<p>দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবিতে ১৪১ জন সাবেক সরকারি কর্মকর্তার দেওয়া বিবৃতির প্রতিবাদ জানিয়ে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছেন ৩৮৫ নাগরিক। গতকাল শুক্রবার এই বিবৃতি দেন তাঁরা।</p> <p>বিবৃতিতে বলা হয়, তফসিল বাতিলের দাবিতে সাবেক ১৪১ জন সরকারি কর্মকর্তা যে বিবৃতি দিয়েছেন, সেই বিবৃতি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অসত্য ও বিভ্রান্তিকর। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার আগে কমিশনের সব অংশীজনের সঙ্গে বহুবার আলোচনা করেছে। পাশাপাশি নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলকে কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য একাধিকবার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তবে কমিশনের আমন্ত্রণে অন্যান্য রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করলেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও তার সমমনা দলগুলো অংশগ্রহণ করেননি। এমনকি তাদের কমিশন থেকে পৃথকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তারা সেই আলোচনায় সাড়া দেয়নি, যা রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত।</p> <p>বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক সচিব ও সদস্য কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী, সাবেক আইজিপি, সচিব ও কলামিস্ট মোহাম্মদ নুরুল হুদা, সাবেক আইজিপি ও রাষ্ট্রদূত ড. হাসান মাহমুদ খন্দকার, রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হান্নান, রাষ্ট্রদূত গোলাম মোহাম্মদ, এ কে এম আতিকুর রহমান, মুন্সী ফয়েজ আহমেদ, চৌধুরী ইখতিয়ার মমিন, সাবেক সিনিয়র সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী, সাবেক সচিব অপরূপ চৌধুরী, অশোক কুমার বিশ্বাস, ড. প্রশান্ত কুমার রায়, মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, সুবীর কিশোর চৌধুরী প্রমুখ।</p> <p>বিবৃতিতে আরো বলা হয়, শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, সরকারের পক্ষ থেকেও আলোচনায় বসার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে বহুবার আহ্বান জানানো হয়।</p> <p> </p>