<p style="text-align:justify">ইন্টারনেটের অভাবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি কমাতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ম্যানুয়ালি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।</p> <p style="text-align:justify">এ ছাড়া অঙ্গীকারনামা নিয়ে শিল্প-কারখানার কাঁচামাল ও মেশিনারি পণ্য ডেলিভারির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ ম্যানুয়ালি শুল্কায়নের চেষ্টা করেও সমস্যার মুখে পড়ছে।</p> <p style="text-align:justify">আমদানি-রপ্তানির বিভিন্ন দালিলিক যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নতুন নতুন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বন্দরে আসা আমদানি পণ্য খালাস প্রক্রিয়ায় অনলাইন ভেরিফাইয়ের সুযোগের অভাবে আটকে যাচ্ছে পণ্যবাহী কনটেইনার খালাস। তবে শুল্কায়ন করা আগের কনটেইনার এর মধ্যে খালাস হচ্ছে।</p> <p style="text-align:justify">চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার জাহাজ থেকে আমদানি করা পণ্যবাহী কনটেইনার নামানো হয় ৯৪৮ টিইইউএস (২০ ফিট কনটেইনারের একক)। আর রপ্তানি পণ্য জাহাজীকরণ করা হয় ২০৪৪ টিইইউএস। এর মধ্যে রপ্তানি পণ্যবোঝাই কনটেইনার ছিল ১২২০ টিইইউএস আর খালি কনটেইনার ছিল ৮২৪ টিইইউএস।</p> <p style="text-align:justify">সরাসরি বন্দর থেকে ডেলিভারি করা হয় ৬৫ টিইইউএস কনটেইনার। আর বন্দর থেকে বেসরকারি ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোতে (আইসিডি) পাঠানো হয় ১১১০ টিইইউএস। চট্টগ্রাম বন্দরে ৪১৬২০ টিইইউএস কনটেইনার এখনো হস্তান্তর করা হয়নি। আর চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার রাখার মতো জায়গা আছে ৫৩৫১৮ টিইইউএস।</p> <p style="text-align:justify">সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতিতে কাস্টম ও বন্দর আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করছে। কিন্তু ব্যাংক বন্ধ থাকায় আমরা শুল্কায়নের অর্থ পরিশোধ করতে পারছি না। শুল্কায়ন না হলে কাস্টম ও বন্দরের পণ্য খালাসের সুযোগ নেই।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি আরো বলেন, ‘আমদানি-রপ্তানি কাজের একমাত্র সফটওয়্যার অ্যাসাইকুড়া ওয়ার্ল্ডে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। এতে আমদানি পণ্য খালাস ও রপ্তানি পণ্য জাহাজীকরণও সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া বেশির ভাগ সময় কাস্টম ম্যানুয়ালি শুল্কায়নেও ব্যর্থ হতে হচ্ছে। এসব সমস্যার মধ্যে রপ্তানির ক্ষেত্রে ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশন (ইউডি) ও এক্সপোর্ট ফরম (ইএক্সপি) যাচাই করা যাচ্ছে না।’</p> <p style="text-align:justify">চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘বন্দরের পুরো কার্যক্রম ইন্টারনেটনির্ভর। কিন্তু ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি কমাতে ম্যানুয়ালি কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে।’</p> <p style="text-align:justify">চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফাইজুর রহমান বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের হয়রানি কমাতে বিশেষ বিবেচনায় শিল্প-কারখানার কাঁচামাল ও মেশিনারি পণ্য অঙ্গীকারনামা নিয়ে ডেলিভারির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।’</p>