<p>মহান আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম হলো ‘হাফিজ’। অর্থ রক্ষাকারী। কোরআন ও হাদিসে আল্লাহর গুণ হিসেবে ‘হাফিজ’ শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক সব কিছুর রক্ষণাবেক্ষণকারী।’</p> <p>(সুরা : হুদ, আয়াত : ৫৭)</p> <p>ইমাম তাবারি (রহ.) বলেন, ‘আল্লাহ তাঁর সব কিছুর ব্যাপারে অবগত এবং তা সংরক্ষণকারী।’ আল্লাহ শুধু সংরক্ষণকারী নন, বরং রক্ষণাবেক্ষণে তিনিই সর্বোত্তম। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহই রক্ষণাবেক্ষণে শ্রেষ্ঠ এবং তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৬৪)</p> <p>আল্লাহ যেমন তাঁর সমগ্র সৃষ্টিজগেক সংরক্ষণ করেন, তেমনি কালাম ও দ্বিন সংরক্ষণ করেন। আল্লাহ বলেন, ‘আমিই কোরআন অবতীর্ণ করেছি এবং অবশ্য আমিই তার সংরক্ষক।’ (সুরা : হিজর, আয়াত : ৯)</p> <p>ইমাম তাবারি (রহ.) আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি কোরআনকে রক্ষা করব যেকোনো অন্যায় সংযোজন থেকে এবং তার আইন ও বিধি-বিধানের বিয়োজন থেকে।’ (তাফসিরে তাবারি : ১৪/১৮)</p> <p>মুহাম্মদ খলিল হাররাস বলেন, আল্লাহর হাফিজ নামের দুটি অর্থ— এক. আল্লাহ বান্দার ভালো ও মন্দ, পাপ ও পুণ্য, আনুগত্য ও অবাধ্যতা ইত্যাদি কাজের হিসাব রাখেন, দুই. আল্লাহ বান্দাকে সব অপছন্দনীয় জিনিস থেকে রক্ষা করেন। আবার সৃষ্টিজগতের জন্য আল্লাহর সংরক্ষণ দুই প্রকার। সাধারণ ও বিশেষ। সাধারণ সংরক্ষণ সব সৃষ্টির জন্য প্রযোজ্য। বিশেষ সংরক্ষণ আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের জন্য নির্ধারিত। (শরহুল কাসিদা : ২/৯০)</p> <p>প্রিয় বান্দাদের জন্য আল্লাহর সংরক্ষণনীতি সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, তুমি আল্লাহর (বিধি-নিষেধ) রক্ষা করবে, আল্লাহ তোমাকে রক্ষা করবেন। তুমি আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রতি লক্ষ রাখবে, আল্লাহ তাআলাকে তুমি কাছে পাবে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৫১৬)</p> <p>নিম্নোক্ত আয়াত থেকেও বিশেষ সংরক্ষণের ধারণা পাওয়া যায়। আল্লাহ বলেন, ‘যারা সৎপথ অবলম্বন করে আল্লাহ তাদের সৎপথে চলার শক্তি বৃদ্ধি করেন এবং তাদেরকে আল্লাহভীরু হওয়ার শক্তি দান করেন।’ (সুরা : মুহাম্মদ, আয়াত : ১৭)</p> <p>আল-মাউসুয়াতুল আকাদিয়া</p>
