<p>পাকিস্তানের ইসলামাবাদে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও গুরুত্বের সাথে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস পালন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বাংলাদেশ হাইকমিশন, ইসলামাবাদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। </p> <p>হাইকমিশনের বঙ্গবন্ধু কর্নারে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা পর্ব শুরু হয়। ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনাসভায় বক্তারা ঐতিহাসিক ৬ দফার আন্দোলনের পটভূমি ও গুরুত্ব তুলে ধরেন।</p> <p>সমাপনী বক্তব্যের শুরুতেই হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলনের শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।</p> <p>তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে সর্বদলীয় সম্মেলনে ঐতিহাসিক ৬ দফা প্রস্তাব পেশ করেন, যার মধ্যে নিহিত ছিল বাঙালির স্বাধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের রূপরেখা। ঐতিহাসিক ৬-দফা ঘোষণার পর শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায় এবং তাকে বারবার গ্রেপ্তার করে। তা সত্ত্বেও তিনি ৬ দফা দাবি থেকে পিছপা হননি ৷ ৬ দফা কেবল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ নয়, সারা বিশ্বের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণার উৎস।</p> <p>সব শেষে জাতির পিতা ও ঐতিহাসিক ৬ দফার আন্দোলনের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।</p>