<p>সিলেটের বিয়ানীবাজারে স্বাভাবিক সময়ে রোগীর জন্য ১০ থেকে ১২টি অক্সিজেন সিলিন্ডারের প্রয়োজন হয়। করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের পর এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৩০টি অক্সিজেন সিলিন্ডারের প্রয়োজন হচ্ছে। কিন্তু চাহিদামতো পাওয়া যাচ্ছে না।</p> <p>বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, দুটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রয়েছে। এগুলো প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ লিটার অক্সিজেন সরবরাহ-সংরক্ষণ করতে পারে। অথচ উপজেলায় এখন প্রতিদিন ১০০ লিটারের বেশি অক্সিজেন প্রয়োজন। বেসরকারি বিভিন্ন জায়গা থেকে এই চাহিদা মেটানো হচ্ছে।</p> <p>চিকিৎসক শিব্বির আহমদ সোহেল বলেন, ‘শনিবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে দুজন রোগী আসেন। শ্বাসকষ্ট, কিন্তু অক্সিজেন নেই। আরেকজন ভর্তি রোগীর জন্য সন্তানরা দৌড়াচ্ছে অক্সিজেনের জন্য। রবিবার দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে রোগী যাবেন সিলেট; কিন্তু বিয়ানীবাজারে অ্যাম্বুল্যান্স নেই।’</p> <p>বেসরকারিভাবে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের পরিচালক প্রণব কুমার সাহা বলেন, ‘অক্সিজেন সরবরাহ না বাড়ালে আমরা অসহায়।’</p> <p>বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আবু ইসহাক আজাদ বলেন, ‘উপজেলায় ৭৬ জন করোনা পজিটিভ রোগী রয়েছেন। এ পর্যন্ত ৩৭ জন মারা গেছেন। মোট আক্রান্ত ৬৮২ জন।’</p> <p>বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম আলী খান জানান, অক্সিজেনের চাহিদা বেড়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পরিস্থিতি খারাপ হবে। উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল হওয়ায় এখানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা, সিলিন্ডারসহ অক্সিজেন সরবরাহকারী যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে।</p>