<p>মেয়াদি, চলমান, তলবিসহ সব খাতের খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিলের মেয়াদ সর্বোচ্চ আট বছর এবং প্রতিবার পুনঃ তফসিলে ন্যূনতম ডাউন পেমেন্টের হার আড়াই শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।</p> <p>গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে পাঠানো চিঠিতে এসব প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি। তাদের যুক্তি হলো, সবাই সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে ঋণ পুনঃ তফসিলের সর্বোচ্চ মেয়াদ বৃদ্ধি ও ন্যূনতম ডাউন পেমেন্ট নেওয়ার পরিমাণও সবার জন্য সমান হওয়া উচিত।</p> <p>গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণখেলাপিদের গণছাড় দিয়ে একটি নীতিমালা জারি করে। ওই নীতিমালায় বলা হয়, খেলাপি ঋণ নিয়মিত করতে আড়াই থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ অর্থ জমা দিলেই চলবে, আগে যা ছিল ১০ থেকে ৩০ শতাংশ। এসব ঋণ পরিশোধ করা যাবে পাঁচ থেকে আট বছরে। আগে এ ধরনের ঋণ পরিশোধে সর্বোচ্চ দুই বছর সময় দেওয়া হতো। এ ছাড়া মেয়াদি ঋণে প্রথমবার ও দ্বিতীয়বার পুনঃ তফসিলের ক্ষেত্রে ১০০ কোটি টাকার কম ঋণের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ডাউন পেমেন্টের পরিমাণ হবে মোট বকেয়া ঋণের সাড়ে ৪ শতাংশ। ১০০ কোটি টাকা ও তদূর্ধ্ব, কিন্তু ৫০০ কোটি টাকার কম ঋণের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ডাউন পেমেন্টের পরিমাণ হবে সাড়ে ৩ শতাংশ। আর ৫০০ কোটি টাকা ও তদূর্ধ্ব ঋণের ক্ষেত্রে ডাউন পেমেন্টের পরিমাণ হবে ন্যূনতম আড়াই শতাংশ।</p> <p>এ বিষয়ে এফবিসিসিআইয়ের চিঠিতে বলা হয়, করোনার দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা প্রভৃতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ঋণ পুনঃ তফসিল ও পুনর্গঠনসংক্রান্ত নতুন মাস্টার সার্কুলার জারি করেছে। এ পদক্ষেপ বিদ্যমান সংকটময় পরিস্থিতিতে আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নিঃসন্দেহে অত্যন্ত সহায়ক হবে।</p> <p>তবে এ সার্কুলারে ঋণ পুনঃ তফসিলের মেয়াদি ঋণ এবং চলমান ও তলবি ঋণের ক্ষেত্রে বৃহৎ ও ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতাদের জন্য পৃথক সর্বোচ্চ মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে। এফবিসিসিআই মনে করে, সব শ্রেণির ঋণগ্রহীতাদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা জরুরি।</p> <p>কেন না সবাই একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এ জন্য ঋণ পুনঃ তফসিলীকরণ ও পুনর্গঠনে বৃহৎ ও ক্ষুদ্র নির্বিশেষে সব শ্রেণির ঋণগ্রহীতাদের জন্য মেয়াদি, চলমান ও তলবি ঋণ—সব ক্ষেত্রেই গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ মেয়াদ আট বছর নির্ধারণের অনুরোধ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে ঋণ পুনঃ তফসিল ও পুনর্গঠনেও ন্যূনতম ডাউন পেমেন্টের হার বৃহৎ ও ক্ষুদ্র সবার জন্য একই হারে আড়াই শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।</p>