যাচের একটি বন্ধু সংগঠন। এই সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফরমে প্রায় দুই হাজার সক্রিয় সদস্য রয়েছেন। নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক এবং জাতীয় বিভিন্ন ইস্যুতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছে ডুফা।</p>