<p>ধূমপান কোনো ভালো কাজ নয়। ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের অনেক দেশেই জনসমক্ষে ধূমপান কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কারণ এর দ্বারা অধূমপায়ী ও শিশুদের যেমন কষ্ট হয়, তেমনি তারাও পড়ে নানা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদাররা! যেসব পবিত্র (উত্কৃষ্ট) জিনিস আমি তোমাদের রিজিক হিসেবে দিয়েছি, সেগুলো খাও এবং আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। যদি তোমরা তাঁর ইবাদত করে থাকো। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৭২)। কোনো মুমিন ধূমপান করে অন্যকে কষ্ট দিতে পারে না। রাসুল (সা.) বলেছেন, কেউ অন্যের ক্ষতি করলে আল্লাহ তার ক্ষতিসাধন করবেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৬৩৫)</p> <p>ই-সিগারেট মূলত সিগারেটের বিকল্প। অনেকে সিগারেট ছাড়ার জন্য ই-সিগারেট ব্যবহার করে। এই সিগারেটের ভেতরে নিকোটিন, প্রপাইলিন গ্লাইকল অথবা ভেজিটেবল গ্লিসারিন এবং সুগন্ধি মিশ্রিত থাকে। কিন্তু তামাকের ভেতর থাকা অনেক বিষাক্ত রাসায়নিকের তুলনায় (যেমন—টার ও কার্বন মনোক্সাইড) নিকোটিন তুলনামূলক কম ক্ষতি করে। অর্থাৎ ই-সিগারেটও স্বাস্থ্যের পক্ষে শতভাগ নিরাপদ নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তামাক নিয়ে তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে ই-সিগারেটকে সুনিশ্চিতভাবে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শহর হিসেবে ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক সিগারেট নিষিদ্ধ করেছে সান ফ্রান্সিসকো। একসময় ই-সিগারেট জাতীয় পণ্যকে সিগারেটের নিরাপদ বিকল্প হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও এখন বিভিন্ন গবেষণায় এর ক্ষতির বিষয়গুলো সামনে আসছে। তাই বিনা প্রয়োজনে ই-সিগারেট গ্রহণ করাও মাকরুহ হবে। স্কটল্যান্ডে এক জরিপে দেখা গেছে, তরুণদের অনেকে        ই-সিগারেট ব্যবহার করে পরে ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু কেউ যদি ডাক্তারের পরামর্শে সিগারেট বন্ধ করার জন্য তা গ্রহণ করে, তবে তা ‘মুবাহ’ (বৈধ) হবে। (আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল : ৭/১৮২)</p> <p> </p>